বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:০১ পূর্বাহ্ন
আবু নুরাইন খোন্দকার: কারফিউ শিথিল হওয়ায় খুলনা মহানগরীর বাজারগুলোতে সবজির দাম কিছুটা কমতে দেখা গেছে। তবে মাছের দাম কমেনি। কিন্তু সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় মুরগীর দাম কমেছে। রবিবার নগরীর সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের তুলনায় সবজিসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের সরবরাহ বেড়েছে। বেগুন, টমেটো ও করলা ছাড়া এখন বেশির ভাগ সবজি ৫০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে কিনতে পারছেন ভোক্তারা। যদিও কিছুদিন আগে ৭০ টাকার নিচে কম সবজিই পাওয়া যেত। নগরীর নিউ মার্কেট বাজার, নতুন বাজার, মিস্ত্রিপাড়া বাজার, রুপসা বাজার এবং সন্ধ্যাবাজারে প্রতি কেজি ভালো মানের বেগুন ৭০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা কিছুদিন আগে ১০০ থেকে ১৬০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। অনেক বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৫২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়, দাম কমে এখন ২৪০ টাকায় নেমেছে।
প্রতি কেজি করলা ১৫০ টাকায় ওঠে, গতকাল কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হয়। দাম কমে প্রতি কেজি পটোল ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, চিচিঙ্গা ও ঢেঁড়স কেজি ৬০ টাকায়, পেঁপে কেজি ৫০ টাকায়, চাল কুমড়া প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, মিষ্টিকুমড়া কেজি ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়, শসা কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকায়, কচুমুখি কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকায়, টমেটো কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, লাউ প্রতিটি আকারভেদে ৫০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।নতুন বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী খোকন বলেন, কারফিউর কারণে বাজারে সরবরাহ ঘাটতি হয়। এ কারণে কিছুটা দাম বেড়েছিল। এখন সরবরাহ বাড়ায় মুরগির দাম কমে এসেছে। সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় নগরীর ট্রাক ষ্ট্যান্ড পাইকারি বাজারে পেঁয়াজ ও আলুর দাম কেজিতে ৫টাকা পর্যন্ত কমেছে। কিন্তু খুচরায় প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২০ টাকায় এবং প্রতি কেজি আলু ৬৫ থেকে ৭০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এক পাইকারি আলু বিক্রেতা বলেন, বাজারে সরবরাহ বাড়ায় এখন পাইকারিতে ৫৭ থেকে ৫৮ টাকায় প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে।
অর্থাৎ, আলুর দাম কেজিতে তিন—চার টাকার মতো কমেছে। বাজারে প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়, দেশি রসুন কেজি ২২০ টাকায়, আমদানি করা রসুন কেজি ২০০ টাকায়, ছোট দানার মসুর ডাল কেজি ১৪০ টাকায় এবং বড় দানার মসুর ডাল কেজি ১১০ থেকে ১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজার করতে আসা এক বেসরকারি চাকরিজীবী বলেন, বাজারে সরবরাহ বাড়ায় সবজির দাম কিছুটা কমলেও মাছের দাম কমেনি। আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য বর্তমান বাজারদর অসামঞ্জস্যপূর্ণ। ১ হাজার টাকা নিয়ে বাজারে এসেও চাহিদার তুলনায় বাজার করা যায় না। এমন পরিস্থিতিতে বেঁচে থাকাটাই কষ্টসাধ্য। একজন শ্রমিক বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে অনেক কষ্টে বাজার করতে হয়েছে। কাজ—কামও আছিলো না। বাড়ির ধারেত্তে (ধার করে) এক দোকান দিয়া বাহিতে (বাকিতে) তরকারি কিনছি। তাও মেলা দাম নিছে। আইজকা কাম (কাজ) জুটছে। বাজারে আইছি,তাও মেলা দাম তরকারীতে। তয় আগের তুলনায় কিছুডা (কিছুটা) কমছে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA