• E-paper
  • English Version
  • বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩৫ অপরাহ্ন

×

ডুমুরিয়া উপজেলার আইসিটিভিটিআরের সুপারিন্টেন্ডের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ

  • প্রকাশিত সময় : বুধবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৪
  • ৫৯ পড়েছেন

ডুমুরিয়া প্রতিবেদক: খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার আইসিটিভিটিআর কারিগরী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুপরিন্টেন্ডের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দূর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার এমন কার্যকলাপে অতিষ্ঠ হয়ে সাধারন মানুষ করেছেন বিক্ষোভ মিছিল। সুপারিনটেনডেন্টের নাম সিকদার আব্দুল হালিম। এ বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থী , অভিভাবক ও এলাকাবাসী অংশ নেয়। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ডুমুরিয়া উপজেলার চেচুড়ি গ্রামে অবস্থিত আন্তর্জাতিক কারিগরী বৃত্তিমুলক প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রে এই বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এলাকবাসী, জন প্রতিনিধি ও অভিভাবকরা জানান, ২০১৫ সালে শিকদার আব্দুল হালিম প্রতিষ্ঠানের সুপরিন্টেন্ড হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। এর দুই বছর পর থেকে তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে পরিণত করেন। প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করে সুনাম নষ্ট করেছেন। কেউ তার প্রতিবাদ করলে নানারুপ জুলুম করতেন তিনি। তার বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারীর অভিযোগ রয়েছে। ধামালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য নুর ইসলাম ও শাফায়াত আলী খান বলেন, এই প্রতিষ্ঠানের ল্যাব সহকারী আব্দুল কাদেরের মৃত্যুর পর তার স্ত্রীকে দৈনন্দিন আয়া হিসাবে নিয়োগ দেন সুপরিন্টেন্ড শিকদার আব্দুল হালিম। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই ওই নারীর সাথে তার অবৈধ সম্পর্ক তৈরী হয়। এক পর্যায়ে দুই সন্তানের জননী ওই নারীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় এলাকাবাসীর হাতে ধরা পড়লে এলাকাবাসীর চাপের মুখে আব্দুল হালিম তাকে বিয়ে করেন। অভিযোগে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠটিও তিনি নিজের আয়ত্বে রেখেছেন। মাঠটিতে কোন শিক্ষার্থীকে খেলা করতে দেয়া হয়না। তিনি নিয়মিত হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন না। সর্বশেষ চলতি বছরের ২১ মে তারিখ থেকে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত একটানা হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেননি সুপরিন্টেন্ড শিকদার আব্দুল হালিম। এসকল অভিযোগ নিয়ে দীর্ঘদিন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করলেও আব্দুল হালিমের দাপটের কারনে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়নি। এমতাবস্থায় গত ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর থেকে তিনি আর প্রতিষ্ঠানে আসেননি। বিষয়টি নিশিচত করেছেন ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক কিশোর মৃধা।
সিকদার আব্দুল হালিমের কাছে এ বিষয়ে জানতে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের (এ্যাডহক কমিটি) সভাপতি ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল আমীনের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আমার জানা নেই। তাছাড়া যেকোন ব্যাপারে অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA