শনিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:২২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
খুলনার সবজির বাজারে দামে স্বস্তি;কমেছে গোশ ও মাছের দাম  নির্বাচনের ট্রেন চলছে, কেউ থামাতে পারবে না : ওবায়দুল কাদের শেখ হাসিনা আমাকে এমপি না, জনতার সেবা করতে পাঠিয়েছেন : এস এম কামাল হোসেন ডলারের দাম আরও কমলো খুলনায় কয়লা ও গ্যাসসহ জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিশ্বব্যাপী নিরাপদ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিকী প্রদর্শন খুলনা—১ আসন: জনগণের জন্য কাজ করতে চান সাবেক এমপি ননী গোপাল নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আহসান হাবিব খান (অব:) এর খুলনা সফরসূচি বিএনপি নেতার ভাইয়ের ইন্তেকালে শোক মাদকাসক্ত পুনর্বাসন কেন্দ্রে নোবেল গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে নড়াইলের নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময়

রামপালে মই দিয়ে উঠতে হচ্ছে ব্রীজে

আবু হোসাইন সুমন, মোংলা, বাগেরহাট :
  • প্রকাশিত সময় : রবিবার, ১৫ মে, ২০২২
  • ১২৫ পড়েছেন

বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার হুড়কা ইউনিয়নের বগুড়া নদীর উপর নির্মাণাধীন বগুড়া খেয়াঘাট ব্রীজটির কাজ গত চার বছরেও শেষ হয়নি। এর ফলে অনেকটা বাধ্য হয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে র্নিমাণাধীন ওই ব্রীজটি দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে ১০ গ্রামের প্রায় ৭ হাজার মানুষ। তবে উপজেলা প্রকৌশলী বলছেন, করোনা মহামারীতে বিলম্ব ও ব্রীজটির সংযোগ সড়কের জায়গা নিয়ে স্থানীয় দুই ব্যক্তির করা মামলার কারণে দুই দফায় ব্রীজটির নির্মাণ কাজের সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, এলজিইডি’র অর্থায়নে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে নির্মাণ কাজ শুরু হয় বগুড়া খেয়াঘাট ব্রীজটির। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আইটি এন্ড জেই এই ব্রীজটির নির্মাণ কাজ শুরু করে। ৬০ মিটার দৈর্ঘ্যের ওই ব্রীজটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ কোটি ৯২ লাখ ৫১ হাজার ১৩৩ টাকা। ইতিমধ্যে ব্রীজটির ৯৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে জনসাধারণের চলাচলের জন্য ব্রীজটি উম্মুক্ত করে দেয়ার কথা বলা হলেও সেটি সম্ভব হয়নি। নতুন করে মেয়াদ বাড়িয়ে আগামী জুন মাসে ব্রীজটি উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হুড়কা ইউনিয়নের বেলাই, ভেকটমারী, গাজিখালী, কাঠামারী, নলবুনিয়া, গজগজিয়া, হুড়কা, চাড়াখালী ও ছিদামখালী গ্রামের প্রায় ৭ হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এই ব্রীজটি। ব্রীজটির সংযোগ সড়কের কাজ এখনো শেষ হয়নি। সংযোগ সড়কের ব্যবস্থা না থাকায় বাঁশের মই দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় অমল দাস বলেন, কয়েক বছর ধরে দেখছি এই ব্রীজটার কাজ হচ্ছে, কাজ কবে যে শেষ হবে তার তো ঠিক ঠিকানা নেই। রামপাল সদর, মোংলা ও বাগেরহাট যাওয়ার জন্যই আমাদের এই নদী পার হয়ে যেতে হয়। এছাড়া আমাদের তো আর কোন উপায় নেই, তাই বাধ্য হয়ে ব্রীজে লাগানো মই বেয়ে যেতে হয়। আমরা কি করবো, আমাদের তো বিকল্প কোন উপায় নেই।

সুজন মজুমদার বলেন, হুড়কা ইউনিয়নের অধিকাংশ মানুষ দরিদ্র। তারা কৃষিকাজ, মৎস্য ও মোংলা ইপিজেডে শ্রমিকের কাজ করেন। বগুড়া নদী পার হয়ে তাদের শহরের যাতায়াত করতে হয়। এছাড়া যাতায়াতের বিকল্প যে পথটি রয়েছে সেটি প্রায় ১০ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয়। তাই হাজার হাজার মানুষের যাতায়াতের সহজ মাধ্যম এই ব্রীজটি দ্রুত মানুষের চলাচলের উন্মুক্ত করার দাবী জানাচ্ছি।

হুড়কা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তপন কুমার গোলদার বলেন, ২০১৮ সালের শেষের দিকে বগুড়া খেয়াঘাট ব্রীজটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। প্রথম দিকে ব্রীজটির নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে চললেও একটা সময় করোনা মহামারী ও জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত মামলার কারণে ব্রীজটির কাজ থেমে যায়। মুলত ব্রীজটির নির্মাণ কাজ শেষ হতো অনেক আগেই। সমস্যা হচ্ছে ব্রীজটির এক অংশের সংযোগ সড়ক নিয়ে। সংযোগ সড়কটির কিছু অংশ ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি থাকায় স্থানীয় বাসিন্দা খিরোজ দাস ও প্রতাপ রায় নামের দুই ব্যক্তি মামলা করেন। ওই মামলার কারণে ব্রীজটির সংযোগ সড়কের নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। জমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ বাবদ খিরোজ দাসকে দুই লাখ ও প্রতাপ রায়কে এক লাখ ২৫ হাজার দেয়ার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে। ফলে দ্রুত সংযোগ সড়কের কাজ শেষ করে গুরুত্বপূর্ণ ব্রীজটি উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।

রামপাল উপজেলা প্রকৌশলী মো. গোলজার হোসেন বলেন, করোনা মাহামারী ও সীমানা জটিলতায় মামলার কারণে বগুড়া খেয়াঘাট ব্রীজটির কাজ দুই দফা পিছানো হয়েছে। ইতিমধ্যে ব্রীজটির ৯৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন সংযোগ সড়কের কাজ চলছে। আশা করছি আগামী জুন মাসে ব্রীজটি জনসাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। সীমানা জটিলতায় যারা মামলা করেছিলো, তাদের জমি অধিগ্রহণ বাবদ ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে। বর্তমানে দ্রুত গতিতে সংযোগ সড়কের নির্মাণ কাজ চলছে। #

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এধরনের আরো সংবাদ

Categories

© All rights reserved © 2019 LatestNews
Hwowlljksf788wf-Iu