শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫১ অপরাহ্ন
খুলনার রূপসা উপজেলার পশ্চিম রূপসার মাছের আড়তের পাশে বাজারে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। বেলা পৌনে এগারোটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বাজারের ৩০টি ও বাজার সংলগ্ন বস্তির পাঁচটি ঘর আগুনে সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় প্রায় কোটি টাকার মালামালের ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগুন লাগার সাথে সাথে বাজার ও আশপাশের এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তাদের সাথে স্থানীয়রা অগ্নি নির্বাপনের কাজে সহায়তা করে। ঘটনাটি জানার পর ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন কেসিসি মেয়র আলহাজ¦ তালুকদার আব্দুল খালেক।
স্থানীয় বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল জব্বার জানান, রূপসা মাছের আড়তের পাশে রয়েছে ফলের বাজার। বাজারের ঘরগুলোর পাশে মাছ সংরক্ষনের জন্য ককসিট ও ঝুড়ি রাখার একটি ঘর রয়েছে। সেখান থেকে মূলত: এ আগুনের সূত্রপাত হয়ে বলে তিনি জানান।
প্রত্যক্ষদশী রুহুল আমিন বলেন, ঘটনস্থলের পাশে একটি চায়ের দোকনে চা পান করছিলেন। হঠৎ দেখেন ধোয়া। এরপর আগুন দেখে তিনি চিৎকার করতে থাকেন। পাশের লোকজন ছুটে আসে। কিন্তু এর মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। ধোঁয়ার কুন্ডলির কারণে চারপাশে অন্ধকার হয়ে যায়। বাজারের ভেতর কেউ প্রবেশ করতে পারেনি। পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
বাজারের যুগ্ম সম্পাদক জাহিদুর রহমান ঝন্টু বলেন, আগুনে প্রায় ৩০টি ঘর পুড়েছে। বাজারে মাছ সংরক্ষণের জন্য ককসিট ও ঝুড়ি রাখার একটি ঘর ছিল। আড়তের কার্যক্রম শেষে ওই ঘরের পাশে বাজারের ব্যবসায়ীরা সময় কাটান। সেখানে অনেকেই সিগারেট পান করে। সিগারেটের আগুন থেকেও এর সূত্রপাত হতে পারে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে ক্ষতিপূরণের জন্য প্রশাসনের প্রতি বাজার কমিটির পক্ষ থেকে অনুরোধ জানাচ্ছি।
ব্যবসায়ী মো: রবিউল ইসলাম রবিন জানান, অগ্নিকান্ডের সময় আমি বাইরে ছিলেন। মোবাইলে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। আড়তে নগদ টাকাসহ প্রায় ২৫ লাখ টাকার মালামাল ছিল। আগুনে পুড়ে সব ছাই হওয়ায় আমি এখন নি:স্ব।
বাজার সংলগ্ন সুলতানের বাড়ির ভাড়াটিয়া রাবেয়া আক্তার ঘটনাস্থলে দাড়িয়ে কাঁদছিলেন। তিনি বলেন, আগুনে তার সব পুড়ে গেছে। পরনের জামা ছাড়া আর কিছু নেই। তার স্বামী বাজারের মধ্যে চায়ের ব্যবসায় করেন। আগুন লাগার পর থেকেই সেখানে ছিলেন তিনি।
ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, পৌনে এক ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। আগুনে ৩০-৩৫ টি দোকান ও বসতঘর পুড়েছে। এছাড়া সামান্য ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আরও ১০-১৫টি ঘর। এরমধ্যে ৩০টির ঘর বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে। তবে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি। সার্বিক বিষয়ে কাজ চলছে। এ ঘটনায় তাদের দু’জন সদস্য সামান্য আহত হয়েছেন।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA