শনিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:৩২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
খুলনার সবজির বাজারে দামে স্বস্তি;কমেছে গোশ ও মাছের দাম  নির্বাচনের ট্রেন চলছে, কেউ থামাতে পারবে না : ওবায়দুল কাদের শেখ হাসিনা আমাকে এমপি না, জনতার সেবা করতে পাঠিয়েছেন : এস এম কামাল হোসেন ডলারের দাম আরও কমলো খুলনায় কয়লা ও গ্যাসসহ জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিশ্বব্যাপী নিরাপদ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিকী প্রদর্শন খুলনা—১ আসন: জনগণের জন্য কাজ করতে চান সাবেক এমপি ননী গোপাল নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আহসান হাবিব খান (অব:) এর খুলনা সফরসূচি বিএনপি নেতার ভাইয়ের ইন্তেকালে শোক মাদকাসক্ত পুনর্বাসন কেন্দ্রে নোবেল গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে নড়াইলের নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময়

মোংলায় সরকারী খালের অবৈধ বাঁধ অপসারণ শুরু করেছেন স্থানীয় প্রশাসন

আবু হোসাইন সুমন, মোংলা :
  • প্রকাশিত সময় : বুধবার, ৬ জুলাই, ২০২২
  • ১৭৪ পড়েছেন

♠♠উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার জানান, উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ৫৫টি সরকারী রেকর্ডিয় খাল রয়েছে। প্রতিটি খালে এক বা একাধিক বাঁধ দিয়ে চিংড়ি ঘের করে আসছিলো স্থানীয় জমি ও ঘের মালিকেরা। বুধবার সকাল থেকে ওই সকল খালের অবৈধ বাঁধ অপসারণের কাজ শুরু করা হয়েছে। প্রথমেই চাঁদপাই ইউনিয়নের কালিকাবাড়ী তারপর কাঠালতলা খালের বাঁধ অপসারণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল বাঁধই অপসারণ করা হবে বলেও জানান তিনি। ৫৫টি খালে প্রায় শ’খানেক বাঁধ রয়েছে।

মোংলায় শুরু হয়েছে সরকারী রেকর্ডিয় খালের অবৈধ বাঁধ অপসারণের কাজ। বুধবার সকাল থেকে এ বাঁধ অপসারণের কাজ শুরু করেন স্থানীয় প্রশাসন। কালিকাবাড়ী খালে বাঁধ থাকায় চলতি বর্ষা মৌসুমে ওই এলাকায় সিলেটের মত বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ বাঁধ কাটায় সাধারণ মানুষের জলাবদ্ধতার নিরসন হবে। বাঁধ অপসারণ এ অভিযানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদারের সাথে রয়েছেন কোস্ট গার্ড, পুলিশ, আনসারসহ ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার জানান, উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ৫৫টি সরকারী রেকর্ডিয় খাল রয়েছে। প্রতিটি খালে এক বা একাধিক বাঁধ দিয়ে চিংড়ি ঘের করে আসছিলো স্থানীয় জমি ও ঘের মালিকেরা। বুধবার সকাল থেকে ওই সকল খালের অবৈধ বাঁধ অপসারণের কাজ শুরু করা হয়েছে। প্রথমেই চাঁদপাই ইউনিয়নের কালিকাবাড়ী তারপর কাঠালতলা খালের বাঁধ অপসারণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল বাঁধই অপসারণ করা হবে বলেও জানান তিনি। ৫৫টি খালে প্রায় শ’খানেক বাঁধ রয়েছে।

কালিকাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা শংকর বৈদ্য বলেন, বাঁধ অপসারণ করায় আমরা গ্রামবাসী ইউএনও স্যার ও সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। এতোদিন আমরা জলাবদ্ধতায় ছিলাম, খুব কষ্ট হতো। এখন পানি নিষ্কাশন হবে আমরা উপকৃত হবো।

একই গ্রামের অনিল মন্ডল বলেন, খাল আটকা থাকায় আমাদের ধান ও মাছ কোনটাই হচ্ছেনা। বিলে পানি ভরা ঘাসও নেই, গরু-ছাগল পুষতে পারিনা। খাল কাটায় উপকার হবে, জমিতে পানি ওঠানামা করবে, জলাবদ্ধতা থাকবেনা।

আর খুকু মন্ডল বলেন, এক দুইটি খালের বাঁধ কাটা হচ্ছে, সব কাটতে পারবেনা, এখানে টাকা পয়সার খেলা। অনেকদিন ধরেই এসব হয়ে আসছে। এখন কেটে দিয়ে যাচ্ছে দুই একদিনের মধ্যে এতে আবারও বাঁধ দিয়ে দিবে প্রভাবশালীরা।

চাঁদপাই ইউপি চেয়ারম্যান মোল্লা তারিকুল ইসলাম বলেন, খালে বাঁধ থাকায় পানি নামতে না পারায় কালিকাবাড়ী এলাকা জুড়ে সিলেটের মত বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ এলাকার দুইটি খালের বাঁধ কাটায় এ পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পাবে কয়েক গ্রামের মানুষ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার বলেন, সরকারী খালে যারা বাঁধ দিয়ে রেখেছেন তাদেরকে তা অপসারণে এক মাস আগে চিঠি দেয়া হয়েছে। তারা তা না করায় আমরা তা কাটতে মাঠে নেমেছি। এখানে কেউকে কোন রকম ছাড় দেয়া হবেনা। সকল বাঁধ অপসারণ করে খাল উম্মুক্ত রাখা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এধরনের আরো সংবাদ

Categories

© All rights reserved © 2019 LatestNews
Hwowlljksf788wf-Iu