বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:১৫ পূর্বাহ্ন
শ্রমিকলীগের কমী থেকে এখন যুবদলের কমী জনির আতঙ্কে মানুষের ঘুম হারাম
বাগেরহাটে প্রতিনিধিঃ
বাগেরহাটে থামছেনা ঘের দখল গরুলুট, মটরসাইকেল কেড়েনেওয়ার ও অভিযোগ উঠলেও পুলিশ নিরব ভূমিকা পালন করছে বলে দাবী করেছেন ভুক্ত ভোগীদের।পুলিশ ও সেনা বাহিনীর কাছে অভিযোগ দিয়ে বাড়ী ছাড়া এলাকার কয়েকটি সংখ্যালঘু পরিবারের পুরুষরা।
বাগেরহাট সদর উপজেলার বিঞ্চুপুর ইউনিয়নের মান্দ্রা ও চিতলমারী উপজেলার নাসির পুর গ্রামে গিয়ে দেখায়ায় নারীদের বুক ফাটা কান্না।এলাকার বিএনপি নেতা নওশের হাওলাদার এর তিন পুত্র রনি, জনি (শ্রমিকলীগের কর্মী) ও রানাদের অত্যাচারে মুখ খুলতে পারছেনা অসহায় নারীরা। ঘর আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার ভয়ে লোক লজ্জার ভয়ে শ্লিলত হানির বিষয়ও মুখ খুলতে পারছেনা নারীরা মুখবুঝে ফুফিয়ে ফুফিয়ে কানছে আর উপর আল্লাহর কাছে বিচার চাইছে।
এবিষয়ে মান্দ্রা গ্রামের জয়নাল ঘরামির কন্যা খায়রুন আক্তার বলেন, আমার পিতা মানুষের বাড়ী দিন মজুরের কাজ করতো আমি গার্মেসে চাকুরী করে বাবাকে একটি গুরু কিনে দি সেই গরু থেকে ৫ টি গরু হয়েছে গত ৬ আগষ্ঠ রাত ৮ টার দিকে আমাদের এলাকার নওশের হাওলাদারের ছেলে রনি, জনি ও রানা দলবল নিয়ে আমাদের বাড়ী এসে গোয়ালঘর থেকে ৫ টি গরু নিয়ে যায় এসময় আমার বৃদ্বমা বাধাদিলে তাকে মারধর করে।এসময় তারা আমাদের ঘেরথেকে ৫০ হাজার টাকার মাছ মেরে নিয়ে যায় ।আমাদের এলাকা ছেড়ে চলেযেতে বলেছে। বাগেরহাট থানাও অভিযোগ দিয়েছি পুলিশ কোন পদক্ষেপ নেয়নি।
মান্দ্রা গ্রামের মনসুর শেখের কন্যা স্বামী পরিত্যাক্ত লিমা আক্তার বলেন, আমার পিতা ও দুই ভাই ৫ আগষ্ঠ থেকে বাড়ী ছাড়া । আমরাও পাশের আত্মিয়র বাড়ীতে আশ্রয় নিয়েছিলাম । গত ৬আগষ্ট এলাকার নওশের হাওলাদারের ছেলে যুবলীগ নেতা জনি হাওলাদারের নেতৃত্বে রনি, রানা,নাজমুল, রেজা, রফিক সহ আরো কয়েকজনে আমাদের ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে বড় ভাইয়ে আর এক্স মটর সাইকেল , আমার শেলাই মেশিন, ও প্রায় ৭০ হাজার টাকার সিটকাপড় নিয়ে যায় এসময় জনি আমার সাথে খারাপ আচরন করে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দেয়্ । এবিষয় কাউকে কিছু বলতে পারছিনা মুখবুঝে কান্না ছাড়া কোন উপায় নাই। লিমা আরো বলেন ছোট ভাইয়ের এফজেট মটর সাইকেল পাশের বাড়ী রাখাছিল ৭ আগষ্ট জনি এসে নিয়েগেছে। আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি।
এদিকে চিতলমারী উপজেলার নাছির পুর গ্রামের ঝড়–গোলদার বলেন , ৫ আগষ্ট রাত ৮ টারদিকে দেশী অস্ত্র নিয়ে আমার বাড়ীতে যায় বাগেরহাট সদর উপজেলার মান্দ্র এলাকার নওশের হাওলাদারের ছেলে রানা হাওলাদার, জনি হাওলাদার (সাবেক শ্রমিকলীগ কর্মী), রনি হাওলাদার এর নেতৃত্বে সিরাজ হাওলাদার, মোবারেক হাওলাদার, রেজা শেখ, আনো হাওলাদার, মিজান শেখ, মিলন ফকির আমার ছোট ভাই হরে কৃঞ্চ এর গোয়ালে থাকা গরু নিয়া যায় । ভয়ে আমার ৫ টি গরু চিতলমারীর রায় গ্রামে আমার জামাতা শুকুমার হীরার বাড়ীতে রেখে আসি। ঐ লুটকারীরা সেখান থেকে ৬ আগষ্ঠ আমার ৫ টি গরু নিয়া আসে। এছাড়া তারা আমার ঘের থেকে প্রায় ২ লক্ষ টাকার মাছ ধরে নিয়েছে। আমি এবিষয় চিতলমারী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানায়, বিঞ্চুপুর ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের সভাপতি সুমন হাওলাদারের সাথে থেকে গত আওয়ামীলীগের আমলে নওশের হাওলাদারের ছেলে জনি হাওলাদার
এলাকার সাধারন সমানুষ ও জামাত বিএনপির উপর অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছে ্ আর এখন যুবদলের নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করছে এরা তিন ভাই এর বিহিত হওয়া প্রযোজন।
এবিষয় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম আ্যান্ড অপস মোঃ রাসেলুর রহমান বলেন, আমাদের কাছে বাগেরহাট সদর , চিতলমারী ও মোড়েলগঞ্জ এর কয়েকটি অভিযোগ এসেছে আমরা সকল তথ্যই ওসি সাহেবদের দিয়েছি এটা আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য বলেছি। পুলিশ কোন দখল, বেদখল, বা অবৈধ্য দখল কোন ভাবেই টলারেট করবে না। আমরা স্থানীয় যে ছাত্র সমন্বয়ক ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে নিয়ে বিট পুলিশিং কমিউনিটি পুলিশিং এর ব্যানারে থানা পুলিশ যে কার্যক্রম করে সেটা করবে যেই অপরাধি হোক না কেন অপরাধি কোন দলের না কোন প্রশ্রয়ের না গোষ্টির না যেই অপরাধি হবে তার বিরুদ্বে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA