• E-paper
  • English Version
  • বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:২৬ অপরাহ্ন

×

কয়রায় দোকান ঘরের ভাড়াটিয়ার মালিকানা দাবির অভিযোগ

  • প্রকাশিত সময় : শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ১৯ পড়েছেন

দেশ প্রতিবেদক, কয়রা: 

খুলনার কয়রায় দোকান ঘরের ভাড়াটিয়ার বিরুদ্ধে দোকানের মালিকানা দাবির অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপার দোকানের মালিক এসএম আমিনুর রহমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। 

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আমিনুর রহমান ২০২০ সালের ১ আগস্ট কয়রার দেউলিয়া বাজারে তার একটি দাকান ঘর কয়রা গ্রামের আলমগীর হোসেনকে প্রতিমাস ১ হাজার টাকা ভাড়া চুক্তিতে ৪ বছরের জন্য ভাড়া প্রদান করেন। যার মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০২৪ সালের ১ আগস্ট। মেয়াদ শেষে দোকান ছেড়ে দিতে বললে ভাড়াটিয়া আলমগীর হোসেন জেলখানায় থাকায় তার পিতা গত ৬ আগস্ট দোকানের মালামাল সরিয়ে নিয়ে দোকান ছেড়ে দেন। পরবর্তীতে দোকান মালিক প্রায় লক্ষাধিক টাকার চাল ও কুড়া বিক্রয়ের জন্য দোকানে মজুত করেন। ওই দিন সন্ধ্যায় আলমগীর হোসেন জেল থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে ৭ আগস্ট সকালে দোকানের মালামাল জোরপূর্বক বের করে দেয়। এসময় বাধা প্রদান করলে ঘর মালিক এসএম আমিনুর রহমানসহ কয়েক জনকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে গুরুতর আহত করে। আহতদের প্রথমে কয়রা উপজলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাদের অবস্থর অবনতি হল উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। চিকিৎসা শেষে এসএম আমিনুর রহমানের ছোট ভাই আনোয়ারুল ইসলাম বাদী হয়ে আলমগীর হোসেনসহ ১৮ জনের নামে কয়রা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রট আদালতে মামলা দায়ের করেন। যার নং ৪০৮/২৪, তাং ৭/৮/২০২৪। অপরদিকে আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে এসএম আমিনুর রহমানসহ ১৭ জনের নামে আদালতে মামলা দায়ের করেন। যার নং-৪১৪/২৪, তাং ৬/৮/২০২৪। আদালত মামলা ২টি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভস্টিগশন (পিবিআই) কে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

অভিযোগের বিষয়ে ভাড়াটিয়া আলমগীর হোসেন বলেন, আদালতে উভয় পক্ষের মামলা চলমান রয়েছে। দোকানে আমার লক্ষ-লক্ষ টাকার মালা-মাল রয়েছে। সে জন্য আমি দোকান খুলে ব্যবসা পরিচালনা করছি। আদালত যদি আমার বিরুদ্ধ রায় দেয় তাহলে আমি দোকান ছেড়ে দেব।

ভূক্তভোগী এসএম আমিনুর রহমান বলেন, আদালত মামলা চলমান থাকলেও আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে উভয় পক্ষকে নিয়ে থানায় বসাবসি হয় । এবং মামলা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোন পক্ষ দোকান ঘরে প্রবেশ করতে পারবে না বল সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু প্রতিপক্ষ তা না মেনে দোকান ঘরের তালা ভেঙ্গে দোকানে প্রবেশ করেছে। তিনি আরও বলন, ৭ আগস্ট ঘটনা ঘটলেও আমাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছে ৬ আগস্ট ঘটনার কথা উল্লেখ করে। এতেই প্রমানিত হয় তারা মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে।

কয়রা থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোঃ ফরিদুজ্জামান বলেন, দোকানের বিষয় নিয়ে উভয় পক্ষ আদালতে মামলা করেছে। সেজন্য আদালতের সিদ্ধান্ত আসা পর্যন্ত সকলকে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বলা হয়েছে।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA