বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৫২ অপরাহ্ন
দেশ প্রতিবেদক:
মহানগরীর খালিশপুরে কেডিএর আইন অমান্য করে বাড়ি নির্মাণ করেছেন একজন স্কুল শিক্ষক। এ বাড়ি নির্মাণের ফলে একাধিক পরিবার সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। স্কুল শিক্ষকের নাম মো: আব্দুল খালেক। মো. আব্দুল খালেকের এমন অনিয়মতান্ত্রিকভাবে বাড়ি নির্মাণের কারণে ঝুঁকির মধ্যে পড়েছেন প্রতিবেশীরা । তাকে একাধিকবার সতর্ক করা হলেও তিনি কোন কিছুকে তোয়াক্কা না করেই তিনতলা ভবন নির্মাণ করেছেন। কেডিএ তাকে সতর্ক করলেও তিনি তা না মেনে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এ নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন প্রতিবেশীরা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মো. আব্দুল খালেক খালিশপুরের হাউজিং এস্টেটের ২৯ নং রোডে একটি তিনতলা বিশিষ্ট ভবণ নির্মাণ করছেন। এ ভবনের চারদিকেই মানুষ বসবাস করেন। তিনি কেডিএর আইন অমান্য করে তার জমিরপিছনের ড্রেন দখল করে এ বাড়ি নির্মাণ করেছেন। তিন দিকে নিয়ম অনুযায়ী জায়গাও ছাড়েননি। কেডিএর নিয়ম অনুযায়ী বাড়ি নির্মাণের পূর্বে যথেষ্ট জায়গা রাখার কথা থাকলেও তিনি জায়গা না ছেড়েই এ বাড়ি নির্মাণ করেছেন। যার ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ অথবা কোন দূর্ঘটনা ঘটলে হুমকির মধ্যে পড়তে হবে অন্যান্য প্রতিবেশীদের। এ নিয়ে ঝুঁকির মধ্যে দিনাতিপাত করছেন অন্যান্য প্রতিবেশীরা। তথ্য সূত্রে জানা যায়, মো. আব্দুল খালেকের জায়গার পরিমান পৌনে দুই কাঠা। তিনি ছয় মাস ধরে এ নির্মাণ কাজ করছেন। কেডিএর দেয়া বিধি নিষেধ তিনি অমান্য করেই এ বাড়ি নির্মাণ করেছেন।
১৯৫২ সনের ইমারত নির্মাণ আইন অনুযায়ী বিচারে আইন (১৯৮৭ পনের ১২ নং আইন) অনুযায়ী অননুমোদিত নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার জন্য কেডিএ মো. আব্দুল খালেককে বলেন। অভিযোগকারী বলেন, মো. আব্দুল খালেক আমাদের প্রতিবেশী। তিনি বাড়ি নির্মাণ করে সকলের সমস্যা তৈরী করেছেন। তিনি নিয়ম তান্ত্রিকভাবে বাড়ি নির্মাণ করলে আমাদের এ সমস্যা তৈরী হতো না। এক প্রকার গায়ের জোড়ে তিনি ড্রেনের জায়গা দখল করে এ বাড়ি নির্মাণ করেছেন। চলাচলের রাস্তায় নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রেখে সাধারন মানুষের চলাচলের সমস্যাও তৈরী করেছেন। কেউ তাকে বুঝালে তিনি আক্রমানত্মক হয়ে পড়েন। উল্টো কথা শোনান তিনি।
মো. আব্দুল খালেকের অন্য একজন প্রতিবেশী বলেন, ভেন্টিলেশনের জন্য এবং আলো বাতাস চলাচলের জন্য কোন রুপ জায়গা না রেখেই তিনি নির্মাণ করেছেন। এমনকি ড্রেনের জায়গা দখল করেছেন। তার বাড়ি থেকে ময়লা ফেললেও অন্যান্যদের যে ক্ষতি হবে, তা তিনি বিবেচনাতেই রাখেন নাই। কেডিএ সূত্র জানায়, তাকে কেডিএর নিয়ম অনুযায়ী সতর্ককরণ নোটিশ দেয়া হয়েছে। তার ইমারতের অবৈধ অংশ ভেঙ্গে ফেলার জন্য বলা হয়েছে। কেডিএ কর্তৃপক্ষ এ অবৈধ স্থাপনার বিষয়ে যথাযত ব্যবস্থা নিবে। সচেতন নাগরিক নেতারা জানান, খুলনা এখন জনবহুল এলাকা। খুলনা উন্নয়ন কতৃর্পক্ষ সকলের জন্য নিয়ম মেনে বাড়ি নির্মাণের আহ্বান জানিয়ে চলেছে। ইমারত আইন তৈরী হয়েছে অনেক বিষয়ের দিকে খেয়াল রেখে। অনিয়মতান্ত্রিকভাবে বাড়ি নির্মাণ করলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং কোন দুর্ঘটনা ঘটলে জান মালের ক্ষয়ক্ষতিহওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এজন্য সকলকে নিয়ম মেনে বাড়ি নির্মাণ করা উচিত।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA