শনিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৫:৫৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
খুলনার সবজির বাজারে দামে স্বস্তি;কমেছে গোশ ও মাছের দাম  নির্বাচনের ট্রেন চলছে, কেউ থামাতে পারবে না : ওবায়দুল কাদের শেখ হাসিনা আমাকে এমপি না, জনতার সেবা করতে পাঠিয়েছেন : এস এম কামাল হোসেন ডলারের দাম আরও কমলো খুলনায় কয়লা ও গ্যাসসহ জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিশ্বব্যাপী নিরাপদ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিকী প্রদর্শন খুলনা—১ আসন: জনগণের জন্য কাজ করতে চান সাবেক এমপি ননী গোপাল নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আহসান হাবিব খান (অব:) এর খুলনা সফরসূচি বিএনপি নেতার ভাইয়ের ইন্তেকালে শোক মাদকাসক্ত পুনর্বাসন কেন্দ্রে নোবেল গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে নড়াইলের নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময়

উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে : কুয়েটে বীর মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

দেশ প্রতিবেদক :
  • প্রকাশিত সময় : রবিবার, ৬ মার্চ, ২০২২
  • ১১১ পড়েছেন

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে উন্নয়নের যে জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে তা ধরে রাখতে হলে নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বড় করতে হবে।

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) আয়োজিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে কুয়েট এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। খুলনা মহানগর ও জেলার ৫১ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে কুয়েট অডিটোরিয়ামে রবিবার এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, নতুন প্রজন্ম যেন স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস জানতে পারে সেজন্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কন্ঠে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকথা সংরক্ষণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। সংকলিত এ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ‘বীর গাঁথা’ হিসেবে প্রকাশ করা হবে। একসময় মুক্তিযোদ্ধারা থাকবেন না কিন্তু তাদের কন্ঠের এই রেকর্ড যুগ যুগ ধরে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে পড়বে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোলমডেলে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর ২৯ বছর দেশটা পেছন দিকে হেটেছে। গত এক দশকে যে উন্নয়ন হয়েছে আগের ৩০ বছরেও তা হয়নি। দেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। ২০৪১ সালে উন্নত দেশে উন্নীত হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের উন্নয়নে সরকার সব ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে মোজাম্মেল হক বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা-বোনাস বাড়ানো হয়েছে। জেলা-উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স করা হয়েছে। জাতীয় পরিচয়পত্রে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ লেখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যুদ্ধের স্থান, বধ্যভূমি ইত্যাদি সংরক্ষণ ও স্মৃতিসৌধ স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের অত্যন্ত সচেতন, সক্রিয় ও অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে কাজ করতে হবে। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। সেই দেশ আবারও পরাজিত শক্তির হাতে চলে যাবে এটা আমরা চাই না। ভবিষ্যৎ প্রজন্মদেরকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষকদের দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে”।

সম্মাননা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান ও খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত জানান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা উদযাপন কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. বাসুদেব চন্দ্র ঘোষ।

অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা অনুষ্ঠান উদ্যাপন কমিটির সদস্য-সচিব ড. মোঃ আব্দুল হাসিবসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দকে শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করা হয়। এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্য থেকে বক্তৃতা রাখেন কুয়েটের প্রাক্তন ছাত্র বীর প্রতীক গোলাম আজাদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এম কামাল উদ্দিন আহমেদ, খানজাহান আলী থানা কমান্ডের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা স. ম. রেজওয়ান আলী, খুলনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা খান মোহাম্মদ আলী, খুলনা জেলা ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ সরদার মোঃ মাহবুবার রহমান, খুলনা মহানগর ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মোঃ আলমগীর কবির। অনুষ্ঠানে কুয়েট পরিবারের মুক্তিযোদ্ধা, খুলনা মহানগরে বসবাসরত যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, খুলনা জেলা ইউনিট কমান্ড, খুলনা মহানগর ইউনিট কমান্ড, খুলনা মহানগরের বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা, খুলনা সদর থানা কমান্ড, রুপসা উপজেলা কমান্ড, ডুমুরিয়া উপজেলা কমান্ড, খালিশপুর থানা কমান্ড, সোনাডাঙ্গা থানা কমান্ড, দিঘলিয়া থানা কমান্ড, দৌলতপুর থানা কমান্ডের বীর মুক্তিযোদ্ধাগণকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এসময় বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিক্ষার্থী ও আমন্ত্রিত অন্যান্য অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এধরনের আরো সংবাদ

Categories

© All rights reserved © 2019 LatestNews
Hwowlljksf788wf-Iu