শনিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৫:৩৪ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
খুলনার সবজির বাজারে দামে স্বস্তি;কমেছে গোশ ও মাছের দাম  নির্বাচনের ট্রেন চলছে, কেউ থামাতে পারবে না : ওবায়দুল কাদের শেখ হাসিনা আমাকে এমপি না, জনতার সেবা করতে পাঠিয়েছেন : এস এম কামাল হোসেন ডলারের দাম আরও কমলো খুলনায় কয়লা ও গ্যাসসহ জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিশ্বব্যাপী নিরাপদ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিকী প্রদর্শন খুলনা—১ আসন: জনগণের জন্য কাজ করতে চান সাবেক এমপি ননী গোপাল নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আহসান হাবিব খান (অব:) এর খুলনা সফরসূচি বিএনপি নেতার ভাইয়ের ইন্তেকালে শোক মাদকাসক্ত পুনর্বাসন কেন্দ্রে নোবেল গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে নড়াইলের নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময়

খুলনায় প্লাটিনাম জুট মিলের পুরাতন মালামাল টেন্ডারে অভিনব কৌশলে সিন্ডিকেটের অভিযোগ  

দেশ প্রতিবেদক:
  • প্রকাশিত সময় : সোমবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২২
  • ১৩৫ পড়েছেন

বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশন (বিজেএমসি) নিয়ন্ত্রিত খালিশপুর প্লাটিনাম জুবিলী জুট মিলের পুরাতন মালামাল (স্ক্র্যাপ) বিক্রয়ের দরপত্র নিয়ে অভিনব কৌশলে সিন্ডিকেটের অভিযোগ উঠেছে। স্ক্র্যাপের দরপত্র বিজ্ঞাপনের সংশোধন, সিডিউল জমা দিতে গিয়ে বাধার মুখে পড়া সাধারণ ঠিকাদাররা টেন্ডারে সিন্ডিকেট হয়েছে এমনটাও অভিযোগ করছেন। এছাড়া মিলের মেশিন ও গুরুত্বপূর্ণ দামী যন্ত্রপাতিগুলো স্ক্র্যাপ হিসেবে বিক্রয় করার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও প্রথম বিজ্ঞাপনে সেগুলো বিক্রয়ের বিজ্ঞপ্তিতে সংযুক্ত করে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা ছিল বলে মনে করছে অনেকেই। সরকারি জুট মিলের বিপুল পরিমান অব্যবহৃত ও পুরাতন মালামাল সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নামমাত্র মূল্যে কেউ হাতিয়ে নিতে না পারে সেজন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কঠোর নজরদারীর দাবি করেছেন সাধারণ ঠিকাদাররা।

প্লাটিনাম জুবিলী জুট মিল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ সেপ্টেম্বর মিলের পুরাতন অব্যবহৃত মালামালের ৪৯টি লটের টেন্ডার সিডিউল ক্রয়ের জন্য কর্তৃপক্ষ স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়। বিজ্ঞাপনে টেন্ডার সিডিউল ক্রয়ের শেষ তারিখ ১৮ অক্টোবর এবং জমা দেওয়ার তারিখ ১৯ অক্টোবর উল্লেখ করা হয়। বিজ্ঞাপন দেয়ার ১৫ দিন পর ০৪ অক্টোবর ৩৫-৪৯নং লট বাদ দিয়ে কর্তৃপক্ষ সংশোধনী বিজ্ঞাপন পত্রিকায় প্রকাশ করে। বাদ দেওয়া ১৫টি লট ভুল করে টেন্ডার সিডিউলের তালিকার সাথে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ হয়। যেগুলো বিক্রয় করার বিষয়ে কর্পোরেশনের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কর্তৃপক্ষ পরে তা সংশোধনী আকারে টেন্ডার আহবান করে। পরবর্তীতে ৩৪টি লটের বিপরীতে ৭১টি দরপত্র সিডিউল বিক্রয় হয়। দরপত্র জমা পড়ে ২১টি। চলতি সপ্তাহে যাচাই বাচাই শেষে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি চূড়ান্ত করবে বলে জানায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বঞ্চিত ঠিকাদাররা অভিযোগ করে জানান, মিল কর্তৃপক্ষ দরপত্র আহবান করার পর তারা টেন্ডার সিডিউল ক্রয় করেন। কিন্তু ক্রয়ের কয়েক দিন পরেই মিল কর্তৃপক্ষ আবারো সংশোধনী আকারে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে টেন্ডার আহবান করে। এতে সাধারণ ঠিকাদাররা বিভ্রান্তিতে পড়েন। এসব সাধারণ ঠিকাদাররা নির্ধারিত দিন ১৯ অক্টোবর সিডিউল জমা দিতে গিয়ে আরেক বাধার মুখে পড়েন। টেন্ডার সিন্ডিকেটের কতিপয় ঠিকাদার ও কর্মকর্তারা জোটবদ্ধ হয়ে টেন্ডার জমা দেয়ার সময় অভিনয় কৌশল অবলম্বন করেন। তারা সাধারণ ঠিকাদারদের দরপত্র জমা না দেয়ার জন্য বলে এ দরপত্র বাতিল করার কথা জানায়। এখন দরপত্র জমা দিয়ে কোন লাভ হবে না। তাদেও কথায় সাধারণ ঠিকাদাররা সরল বিশ্বাসে টেন্ডার জমা না দিয়েই ফিরে যান। কিন্তু সিন্ডিকেট চক্র মিলের কতিপয় কর্মকর্তাদের যোগসাজসে ঐদিনই দরপত্র জমা দেন। এতে সাধারণ ঠিকাদাররা টেন্ডার জমা দেয়া থেকে বঞ্চিত হয়। সেই সাথে জুট মিলটির ভিতরের গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি গুলো প্রথমে দরপত্র বিজ্ঞপ্তিতে দিয়ে মিলের কিছু কর্মকর্তারা সেগুলো বিক্রয় করে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা ছিল বলেও তারা অভিযোগ করেন। সেই সাথে সংশোধনী বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সরকারী অর্থের অপচয় হয়েছে বলেও তারা জানান।

দরপত্র দাখিলের ক্ষেত্রে সিন্ডিকেট হয়েছে এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে খুলনা প্লাটিনাম জুবলি জুট মিলের উপ-মহাব্যবস্থাপক ও প্রকল্প প্রধান মো. মুরাদ হোসেন বলেন, ‘দরপত্র দাখিলের ক্ষেত্রে কোন সিন্ডিকেট হয়েছে কিনা এ বিষয়ে আমার জানা নেই। তাছাড়া শিডিউল যারা কিনেছে তাদের মধ্য থেকে কেউ আমাদের নিকট কোন অভিযোগ করেনি। আর সিন্ডিকেট হয়ে থাকলেও আমাদের কিছু করার নেই। কারণ নিয়ম অনুযায়ী সব হয়ে থাকলে কর্তৃপক্ষের কিছুই করার থাকে না। এখানে যে সবোর্চ্চ দরদাতা হবে সেই টেন্ডার পাবে। তবে দেড় কোটি টাকা স্ক্র্যাপ বুক ভ্যালু হলে ৫ থেকে ৮% বেশী দামে টেন্ডার জমা পড়েছে। চলতি সপ্তাহে যাচাই বাচাই শেষে বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে।

টেন্ডার বিজ্ঞপ্তিতে ৩৫-৪৯নং ক্রমিকের লট তালিকাভূক্ত হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখানে আমাদের একটি ভুল হয়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী মিলের গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতির কোন মালামাল নিলাম করা যাবে না। সেগুলো ভুলক্রমে প্রথম টেন্ডার নোটিশে চলে যায়। পরবর্তীতে এটা বুঝতে পেরে টেন্ডার দাখিলের প্রায় ১৫ দিন পূর্বে আমরা নোটিশের সংশোধন দেই। সেই সাথে যেসব ঠিকাদার এসময়ে মধ্যে সিডিউল ক্রয় করেছিল তাদেরকেও জানিয়ে দেওয়া হয়।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে মো. মুরাদ হোসেন বলেন, ‘যে কর্মকর্তা এ ভুলটি করেছে তাকে তিরস্কার এবং সতর্ক করা হয়েছে।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এধরনের আরো সংবাদ

Categories

© All rights reserved © 2019 LatestNews
Hwowlljksf788wf-Iu