বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩০ অপরাহ্ন
খুলনার ডুমুরিয়ায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রভাবশালী ব্যক্তি কর্তৃক সরকারি খালের জায়গা মাটি ভরাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোলনা গ্রামের।
এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে রোববার ভূক্তিভোগী এলাকাবাসীর পক্ষে রফিকুল ইসলাম খানসহ ৫ জন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগ ও সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, জেলা ডুমুরিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোলনা মৌজার কোদাল কাঁটা বিলের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ গোলনা খাল। বর্ষা মৌসুমে কোদালকাঁটা বিল হতে ওই খাল দিয়ে গোলনা নদীতে পানি নিষ্কাষিত হয়ে থাকে।অভিযোগ উঠেছে খালের পাড়ে বসবাসকারি স্হানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি মোঃ মোমিন খান সরকারি ওই খালের কিছু অংশ মাটি দ্বারা ভরাট করে গত জানুয়ারী মাসের মাঝামাঝি সময়ে স্হাপনা তৈরীর শুরু করে। বিষয়টি নিয়ে স্হানীয় লোকজন মোমিন খানকে নিষেধ করলে তিনি কারো কথায় কর্ণপাত না করে মাটি ভরাট কাজ অব্যহত রাখে। এমনকি বাঁধা প্রদানকারীদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি ধামকি দেন। উপায়ন্ত না দেখে বিষয়টি স্হানীয় কতিপয় ব্যক্তি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করলে তিনি তাৎক্ষনিক ভাবে ভূমি অফিসের সার্ভেয়ারকে পাঠিয়ে খাল ভরাটের কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন। কিছুদিন কাজ বন্ধ থাকার পর আবার মাটিভরাট কাজ শুরু করেছেন ওই প্রভাবশালী ব্যক্তি। এ ঘটনায় আজ স্হানীয় ভূক্তভোগী রফিকুল ইসলাম খান, মহাসিন খান, মোজাম্মেল হোসেন খান, ইকবাল খান ও ইউসুফ খান উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মো: মোমিন খান জানান, তিনি যে জায়গা ভরাট করছেন তা তার নিজস্ব জমি। কোন সরকারি খালের জমি নয়। তবে কাউকে হুমকি-ধামকি দেয়ার অভিযোগের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবদুল ওয়াদুদ বলেন, ইতোপূর্বে অভিযোগ পেয়ে একজন সার্ভেয়ার পাঠিয়ে মাটি ভরাট কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছিলো। তারপরও যদি বেআইনী ভাবে খালের জমি ভরাটের কাজ শুরু করে থাকে তা হলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্হা নেয়া হবে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA