বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে টানা তিনবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে হ্যাট্রিক করেছেন আবু তাহের হাওলাদার। ২৭ হাজার ২৬৬ ভোট পেয়ে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আবারও চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
এই নির্বাচনে বই প্রতীকের জামাল হোসেন ১৪ হাজার ৮১৫ ভোট পেয়ে ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন। আর নারী ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন কলস প্রতীকের কামরুন্নাহার হাই। তিনি পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৮৪০ ভোট।
রবিবার (৯ জুন) রাত ১১টায় সহকারি রিটার্নিং ও মোংলা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন তাদেরকে বেসরকারিভাবে জয়ী ঘোষণা করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও মোংলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নিশাত তামান্না।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আবু তাহের হাওলাদারের কাছে পরাজিত হয়েছেন দোয়াত কলম প্রতীকের মোংলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম হাওলাদার। তিনি ভোট পান ১২ হাজার ৪৭১ এবং অপর পরাজিত প্রার্থী আনারস প্রতীকের মোংলা উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন পান ১৮ হাজার ২৬৬ ভোট। এক লাখ ২০ হাজার ২৬৫ ভোটারের মধ্যে এ উপজেলায় ৪৮টি কেন্দ্রে মোট ভোট পড়ে ৪৯ দশমিক ৯৮ ভাগ।
এদিকে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদারের কাছে ধরাশায়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম হাওলাদার ও যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন। ইকবাল হোসেন ও ইব্রাহিম হাওলাদার তুলনামূলক কম ভোট পেয়ে আবু তাহের হাওলাদারের ধারে যেতে পারেনি। আবু তাহের হাওলাদারকে হারাতে পরাজিত দুই প্রার্থীর পক্ষে পৌর মেয়র, ১১ কাউন্সিলর ও তিন ইউপি চেয়ারম্যানসহ একাধিক হেভিওয়েট নেতা একাট্টা হলেও শেষ পর্যন্ত ধরাশায়ী হয়েছেন সবাই।
এ প্রসঙ্গে চিলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাজী আকবর হোসেন, চাঁদপাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোল্লা তরিকুল ইসলাম ও সোনাইলতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নারজিনা বেগম বলেন, আবু তাহের হাওলাদার একজন ভালো মনের মানুষ। অর্থেবিত্তে প্রভাবশালী হলেও তার চলাফেরা একেবারেই সাধারণ মানুষের মতো। নিরহংকারী ও সততাই তার আড় পুৃজি। এজন্যই তার প্রতিপক্ষরা সব চেষ্টা করেও তাকে হারাতে পারেনি।
এদিকে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদারকে অভিনন্দন জানাতে পৌর শহরের ১ নং জেটি এলাকায় তার নির্বাচনী কার্যালয়ে কয়েক হাজার কর্মি-সমর্থকরা জড়ো হন। ফুলের মালা পড়িয়ে তারা আনন্দে ভাসেন। চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার বলেন, ‘তার এই বিজয় মোংলা উপজেলাবাসীর। দুইবার চেয়ারম্যান হয়ে মানুষের জন্য কাজ করেছি। অন্যায় ও দূর্ণীতি কি জিনিস তা আমি বুঝিনা, সত্য ও সততাকে বুকে ধারন করে এ পর্যন্ত এসেছি। তাই সাধারণ মানুষ আমাকে আবারও ভোট চেয়ারম্যান বানিয়েছেন’।