সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:০৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
খুলনার পি ডব্লিউ ডি স্কুলের শ্রেণিকক্ষে প্রধান শিক্ষকের পরিবারসহ বসবাস  দৈনিক খুলনা টাইমস এখন ৬ষ্ঠ বর্ষে খুলনা ডিএনসির অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার খুলনার সবজির বাজারে দামে স্বস্তি;কমেছে গোশ ও মাছের দাম  নির্বাচনের ট্রেন চলছে, কেউ থামাতে পারবে না : ওবায়দুল কাদের শেখ হাসিনা আমাকে এমপি না, জনতার সেবা করতে পাঠিয়েছেন : এস এম কামাল হোসেন ডলারের দাম আরও কমলো খুলনায় কয়লা ও গ্যাসসহ জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিশ্বব্যাপী নিরাপদ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিকী প্রদর্শন খুলনা—১ আসন: জনগণের জন্য কাজ করতে চান সাবেক এমপি ননী গোপাল নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আহসান হাবিব খান (অব:) এর খুলনা সফরসূচি

নাগরিকদের প্রস্তাবিত উন্নয়ন পরিকল্পনা কেসিসি’র সেবার মান উন্নয়ন করবে : নাগরিক ফোরামের প্রাক-বাজেট সভায় সিটি মেয়র

দেশ প্রতিবেদক:
  • প্রকাশিত সময় : রবিবার, ১৭ জুলাই, ২০২২
  • ১৩৬ পড়েছেন

খুলনার সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, জনগণের সম্পৃক্ততা থাকলে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন কাজ পরিচালনা সহজতর হয়। অতীতে নাগরিক ফোরাম যেভাবে সিটি কর্পোরেশনকে সহযোগিতা করেছে সে ধরণের কর্মকাণ্ড ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে আশা করি।
তিনি রবিবার সকালে খুলনা নগর ভবনের শহীদ আলতাফ মিলনায়তনে নাগরিক ফোরামের আয়োজনে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রূপান্তর-এর সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা দ্যা এশিয়া ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে “সুশাসন উন্নয়নে জনসম্পৃক্তকরণ” প্রকল্পের প্রাক-বাজেট সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
সিটি মেয়র বলেন, সক্রিয় নাগরিক সম্পৃক্ততার মাধ্যমে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে কাজের স্বচ্ছতা, গতিশীলতা ও সংবেদনশীলতা জোরদার হয়। খুলনায় নাগরিক ফোরাম যখন সক্রিয় ছিল তখন নগরীর উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে জনঅংশগ্রহণ অনেক বেশী ছিল। আর এ জন্যেই ব্যক্তিগতভাবে আমি আগেও নাগরিক ফোরামকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছি, ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে। নাগরিক ফোরামের যে প্রস্তাবিত উন্নয়ন পরিকল্পনা আজ উপস্থাপন করা হলো এর মধ্য দিয়ে মনে করি আগামীতে কেসিসির সেবার মান উন্নয়ন করবে।
প্রধান অতিথি বলেন, ইতিমধ্যে খুলনা নগরীতের আরো কিছু উন্নয়নমূলক কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। শিববাড়ী মোড় পাবলিক হলের স্থানে ১৫তলা  সিটি সেন্টার নির্মান করা হবে। ময়ূর নদীর খননের জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই এ খনন কাজ শুরু হবে। খুলনা শহরের পানি নিষ্কাশন হয় রূপসা ও ভৈরব নদীতে। তাই এ নদীগুলোরও খনন করা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
সিটি মেয়র সাম্প্রতিক সময়ে নগরীর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কারণ হিসেবে মাদক ব্যবসাকে দায়ী করে বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরো তৎপর হতে হবে। তারা শহরের মাদক ব্যবসাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। সেই সাথে অবৈধ ইজিবাইকের বিরুদ্ধেও তারা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। সিটি কর্পোরেশন থেকে ৮ হাজার ইজিবাইকের লাইসেন্স দেওয়া হলেও নগরীতে ২০ হাজারেরও উপরে ইজিবাইক চলছে।
তিনি আরো বলেন, খুলনা মহানগরীকে তিলোত্তমা হিসেবে গড়ে তুলতে এর উন্নয়নের পাশাপাশি নগরবাসীকে আরো সচেতন হতে হবে। নগরীর বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ সিটি কর্পোরেশনের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীকেও তদারকি করতে হবে। যাতে করে এসব কাজে কোন ধরণের অনিয়ম না হয়। খুলনা নগরীকে একটি সুন্দর বাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
নাগরিক ফোরামের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম খোকনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশনের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোঃ জাকারিয়া, কেসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কর তাজুল ইসলাম ও প্যানেল মেয়র অ্যাড. মেমোরী সুফিয়া রহমান শুনু। মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তৃতা করেন নাগরিক ফোরামের সদস্য সচিব এ্যাড. সেলিনা আক্তার পিয়া। এসময়ে সিটি কর্পোরেশনের প্রাক-বাজেট নিয়ে বক্তৃতা করেন, কেসিসি‘র বাজেট কাম একাউন্টস অফিসার মো. মনিরুজ্জামান, কাউন্সিলর গাউসুল আজম, কাউন্সিলর শেখ হাফিজুর রহমান, কাউন্সিলর মোহাম্মহ আলী, কাউন্সিলর আনিছুর রহমান বিশ^াষ, নাগরিক ফোরামের পরিবেশ সচিব সৈয়দ আলী হাকিম, নাগরিক ফোরামের ২নং ওয়ার্ড সভাপতি শাহজাহান হাওলাদার, নাগরিক নেতা শাহিন জামান পন।
মতবিনিময় সভায় নাগরিক ফোরামের পক্ষ থেকে “সুশাসন উন্নয়নে জনসম্পৃক্তকরণ প্রকল্প” উপস্থাপন করা হয়। সেই সাথে ওয়ার্ড উন্নয়ন পরিকল্পনা বাজেটে অন্তর্ভূক্তির সুপারিশ করা হয়। সভায় নাগরিক ফোরামের পক্ষ থেকে খুলনায় পাবলিক হল পূন:নির্মান, খুলনা শহর রক্ষা বাঁধ ও রূপসা ব্রীজ হতে রুজভেল্ট জেটি হয়ে রেলিগেট পর্যন্ত রূপসা ও ভৈরব নদীর তীর ঘেঁষে রিভারভিউ পার্ক ও রোড নির্মাণ, নগরীর মশক নিধনে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, নগরীর প্রবাহমান খারগুলি অবৈধ দখলমুক্তকরণ, পাানি ও পয়:নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন ও ড্রেন সংস্কার, যেসব ওয়ার্ডে কাউন্সিরর অফিস নেই সেখানে অফিস কাম কমিউনিটি সেন্টার নির্মান, ডাকবাংলা, ময়লাপোতা, ফেরীঘাট, দৌলতপুর  ও ফুলবাড়ীগেটসহ রাস্তার মোড়সমূহে ফুটওভার ব্রীজ নির্মান, জোড়াগেট ও রূপসা পাইকেরী বাজারের আধুনিকায়ন, রূপসা ও দৌলতপুর এবং বয়রা এলাকার শশ্মানঘাট আধুনিকায়ন, এলাকাভিত্তিক ইজিবাইক ষ্টান্ড নির্ধারণ, নগরীতে খেলার মাঠ, পার্ক নির্মান ও সংস্কারের ব্যবস্থা গ্রহণ,  ৩১টি ওয়ার্ডে সুইমিং পুল কাম ওয়াকওয়ে নির্মান ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক চাহিদাসমূহ উপস্থাপন করা হয়।
সভায় রূপান্তরের নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার গুহ, কেসিসি’র কর্মকর্তাবৃন্দ, নাগরিক নেতা, জনপ্রতিনিধিবৃন্দ ও প্রিন্ট এবং ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এধরনের আরো সংবাদ

Categories

© All rights reserved © 2019 LatestNews
Hwowlljksf788wf-Iu