শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:০৮ পূর্বাহ্ন
মোংলা প্রতিনিধিঃ
পুলিশ ও ভুক্তভোগী জানায়, সোমবার রাত ৮ টার দিকে দোকানে ঐষধ কিনতে গেলে মোংলা শহরতলীর কলেজের সামনের রাস্তা থেকে এক কিশোরীকে মোটর সাইকেল যোগে তুলে নিয়ে অভিযুক্ত কয়েক দুই যুবক। উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের বাঁশতলা এলাকায় একটি চিংড়ি ঘেরের ঘরে অভিযুক্তরা ছাড়া আরো কয়েকজন মিলে চোখ মুখ বেধে রাতভর গণধর্ষণ করে ওই ঘরেই আটকে রাখে। এসময় বাচাঁর জন্য আকুতি জানালে ওই কিশোরীকে মারধরও করা হয় বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। পরে মঙ্গলবার গভীর রাতে হত্যার উদ্দোশ্যে গাড়ীর থেকে তাকে মিঠাখালীর মৌখালী ব্রিজের পাশে ফেলে যায় অভিযুক্তরা বলে জানায় ভুক্তভোগী ওই কিশোরী ও তার স্বজনরা। পরে পথচারী ও স্থানীয়রা গুরুতর অসুস্থ্য অবস্থায় ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনার অভিযোগ পেয়ে মোংলা থানা পুলিশ মঙ্গলবার রাতভর অভিযান চালিয়ে মোংলা উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের বাঁশতলা গ্রামের মনিরুল ফকিরের ছেলে রুমান ফকির (২৫), ওলি শেখের ছেলে রানা শেখ (২৪), তায়জিদ খানের ছেলে মোঃ সুমন (২৯), বাশার মোছাল্লীর ছেলে মিজানুর মোছাল্লী, (৩৫) ও চিলা ইউনিয়নের হলদিবুনিয়া পঙ্গুর মোড় এলাকার মৃত চানমিয়া শেখের ছেলে রাসেল শেখ (২২) কে আটক করা হয়েছে। আর মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে মোঃ জামাল (৪৫), মোঃ লুৎফরের ছেলে মোঃ আওয়াল (৩৫) পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে বলেও জানায় পুলিশ। বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে এ ঘটনায় ৭ জনের বিরুদ্ধে গণ ধর্ষণের মামলা রেকর্ড শেষে গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে মোংলা থানা। যার মামলা নং-০৬। ভুক্তভোগী ওই নারীকে ডাক্তারী পরিক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এবং চিকিৎসার জন্য খুলনায় পাঠানো হবে বলে জানায় পুলিশ। অভিযুক্তরা এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।
মোংলায় গত ২০ বছরে এরকম গন ধর্ষনের ঘটনা ঘটেনী, তবে এর সাথে জড়িতদের কঠোর সাস্তির দাবী জানায় অনেকেই।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA