• E-paper
  • English Version
  • বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৪৭ অপরাহ্ন

×

তালার ধুলন্ডায় পানি নিষ্কাশনের খাল দখল করে বাড়ি নির্মাণে জনমনে ক্ষোভ

  • প্রকাশিত সময় : শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০২৪
  • ৩৯ পড়েছেন

জলবদ্ধতায় দু’টি গ্রামে ব্যাপক ক্ষতির আশংকা

তালা প্রতিনিধিঃ

তালা উপজেলার ধুলন্ডা গ্রামে প্রায় ৫০বছরের ব্যবহৃত পানি নিষ্কাশনর সরকারি ছোট খাল (নালা) দখল করে বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। বালি ও মাটি দিয়ে সরকারি জমির নালাটি ভরাট করার সময় এলাকার লোকজন বাঁধা দিলেও তা উপেক্ষা করে উল্টো হুমকি দেয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। নালাটি ভরাট করায় চলতি বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন হতে না পেরে ওই এলাকায় জলাবদ্ধতার আশংকা দেখা দিয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্ট এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান, মাগুরা ইউনিয়নের মাগুরা—জেঠুয়া সড়কের ধুলন্ডা গ্রামের মতিয়ার শেখের বাড়ির পাশের মোড় থেকে ধুলন্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অভিমুখে ইটের রাস্তার পশ্চিম পাশ দিয়ে সরকারি জমির উপর একটি নালা রয়েছে। প্রায় ৫০ বছর ধরে ধুলন্ডা ও মাগুরা বারুইপাড়া এলাকার বর্ষার পানি এই নালাটির মাধ্যমে নুরাজখালী বিল হয়ে কপোতাক্ষ নদের সংযোগ খাল দিয়ে নদীতে নিষ্কাশন হয়। ফলে এলাকায় অদ্যবদী জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়নি। কিন্তু একই গ্রামের কওছার শেখের ছেলে মতিয়ার শেখ তার জমিতে পাকা বাড়ি করার সময় বাড়ির সীমানা বরাবার ওই নালাটি মাটি ও বালি দিয়ে ভরাট করে পুরো জমি দখল করে নিয়েছে। এসময় এলাকার লোকজন বাঁধা দিলেও তিনি তা’ উপক্ষো করে বালি ভরাট করে এবং বাঁধা প্রদানকারী গ্রামের একাধিক ব্যক্তিকে হুমকি প্রদান করে। বর্তমানে সরকারি নালাটি পুরোপুরি বালি—মাটি দিয়ে ভরাট করে দখল করে রেখেছে মতিয়ার শেখ। এর ফলে চলমান বর্ষায় এলাকার পানি নিষ্কাশন হতে না পেরে যত্রতত্র পানি জমে রয়েছে। এই পানি পচে সেখানে এডিস মশার জন্ম সহ নানান জীবানু সৃষ্টির আশংকায় মানুষ আতংকিত হয়ে পড়েছে।

এ ব্যাপারে মতিয়ার শেখ জানান, বিভিন্ন লোক এই নালার অনেক স্থান ভরাট করে দখল করে নিয়েছে। তাই আমিও আমার রেকর্ডীয় জমি সহ জমীর সীমানা দিয়ে নালার ২/৩ ফুট মতো জমি বালি দিয়ে ভরাট করেছি। সরকার বা প্রশাসন অন্য স্থানগুলো উদ্ধার করে আমাকে বললে আমিও নালার সরকারি জমি ছেড়ে দিবো। কিন্তু তার এই বক্তব্য অবিশ্বাস করে এলাকার একাধিক ব্যক্তি বলেন, বালি ও মাটি দিয়ে যেভাবে সরকারি নালা ভরাট করা হয়েছে তাতে সে ওই নালাটি উন্মুক্ত করে দিবে তা বিশ্বাস করা যায়না।

স্থানীয় লোকজন আশংকা ব্যক্ত করে জানান, চলমান বর্ষা মৌসুমে ভারি বৃষ্টি হলে ধুলন্ডা ও বারুইপাড়া গ্রামের প্রায় ৩শ’ পরিবারসহ দু’টি গ্রামের শত শত বিঘা পান বরজ, ধান, আখ ও সবজি ক্ষেত প্লাবিত হয়ে কোটি টাকার উপরে ক্ষয়ক্ষতি হবে। এছাড়া ধুলন্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জলাবদ্ধ হয়ে বিদ্যালয়ের লেখাপড়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম হবে। এলাকার পানি নিষ্কাশনের এই একটি মাত্র পথ দখল ও ভরাট হওয়ায় এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। এলাকাবাসী অবিলম্বে পানি নিষ্কাশনের নালাটি উদ্ধারসহ উন্মুক্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA