দেশ প্রতিবেদক :
রাজধানীর উত্তরায় বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের উড়ালসড়কের গার্ডারের চাপায় প্রাইভেট কারের নিহত পাঁচ আরোহীর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) বেলা পৌনে একটার দিকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে ময়নাতদন্ত হয়। ময়নাতদন্তে সুরতহাল প্রতিবেদনের চেয়ে আলাদা কিছু মেলেনি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ঢাকার উত্তরায় ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক নাসেদ জামিল বলেন, ‘নিহত ব্যক্তিদের বিষয়ে সুরতহাল প্রতিবেদনে যা লেখা আছে, আমরা ময়নাতদন্তে তাই পেয়েছি, ব্যতিক্রম কিছু নয়। নিহত প্রত্যেকের একাধিক পর্যবেক্ষণ (মাল্টিপল ফাইন্ডিংস) রয়েছে। প্রতিটার আলাদা করে বর্ণনা (ডেসক্রাইব) দেওয়া সম্ভব নয়। সুরতহাল প্রতিবেদনে যেভাবে বর্ণনা করা আছে, হুবহু আমরা তাই পেয়েছি।’
লাশ কখন হস্তান্তর করা হবে জানতে চাইলে চিকিৎসক বলেন, ‘আমাদের কাজ শেষ। এখন পুলিশ অন্যান্য প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে।’
গতকাল সোমবার ঢাকার দক্ষিণখানের কাওলা এলাকায় বউভাতের অনুষ্ঠান শেষে নবদম্পতি ও তাঁদের স্বজনেরা প্রাইভেট কারে আশুলিয়ায় যাচ্ছিলেন। বিকেল সোয়া চারটার দিকে উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরের প্যারাডাইস টাওয়ারের সামনের সড়কে চলন্ত অবস্থায় প্রাইভেট কারটির ওপর বিআরটি প্রকল্পের গার্ডার পড়ে। এতে ঘটনাস্থলে পাঁচজন নিহত হন।
দুর্ঘটনায় বেঁচে যান নবদম্পতি হৃদয় (২৬) ও রিয়া মনি (২১)। নিহত হন হৃদয়ের বাবা মো. রুবেল হাসান (৫০)। তিনি গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। পেছনে বসেছিলেন হৃদয়ের শাশুড়ি ও রিয়ার মা ফাহিমা আক্তার (৩৮), ফাহিমার বোন ঝর্ণা আক্তার (২৭), ঝর্ণা আক্তারের দুই শিশুসন্তান জান্নাতুল (৬) ও জাকারিয়া (৪)।