• E-paper
  • English Version
  • শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:৫৮ পূর্বাহ্ন

×

নিয়ম ভেঙ্গে খুলনা স্টেশন মাষ্টারের সংবাদ সম্মেলন : অভিযোগ ধামাচাপার চেষ্টা

  • প্রকাশিত সময় : রবিবার, ২২ মে, ২০২২
  • ১৮১ পড়েছেন

রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নিজ অফিসেই সংবাদ সম্মেলন করেছেন খুলনা রেলওয়ে স্টেশন মাষ্টার মানিক চন্দ্র সরকার। রবিবার সন্ধ্যা ৭টায় প্রতিষ্ঠানের নিয়মনীতি উপেক্ষা করে খুলনা রেলওয়ে স্টেশনের নিজ অফিসে তিনি এ সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় তিনি বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন । তবে স্টেশন মাষ্টারের বিরুদ্ধে মিডিয়ায় যেসব অভিযোগ বিভিন্ন সময়ে এসেছে বলে তিনি দাবি করেছেন সে বিষয়ে কোন উপযুক্ত প্রমান দেখাতে পারেননি। এমনকি তার বিরুদ্ধে টিকিট কালোবাজারে বিক্রি, অফিসে নিয়মিত না বসা, কারো ফোন রিসিভ না করা, অধঃস্তনদের সাথে দুর্ব্যবহার করা, তেল চুরি এবং তেল বিক্রির টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগের বিষয়ে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।

সংবাদ সম্মেলনে স্টেশন মাষ্টার মানিক চন্দ্র সাহা বলেন, কিছুদিন ধরে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। খুলনা রেলওয়ে স্টেশনের যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারীরা টিকিট কালোবাজারীর সাথে জড়িত তাদের নামে জিডি করার পর থেকেই তার বিরুদ্ধে এই অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে তিনি দাবি করেন।

এরআগে কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে জিডি করা এবং এখন প্রতিষ্ঠানের নিয়ম ভেঙ্গে সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছেন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার ও অভিযোগ এসেছে তাই আমি অবহিত করার জন্য সাংবাদিকদের আমার অফিসে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। এক্ষেত্রে নিয়ম ভাঙ্গার কোন প্রশ্ন উঠে না।

স্টেশনে তেলের ল্যাম্প না থাকলেও তার জন্য ১৪ লিটার তেলের টাকা এখনও বরাদ্দ দেওয়া হয় এবং সেই টাকা স্টেশন মাষ্টার উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, তেলের জন্য মাসিক প্রায় ১১ হাজার টাকা আমি একা নেই না। এগুলো বিভিন্ন সেকশনে ভাগ করে দেয়া হয়।

চলতি মাসের ১৫ মে স্টেশন মাষ্টারের স্বাক্ষরিত ২৫টি টিকিট ভিআইপিদের নামে বরাদ্দ দেয়া হয় এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে ১৭টি টিকিট দেয়ার জন্য সুপারিশ করি। অতিরিক্ত টিকিট বরাদ্দের বিষয়ে আমার জানা নেই।

স্টেশনের মাষ্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও তাকে সবসময় অফিসে ও ফোনে না পাওয়ার বিষয়ে তিনি জানান, তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে আমাকে সম্পূর্ণ স্টেশনের দেখভাল করতে হয়। সে কারণে আমি সবসময় অফিসে বসতে পারি না এবং ফোনও রিসিভ করা সম্ভব হয় না। তবে এজন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।

কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করা নিয়ম বর্হিভূত কিনা এবং এতে প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে কিনা জানার জন্য বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেনকে মুঠোফোনে (০১৭১১-২৬৩৮৪৬) ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

এ বিষয়ে বক্তব্য নেয়ার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (পাকশী) মো. শাহীদুল ইসলামের মুঠোফোনে (০১৭১১-৫০৬১৩০) ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA