বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:১৯ পূর্বাহ্ন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সরকার পতনের একদফা কর্মসূচির সমর্থনে কোটচাঁদপুর-জীবন নগর মহাসড়কের কোটচাঁদপুর মেইন বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। রোববার (৪ আগস্ট) বেলা তিনটার দিকে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী লাঠি হাতে নিয়ে কোটচাঁদপুর সড়কে অবস্থান নেন। শিক্ষার্থীদের সাথে অভিভাবক ও বিভিন্ন শ্রেণি পেসার মানুষ অংশ নেয়। ফলে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর শুরু হয় বিক্ষোভ মিছিল। কোটচাঁদপুর মেইন বাস ষ্ট্যান্ড হতে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে বলুহর বাস ষ্ট্যান্ড হয়ে হাসপাতালের সামনে দিয়ে বাজার হয়ে কলেজ বাসষ্ট্যান্ড ঘুরে আবার মেইন বাসষ্ট্যান্ডে এসে অবস্থান নেয়।
এদিন কোটচাঁদপুরের সাফদারপুর, দোড়া, কুশনা, বলুহর, এলাঙ্গী ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকার শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেয়। পরে শিক্ষার্থীরা কোটচাঁদপুর মেইন বাস ষ্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থান নেয়। এসময় প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবী করে ভূয়া ভূয়া বলে শ্লোগান দেয় বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা।
কালিগঞ্জ-জীবন নগর মহাসড়কে কোন গণপরিবহন দেখা যায়নি। দু-একটা যাও ছিলো তা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ধাওয়া দিয়ে ফিরিয়ে দেয়। তবে আজ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পুলিশি কোন বাঁধা দেওয়া এমনকি কোটচাঁদপুর শহরে কোনো পুলিশ দেখা যায়নি। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ চলাকালীন সময়ে থানা পুলিশ আগেই থানায় ফিরে যায় বলে জানা গেছে। তবে বিক্ষোভ শেষে আমি (মোস্তাফিজুর) যখন নিউজ লিখছিলাম তখন হঠাৎ খবর পায় কোটচাঁদপুর আওয়ামীলীগ, যুব লীগ ও মুক্তিযোদ্ধা অফিস ভাংচুর এবং আগুন লাগিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
পরে ঘটনা স্থলে গিয়ে দেখি কোটচাঁদপুর মুক্তিযোদ্ধা অফিসে আগুন জ্বলছে এবং আওয়ামীলীগ অফিস ও যুবলীগ অফিস ভাংচুর চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিভায়। কোটচাঁদপুর ফায়ার সার্ভিস এর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আক্কাচ আলী জানান, আমরা খবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে আসি এবং দেখি আগুন জ্বলছে। আমরা পানি দিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করি। এব্যাপারে কোটচাঁদপুর আওয়ামীলীগ সভাপতি শরিফুন্নেছা মিকির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ জ্বালাও পোড়াও যাদের পেশা তারা ছাড়া এ কাজ কে করবে? আজকের মিছিলে যারা ছিলো সবই বিএনপি জামাত এবং শিবির।
ছাত্রদের দ্বারা এমন নেক্কারজনক ঘটনা ঘটানো সম্ভব নয় বলেও জানান। কোটচাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আল মামুন এর কাছে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভাংচুর অগ্নিসংযোগ হয়েছে খবর শোনার সাথে সাথেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি তবে এখনো কোনো মামলা হয়নি। মামলার জন্য প্রস্তুতি চলছে বলে জানান।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA