• E-paper
  • English Version
  • শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৭:০৬ পূর্বাহ্ন

×

আগামী বছরেই জলাবদ্ধতামুক্ত হচ্ছে খুলনা মহানগরী, দীর্ঘ মেয়াদে শতভাগ সুফল না পাওয়ার শংকা

  • প্রকাশিত সময় : রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ৩২০ পড়েছেন

সহসাই জলাবদ্ধতা মুক্ত হতে যাচ্ছে খুলনা মহানগরী। এ লক্ষে মহানগরীকে জলবদ্ধতামুক্ত পরিচ্ছন্ন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে দেড় হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তাবায়ন করছে খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি)। ইতিমধ্যেই নগরীর ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও রাস্তা সংস্কারের দুটি প্রকল্পের কাজ প্রায় দুই তৃতীয়াংশ সম্পন্ন হয়েছে। ২০২৩ সালের মাঝামাঝি এ প্রকল্প পুরোপুরি বাস্তবায়ন হলে খুলনা মহানগরীর প্রায় তিন দশকের জলাবদ্ধতা মুক্ত হওয়ার প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ প্রকল্পের মধ্য দিয়ে নগরীর দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতার সমস্যা সাময়িকভাবে সমাধান হলেও দীর্ঘ মেয়াদে এ প্রকল্পের সুফল শতভাগ না পাওয়ার সম্ভবনাও রয়েছে। একই সাথে নগরীর কেন্দ্র থেকে চর্তুদিকে প্রবাহমান খাল ও নদীসমূহ পুনঃখননসহ নিয়মিত সংস্কার ছাড়া এ প্রকল্পের সুফল নগরবাসীর কাজে আসবে না বলে মতামতও দিয়েছেন তারা।

কেসিসি সূত্রে জানা গেছে, প্রায় তিন দশক ১৯৮৮ সালের বন্যায় খুলনা নগরীর জলাবদ্ধতার বিষয়টি প্রকটভাবে প্রকাশিত হয়। এরপর থেকে নগরবাসী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং নাগরিক নেতারা নগরীর জলাবদ্ধতা নিয়ে সোচ্চার হলেও কোন সুফল পাওয়া যায়নি। গত ২০১৮ সালের মে মাসে সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক নির্বাচনি ইশতিহারে জলাবন্ধতা নিরসনের প্রতিশ্রুতি দেন। মেয়র নির্বাচিত হয়ে তিনি জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রকল্প গ্রহণ করেন। ২০১৮ সালের জুলাই মাসে ‘খুলনা সিটিতে জলাবদ্ধতা দূর করতে ড্রেনেজ সিস্টেমের উন্নয়ণ’ নামে প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন পায়। প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজ শুরু হয় ২০২০ সালের অক্টোবরে। ইতিমধ্যে প্রকল্প দুটির অর্ধেকের বেশি কাজ শেষ হয়েছে। প্রকল্প শেষ হতে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত সময় লাগবে।

নগরীতে এক হাজার ২০৫ দশমিক ৭৫ কিলোমিটার ড্রেন এবং ৬শ ৪০ দশমিক ৬৮ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে এসব সড়ক ও ড্রেনের অবস্থা বেহাল। এতে সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এ অবস্থায় নগরবাসীর ভোগান্তি লাঘবে গুরুত্বপূর্ণ ও ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার উন্নয়ণ ও পূনর্বাসনে ৬শ ৭ দশমিক ৫৬কোটি টাকা ব্যয়ে ৫৭৮টি সড়কের সংস্কারের এবং জলাবদ্ধতা নিরসন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়নে মোট ৮২৩ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে কেসিসি। প্রকল্পের আওতায় নগরীর ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার উন্নয়ণ ও পূনর্বাসন, ড্রেন পরিষ্কার করা, ময়ূর নদী খনন ও রূপসায় একটি আধুনিক পাম্প হাউজ নির্মাণ করা হবে। এ পাম্প হাউজ দিয়ে রূপসা থেকে আশপাশের এলাকা হয়ে রয়েল মোড় পর্যন্ত এলাকার পানি বের করা হবে।

এছাড়াও খুলনা মহানগরীতে নেদারল্যান্ডস ভিত্তিক সংস্থা ওয়াটার এ্যাজ লেভারেজ কর্তৃক গৃহীত ‘‘ন্যাচারাল ড্রেনেজ সলুশন ফর খুলনা সিটি’’ শীর্ষক প্রকল্পের ফিজিবিলিটি ষ্টাডি’র কাজ শুরু হয়েছে। প্রকল্পটির আওতায় ময়ুর নদী ও নদীর সাথে সংযুক্ত খালগুলির নাব্যতা বৃদ্ধির মাধ্যমে শহর ও শহর সংলগ্ন এলাকা জলাবদ্ধতা থেকে স্থায়ীভাবে মুক্তি পাবে।

নগরীর ফারাজী পাড়া লেনের বাসিন্দা মনজিলা রহমান জানান, সিটি কর্পোরেশন বাড়ীর সামনের রাস্তা ও ড্রেন কয়েক ফুট উঁচু করেছে। ফলে রাস্তার পানি গড়িয়ে বাড়ীতে ঢুকছে। এখন বাড়ীর ভিতরেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। ভোগান্তী এখন আগের চেয়ে বেড়েছে। পুরাতন বাড়ীর মেঝেও উচু করা যাচ্ছে না। এক সমস্যার সমাধান হলেও নতুন সমস্যা তৈরী হয়েছে।

ইকবাল নগর মসজিদ রোডের কয়েকজন বাড়ীর মালিক জানান, এলাকার রাস্তা কয়েক ফুট উঁচু করার পর আমাদের এলাকার প্রায় সকল বাড়ীই এখন নিচু হয়ে গেছে। এখন এলাকার সবাই আতংকে রয়েছে ভারী বৃষ্টি হলেই রাস্তার পানি বাড়ীতে ঢুকে বাড়ীতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করবে। এতে করে সাধারণ মানুষের ভোগান্তী আরও বাড়বে। এদিকে বাড়ীর মেঝেগুলোও উচু করা সম্ভব না। এলাকার বাড়ীওয়ালারা সবাই পড়েছে উভয় সংকটে। বৃষ্টির পানি দ্রুত ড্রেন দিয়ে সরে না গেলে সবাইকে নতুন করে দূর্ভোগের মধ্যে পড়তে হবে।

ডেভেলপমেন্ট ডিজাইন কনসালট্যান্ট লিমিটেডের প্রকৌশলী খোরশেদুর আলম জানান, জোয়ারের সময় সমুদ্রপৃষ্ট থেকে রূপসা নদীর পানির উচ্চতা দুই দশমিক ৮৩ মিটার। অথচ মহানগরীর সড়কগুলোর উচ্চতা ১ দশমিক ২ থেকে ২ দশমিক ৫ মিটারের মধ্যে। তাই জোয়ারের সময় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হলে পানি নিষ্কাশন বিলম্বিত হয়। যার ফলে নগরীর রাস্তাগুলো পানিতে তলিয়ে যায়। তবে বর্তমান প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এবং নদীতে জোয়ার না থাকলে পানিগুলো সহজেই নেমে যেতে পারবে। সেক্ষেত্রে ভোগান্তী অনেকটা কমে যাবে।

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) পুর কৌশল বিভাগের প্রফেসর ও সিটি কর্পোরেশনের ড্রেনেজ প্রকল্পের থার্ড পার্টি কনস্যালটেন্ট ড. মো. শাহজাহান আলী জানান, বর্তমান প্রকল্পের ডিজাইনে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিকে ধরা হয়েছে। খুলনা ড্রেনেজ নেটওয়ার্কের যে সর্বমোট দৈর্ঘ্য তার ১৯ শতাংশ ড্রেন এ প্রজেক্টে ধরা হয়েছে। ময়ূর নদী ও ক্ষুদে খাল খনন করে আউটলেট পরিষ্কার করা হলে নগরীর জলাবদ্ধতার পানি সরে যাবে বলে আশা করছি। প্রকল্পে রূপসায় একটি পাম্প হাউজ করার কথা রয়েছে। পাম্প হাউজ করা হলে খুলনা নগরীর মধ্য অংশের যে পানিটা হাই ফ্লো হবে সেই পানিটা বের করা সম্ভব হবে। জলবায়ূ পরিবর্তনের কারণে ওয়াটার লেভেল এবং টাইড লেভেল অনেক বেড়ে গেছে। যার ফলে পানিটা নামতে পারে না। যদি ভারি বৃষ্টি সেই সাথে নদীতে জোয়ার এবং লঘুচাপ থাকলে জটিলতা তৈরী হয়। নগরীর পানি আর নামতে পারে না। এজন্য পাম্প হাউজ করার চিন্তাভাবনা চলছে। পাম্প হাউজের পাশাপাশি নদী ও খালগুলো যদি পরিষ্কার রাখা যায় তাহলে অনেকটা উন্নতি হবে।

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মোস্তফা সরোয়ার জানান, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেনেজ ব্যবস্থার যে কাজ চলছে তা বাস্তবায়ন হলে জলাবদ্ধতা সহনীয় পর্যায়ে আসবে। তবে যেসব বাড়ীগুলো ফ্লাড লেভেন মেনে করা হয়নি। তাদের কিছুটা ভোগান্তীতে পড়তে হবে। কারণ বর্তমানে রাস্তাগুলোকে ফ্লাড লেভেল মেনে উচু করা হচ্ছে। তাই ভারী বৃষ্টি হলে নিচু বাড়ীগুলোতে পানি আটকে যাবে। এটার খুব সহজ সমাধান আপাতত নেই। অন্যদিকে সড়কগুলো যেহেতু শহরের প্রাণ তাই এগুলো উঁচু করার কোন বিকল্প নেই। কারণ বছরের জুলাই আগস্ট ও সেপ্টেম্বর এই ৩ মাসে ১৩শ থেকে ১৪শ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। গড়ে প্রতি ১০দিন পর পর ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। তাই দীর্ঘ মেয়াদী চিন্তাভাবনা থেকে সড়কগুলো উঁচু করা হচ্ছে।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সড়কগুলো নিচু হলেও বাঁধ থাকার কারণে ভৈরব ও রূপসা নদীর পানি জোয়ারের সময়ও নগরীতে ঢোকার কোন সম্ভাবনা নেই। তবে নদীগুলোর নাব্যতা বৃদ্ধির জন্য শুধু এ অঞ্চলে ড্রেজিং করলেই হবে না। নদীগুলোতে ক্যাপিটাল ড্রেজিং করতে হবে। তখন আর ওয়াটার লেভেল উচু হবে না। খুলনা নগরী থেকে দ্রুত পানি বের করতে হলে প্রতি সেকেন্ডে ৪০-৫০ কিউবিক লিটার পানি বের করতে হবে। এখন পানি বের হওয়ার যে গেট রয়েছে সেটি দিয়ে ১০ কিউবিক লিটার পারি বের হতে পারে। তাই সিটি কর্পোরেশনকে আরও দুটি গেট তৈরি করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে যাতে করে কমপক্ষে ৩টি গেট দিয়ে ৪০ কিউবিক লিটার পানি বের হতে পারে। তিনি আরও জানান,

নাগরিক ফোরাম, খুলনার আহ্বায়ক মো. রফিকুল ইসলাম খোকন জানান, গত কয়েক মাস যাবৎ খুলনা নগরীতে সড়ক এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নের কাজ চলছে। কবে এ উন্নয়ন কাজ শেষ হবে জানিনা। এ উন্নয়ণ কাজকে স্বাগত জানালেও এর সুফল পাওয়া যাবে কিনা ? অর্থাৎ যে পানি এখন রাস্তায় জমে সে পানি যদি বাড়ী বা আঙ্গিনা ডুবিয়ে দেয় তাহলে ভোগান্তীর আর শেষ থাকবে না। বিশেষ করে যারা এক-দুই দশক আগে বাড়ী করেছে তাদের জন্য ভুমেরাং হয়ে যেতে পারে। উপকুলীয় অঞ্চলগুলো জলাবদ্ধতা নিরসনে রাস্তা উচু করে দেয়াকে সহজ সমাধান মনে করা হচ্ছে। এ ধরণের সহজ সমাধান দিয়ে খুলনা শহরের পানি নিষ্কাশন কতটুকু সম্ভব হবে তা দেখার জন্য আগামী বর্ষা মৌসুম পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। আগামী বর্ষা মৌসুমের পরই বুঝা যাবে খুলনা মহানগর আবারও শত শত কোটি টাকার জলাধার হবে নাকি জলাবদ্ধতামুক্ত নগরী হবে। এখানে জোয়ার বা অধিক বৃষ্টির ফলে সামান্য পানি জমতে পারে তবে দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতা হবে এটা হতে পারে না। তিনি আর জানান. ইতিমধ্যে ময়ুর নদীর খনন কাজ শুরু হচ্ছে। যদি সঠিকভাবে ময়ূর নদী খনন করা হয় এবং এর পাড় সঠিকভাবে বাঁধাই করে সড়ক তৈরি হয় তাহলে জলাবদ্ধা নিরসনের পাশাপাশি নদীটি খুলনার মিঠা পানির জলাধার হতে পারে। সেই সাথে খুলনার নগরীর সাথে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সরকারী অফিসগুলো এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সমন্বয় ও সদিচ্ছা থাকতে হবে বলে মনে করেন এ নাগরিক নেতা।

সচেতন নাগরিক সমাজ (সনাক) খুলনার সভাপতি এ্যাড. খুদরত ই খুদা জানান, জলবায়ূ পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় উপকূলীয় এলাকার সড়কগুলো উঁচু করতে হচ্ছে। তবে খুলনার ড্রেনেজ সিস্টেমটা একটা মাষ্টার প্লানের আওতায় হওয়া উচিত। অপরিকল্পিতভাবে ড্রেনগুলো বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন উচ্চতায় করা হচ্ছে। ড্রেনের সব ঢাল যদি ঠিক করা না হয় তাহলে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা কাজ করবে না। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, খুলনা নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ময়ূর নদী আবারও খনন করা হচ্ছে। তবে ময়ূর নদী খনন শুধু নগরীর অংশে করলে হবে না। সম্পূর্ণ নদীটি খনন করতে হবে। এর স্রোত আবার চালু করার ব্যবস্থা করতে হবে। খননের পাশাপাশি এর মাটিগুলোকে একটি ব্যবস্থাপনার মধ্যে আনতে হবে। নদীটির সীমানা নির্ধারণ করে দু’পাশে রাস্তা করে এটিকে জলাধার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। সেই সাথে নগরীকে সিটি গভার্মেন্টের আওতায় আনতে হবে। তা নাহলে নগরীর অন্যান্য সংস্থাগুলো সাথে সিটি কর্পোরেশনের সমন্বয়হীনতার অভাব রয়েছে। যার ফলে কাঙ্খিত সুফল নগরবাসী পাচ্ছেনা বলে মনে করেন এ নাগরিক নেতা।

খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক জানান, খুলনা মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে ময়ূর নদী খননের পাশাপাশি রূপসা ও ভৈরব নদেরও নাব্যতা বৃদ্ধি করা দরকার। নগর সংলগ্ন নদীগুলির নাব্যতা হ্রাস পাওয়ায় জোয়ারের সময় পানি নিস্কাশন বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে। এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের সময়োপযোগী পদক্ষেপ দরকার। নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে কেসিসি’র উদ্যোগে ইতোমধ্যে ময়ূর নদী, ক্ষুদের খালসহ আরো কয়েকটি খাল খননের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কাজগুলি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হলে নগরবাসীর দুর্ভোগ অনেকাংশেই লাঘব হবে বলে মনে করেন এ নগর পিতা।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA