• E-paper
  • English Version
  • শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:৪৯ পূর্বাহ্ন

×

সরকারি অর্থ লোপাটে এনজিও-সরকারী কর্মকর্তা সবাই একাট্টা : দূর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে এনজিওকে পুরষ্কৃত করে শিক্ষা ব্যুরো কর্মকর্তার শুদ্ধাচার পালন

  • প্রকাশিত সময় : মঙ্গলবার, ২১ জুন, ২০২২
  • ১৬৯ পড়েছেন

বাগেরহাটে ঝরে পড়া শিশুদের নিয়ে সরকারের শিক্ষা কর্মসূচিতে স্থানীয় এনজিও “সুখী মানুষ” এর ব্যাপক অনিয়ম-দূর্নীতির অভিযোগ থাকলেও তাদেরকে সরকারের কোটি কোটি টাকা লোপাট করার সুযোগ করে দিচ্ছে উপানুষ্টানিক শিক্ষা ব্যুরোর কর্মকর্তারা। এনজিও “সুখী মানুষ” এর অনিয়ম দূর্নীতির বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো সরকারের র্অথ লোপাটে শিক্ষা ব্যুরোর বাগেরহাট জেলা কর্মকর্তা থেকে মহাপরিচালক সবাই একাট্টা। উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুারো বাগেরহাটের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক হুমায়ুন কবির সরদার বাগেরহাটে যোগদানের পর থেকেই এ অর্থ লোপাটে সহায়তা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই ঝরেপড়া শিশুদের নিয়ে সরকারের শিক্ষা কর্মসূচি বাস্তবায়নে নিয়োজিত ”সুখী মানুষ” নামের এনজিওকে বৈধতা দেওয়ার জন্য তিনি মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তার এ কাজে পরিপূর্ন সহযোগীতা করছেন শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক নিজেই। এ নিয়ে স্থানীয়রা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে যথাযথ তদন্ত পূর্বক এনজিও সুখী মানুষসহ জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের দাবীও জানিয়েছেন ।

জানা গেছে, ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের কারনে গত দুই বছর আগে বাগেরহাটের বিভিন্ন উপজেলায় আউট অব স্কুল চিলড্রেন প্রোগামের বিভিন্ন পদে নিয়োগ বন্ধ করা হয়।কিন্তু উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুারো বাগেরহাটের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক হুমায়ুন কবির সরদার বাগেরহাটে যোগদানের পর বন্ধ থাকা নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিষয়ে কোন তদন্ত ছাড়াই আবারও শুরু করার অনুমতি দিয়েছেন। এনজিও সুখী মানুষ কর্তৃক ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় এর আগে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো বাগেরহাটের দুই সহকারি পরিচালক নিয়োগ বন্ধ করে দিয়েছিলেন। একই সাথে সুখী মানুষ এনজিও’র ব্যাপক দুর্নীতি প্রমান হওয়ায় ওই কর্মকর্তারা এনজিওটিকে নতুন করে নবায়ন না দিতে পত্র দিয়েছিলেন উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো মহাপরিচালককে। কিন্তু মহাপরিচালক মো: আতাউর রহমান সে দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে কর্ণপাত করেননি। বরং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জালিয়াতির অভিযোগের নামকাওয়াস্তে তদন্তের প্রক্রিয়ার মধ্যেই এনজিওটিকে বৈধতা দেওয়ার প্রায় সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ফেলেছেন। এনজিওটিকে কেন এতো সুবিধা দিতে প্রস্তুত শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক মো: আতাউর রহমান তা নিয়ে নানা ধরনের সমালোচনা ও অণৈতিক লেনদেনের গুঞ্জন রয়েছে বাগেরহাটের সাধারন মানুষের মধ্যে।

এদিকে, বাগেরহাটের সহকারী পরিচালকের দফতরে “সুখী মানুষ”এনজিওর বিরুদ্ধে প্রায় অর্ধশত দুর্নীতির অভিযোগ জমা পড়েছে। এরমধ্যে ৩২টি অভিযোগের প্রমান পেয়েছে সহকারি পরিচালকের দফতর। যার মধ্যে সহকারি পরিচালকের নাম এবং সীল জাল করে নিয়োগ দিতে বিভিন্ন এনজিওর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা পযর্ন্ত ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ছিল। ওই জালিয়াতির প্রমানও রয়েছে। তারপরও একটি নামকাওয়াস্তের তদন্ত কমিটি দিয়ে ৩টি অভিযোগ তদন্ত করে এনজিওটি কোনো দুর্নীতি করেনি এমন পরিচ্ছন্ন পত্র দেয় মহাপরিচালকের দফতর। অথচ তার আগেই এনজিওটির বিরুদ্ধে বড় ধরনের ব্যাংক জালিয়াতির অভিযোগ ওঠে। কিন্তু তখন এই জালিয়াতির তদন্ত না করে বরং এনজিওটিকে নতুন নবায়ন দেওয়ার পর ব্যাংক জালিয়াতির তদন্ত শুরু করা হয়েছে। প্রায় এক মাস হতে চলেছে ওই তদন্তেরও কোনো সুরাহা হয়নি। অথচ ঠিক একই রকম অভিযোগের ভিত্তিতে নড়াইলের অগ্রনী মহিলা উন্নয়ন সংস্থার বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত করে এনজিওটিকে কর্মসূচি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছেন, শিক্ষা ব্যুরোর মহারিচালক মো: আতাউর রহমানের এলপিআর মাত্র আর দুই মাস পরেই। অন্যদিকে মুন্সিগঞ্জ থেকে সুদূর বাগেরহাটের সহকারি পরিচালক পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব পাওয়া হুমায়ুন কবির সরদারের এলপিআরে যেতে সময় বাকি আছে মাত্র চার মাস। যে কারণে এই নিয়োগ নিয়ে চরম সমালোচনা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা ব্যুরোর অনেকেই। যে সহকারি পরিচালকের সময় সুখী মানুষ এনজিওর ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হয় তিনি এলপিআরে যাওয়ার পরে ওই পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয় গোপালগঞ্জের সহাকারি পরিচালক শুভ বনিককে। তিনি যোগদান করেও সুখী মানুষ এনজিওর নিয়োগসহ ব্যাপক অফিসিয়াল দুর্নীতির সত্যতা পান। দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের সরকারি টাকা লোপাট বন্ধে তিনি ওই এনজিওর বিভিন্ন অনিয়ম তদন্ত শুরু করেন। তিনি যোগদানের ৮৫ দিনের মাথায় সুখী মানুষের অনুরোধে মহাপরিচালক আতাউর রহমান তাকে সরিয়ে দিয়ে মুন্সিগঞ্জ জেলা থেকে অতিরিক্ত দায়িত্বে নেওয়া হয় হুমায়ুন কবির সরদারকে। তবে খুবই কাছের জেলা খুলনা, গোপালগঞ্জ কিংবা পিরোজপুরের কোন সহকারি পরিচালককে না দিয়ে দুরবর্তী জেলা থেকে একজন সহকারী পরিচালককে বাগেরহাটের অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়েছেন। শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালকের এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে নানান প্রশ্ন উঠেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই দুই জেলার সহকারি পরিচালকরা সুখী মানুষ এনজিওর দুর্নীতি অনিয়মকে সহায়তা করতে রাজি হবে না এটা প্রায় ধরেই নিয়েছিল সুখী মানুষ এনজিওর নির্বাহী কর্মকর্তা। সেই জন্য তিনি হুমায়ুন কবির সরদারকে বাগেরহাটে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিতে মহাপরিচালককে লিখিতভাবে অনুরোধ করেন। তারপরই তাকে ওই দায়িত্বে দেওয়া হয়। সুখী মানুষ এনজিও’কে মহাপরিচালকের এই নানাবিধ সুবিধা দেওয়ার পেছনের কারণ নিয়ে নানা রকম জল্পনা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, উপানুষ্ঠানকি শিক্ষা খাতে ব্যাপক আর্থিক দুর্নীতি আর অনিয়মের ঘটনা ঘটে। ভূয়া বিল ভাউচার প্রদান, শিক্ষক এবং অন্যান্য নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিপুল অঙ্কের টাকা ঘুষ গ্রহণ এবং পার্টনার এনজিও নিয়োগে মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেন হয়। সুখী মানুষ” এনজিও সরকারের বারদ্ধকৃত প্রায় ৩৬কোটি টাকা লোপাটের উদ্দ্যেশে এই সব অনিয়মই করে চলেছে। যার একটা বড় অংশ উপানুষ্টানিক শিক্ষা ব্যুরোর কর্মকর্তাদের পকেটে যাবে বলে  সংশ্লিষ্ঠ অনেকেই অভিযোগ করেছেন।

অন্যদিকে, বাগেরহাটের অতিরিক্ত দায়িত্ব পাওয়ার পরই হুমায়ুন কবির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন, তার একটি যায়গায় তিনি লিখেছেন, আমাকে ৪টি জেলায় বদলি করিয়ে নিতে চেয়েছিলেন। কারন আমি কাজে সহযোগিতা করলেও ঘুষ নেই না। কিন্তু আমাকে বদলি করিয়ে নিতে না পেরে একটি জেলা অফিসের অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদানের কাজে তদ্বির করে সফল হয়েছেন একজন। হুমায়ুন কবির সরদারের কাছে এই প্রতিবেদকসহ সাংবাদিকরা জানতে চান, তার ফেসবুক ষ্ট্যাটাস মোতাবেক কে সেই ব্যক্তি যে তাকে তদবির করে বাগেরহাটের সহকারি পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দিতে পেরেছেন। মি. হুমায়ুন সরদার জানান, সুখী মানুষ’ নামের একটি এনজিও মহাপরিচালক বরাবর লিখিত দরখাস্ত করে তাকে বাগেরহাটের দায়িত্বে নিয়েছেন। এভাবে কোনো সহকারি পরিচালককে কোনো এনজিও তাদের কাজের সুবিধার্থে নিজের কর্ম জেলায় নেওয়াটা কতটা আইনগত বৈধ কিনা প্রশ্নের জবাবে মি. সরদার বলেন, আসলে তা নয়। সুখী মানুষ এনজিও শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক বরাবর লিখিতভাবে একজন সৎ কর্মকর্তা চেয়েছিলেন। সরাসরি তাকে চাওয়া হয়নি। তিনি লিখিত দরখাস্তটি ঠিক চোখেও দেখেননি বলে জানান। এ সময় সাংবাদিকরা হুমায়ুন সরদারের কাছে জানতে চান, সুখী মানুষ’ এনজিও’র বিরুদ্ধে ব্যাংক জালিয়াতিসহ আরো অনেক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে যার তদন্ত হচ্ছে। আপনাকে নির্ভর করার অর্থ কি ?  জবাবে হুমায়ুন কবির বলেন, আসলে দুর্নীতির তদন্ত করতে তিনি আসেননি। তার হাতে সময় কম। মাত্র ৪মাস পর এলপিআরে যাবেন। এই সময়ের মধ্যে সরকারি কর্মসূচি বাস্তবায়নে এনজিওটিকে সব রকম সহযোগিতা করতে চান। দুর্নীতির বিষয়গুলো উপানুষ্টানিক শিক্ষা ব্যুরোর প্রধান কার্যালয় দেখবে। তিনি বাগেরহাটে যোগদান করে শিক্ষা কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে চান সে জন্য মহাপরিচালকের অনুমোদনের পরেই সুখী মানুষকে নিয়োগ শুরুর কতা বলেছেন বলেও জানান তিনি।

সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, হুমায়ুন কবির সরদার চলতি জুন মাসের আট তারিখে বাগেরহাটের অতিরিক্ত সহকারি পরিচালক হিসেবে যোগ দিয়েছেন। যোগ দেওয়ার এক দুইদিন পরই তিনি দ্রুততার সঙ্গে সুখী মানুষ এনজিওটির অনুকূলে ২লাখ ৮৫ হাজার টাকার চেক প্রস্তুত করে রেখেছেন। তবে তিনি তা এখনও সুখী মানুষকে দেননি। এদিকে, সুখী মানুষ এনজিওর তালিকাভুক্ত কমপক্ষে ২৯জনকে নতুন করে নিয়োগ দিয়েছে সহকারী পরিচালক হুমায়ুন কবির সরদার। নিয়োগ পরিপত্রে (নথিনং-৩৮.০২.০১০০.০০০.১৪.০২৬.২১-৭৬) তিনি উল্লেখ করেছেন, সংস্থাটির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় অতিরিক্ত জনবল নিয়োগে প্রয়োজন অনুমোদন/ভূতাপেক্ষ অনুমোদন প্রদান করা যায়। এই পরিপত্র মোতাবেক সুখী মানুষের পছন্দমতো নতুন জনবল নিয়োগ এবং পুরাতন অনেক জনবল কোনো অজুহাত ছাড়াই অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। গত দেড় বছর আগে থেকে যে নিয়োগ প্রক্রিয়া ঘুষ দুর্নীতির অভিযোগে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল সেই নিয়োগ বাস্তবায়ন করছেন তিনি।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে, পেছনের যে কোনো তারিখে এই নিয়োগ কার্যকর করা হলে বিপুল অঙ্কের টাকার দুর্নীতি হবে। কাজ না করেই সরকারি টাকা হাতিয়ে নেবে লিড এনজিও সুখী মানুষ। এরকম একটি দুর্নীতি সৃষ্টি বা অবৈধ সুবিধা দিচ্ছেন অতিরিক্ত দায়িত্বে যোগ দেওয়া সহকারি পরিচালক হুমায়ুন কবির সরদার। তবে নিয়োগে যাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে সেই সব ভুক্তভুগিরাও বসে নেই। তারা এই নিয়োগের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করবেন বলে জানা গেছে।

দুর্নীতি বিষয়ক বিশ্লেষক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম এ বিষয়ে বলেন, সুখী মানুষ এনজিওকে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। যে এনজিওর বিরুদ্ধে ব্যাংক জালিয়াতির অভিযোগ তদন্ত হচ্ছে, নিয়ম অনুযায়ি তার অনুকূলে কোনো অর্থ ছাড়, নিয়োগ প্রদান করা বৈধ হবে না। কারণ ব্যাংক জালিয়াতি প্রমাণিত হলে ওই এনজিওটির নবায়ন বা নিয়োগ বাতিল হয়ে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে তদন্তকালীন সময় যে পরিমান সরকারি অর্থ ওই এনজিওটিকে দেওয়া হবে তা ফেরত পাওয়া অসম্ভব হবে। তার সকল কাজ অবৈধ বলে গণ্য হবে। তখনকার পদ্ধতিও অনুসরণ করা শিক্ষা অধিদফতরের পক্ষে অসম্ভব হতে পারে।

এদিকে, বাগেরহাটের স্থানীয় আইনজীবি ও মানবাধিকার কর্মীরা জানান, ভূতাপেক্ষ অনুমোদন সংবিধানের তৃতীয় ভাগের ২৭অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মৌলিক অধিকার হরণ। আইনের চোখে সবাই সমান। যাদের নিয়োগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে তাদের মৌলিক অধিকার নষ্ট করা হলো। যা সংবিধান এবং আইনের পরিপন্থি। অন্যদিকে নতুন করে সুখী মানুষ এনজিওর বিরুদ্ধে যে ব্যাংক জালিয়াতির তদন্ত শুরু হয়েছে তা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এনজিওটিকে কোনো ধরনের আর্থিক সুবিধা প্রদান বৈধ হবে না। কোনো সংক্ষুব্ধ স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিলে দুর্নীতির দায়ে ফেঁসে যেতে পারেন উদ্ধর্তন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

এদিকে গত ১৩জুন বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুখী মানুষ এনজিও’র দূর্নীতি ও অনিয়মের ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত খবরের তদন্ত শুরু করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারী কর্মকর্তা বলেন, বর্তমান সহকারি পরিচালক হুমায়ুন কবির সরদার তদন্তের সময় যে ভাষায় কথা বলেছে মনে হয়েছে সুখী মানুষের নিয়োগকৃত এ্যাডভোকেট। সুখী মানুষ সদর উপজেলার বেমরতা খালকুলিয়া গ্রামে অবস্থিত আর.এফ স্বতন্ত্র ইফতেদায়ী মাদ্রাসার ৬০জন ছাত্র ছাত্রী নিয়ে দুটি কেন্দ্র পরিচালনা করছেন। এবং ঐ মাদ্রাসার দুই জন শিক্ষকেও নিয়োগ দিয়েছেন ঝরে পড়া শিশুদের শিক্ষন কেন্দ্রের শিক্ষক হিসেবে। এরকমভাবেই চলছে বাগেরহাটে শিশু শিক্ষায় নিয়োজিত সুখী মানুষ এনজিও’র পাঠদান কেন্দ্রগুলি।

এ বিষয়ে উপানুষ্টানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক আতাউর রহমান জানান, তিনটি অভিযোগ সুখী মানুষ-এনজিও’র বিরুদ্ধে তার দফতরে জমা পড়েছিল। তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত হয়নি। কিন্তু এখন ব্যাংক জালিয়াতির তদন্ত হচ্ছে। তদন্ত প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA