ঘূর্ণিঝড় দানা মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৮৫কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে। এর ফলে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এ উপকূলে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে আকাশ অন্ধকারাচ্ছন্নের পাশাপাশি বৃষ্টিপাতও বাড়ছে। বৃষ্টিপাতের কারণে ব্যাহত হচ্ছে বন্দরে অবস্থানরত বিদেশী বানিজ্যিক জাহাজের পণ্য ওঠানামা ও পরিবহণের কাজ।
ঘূর্ণিঝড়কে ঘিরে বন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের নিজস্ব এলার্ট ওয়ান জারি করেছেন। এলার্ট বাড়লেই তখন বন্দরে সকল কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হবে বলে জানিয়েছেন হারবার মাস্টার কমান্ডার সাইফুর রহমান ভুইয়া। তিনি আরো বলেন, ইতিমধ্যে দেশী-বিদেশী বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে সর্তকতাবস্থায় থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় মনিটরিং করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এদিকে প্রচন্ড ঝড়-বৃষ্টির হচ্ছে সুন্দরবনের দুবলার চরেও। সেখানে স্বাভাবিকের তুলনায় জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। দুবলা টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ খলিলুর রহমান বলেন, বৃষ্টির সাথে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে সুন্দরবনের চরগুলোতে। এছাড়া জোয়ারে পানিও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সকালে প্রস্তুতি সভা করেছেন উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া শারমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় সকল ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ জাফর রানা বলেন, এখানে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১০৩টি আশ্রয় কেন্দ্র ও ১৩২০জন স্বেচ্ছাসেবক। সেই সাথে মেডিকেল টিম, ফায়ার সার্ভিসকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মজুদ রাখা হয়েছে শুকনা খাবার, ওষুধ ও বিশুদ্ধ পানি।