রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৪:১৩ পূর্বাহ্ন

খালেদ মুহিউদ্দিনকে নিয়ে আবেগঘন ষ্ট্যাটাস

আরিফুর রহমান
  • প্রকাশিত সময় : শনিবার, ১৭ জুন, ২০২৩
  • ১৭৭ পড়েছেন
খালেদ মুহিউদ্দিনকে নিয়ে আবেগঘন ষ্ট্যাটাস দিয়েছেন একজন সাবেক সচিব। তিনি খালেদ মুহিউদ্দিনকে নিয়ে সৃতিচারনা করে ফেসবুকে এই ষ্ট্যাটাসটি দেন।
ষ্ট্যাটাসটি হুবুহু তুলে ধরে: বর্তমানে তিনি ডয়চে ভেলের বাংলা বিভাগের প্রধান। এটি জার্মান ভিত্তিক সম্প্রচার প্রতিষ্ঠান। ইতোমধ্যেই খালেদ মুহিউদ্দিন সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে একটি পরিচিত নামে পরিণত হয়েছেন। অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও বাঘা বাঘা ব্যক্তিগণ খালেদের বিভিন্নমুখি প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে চিন্তা ভাবনা করে উত্তর দিয়ে থাকেন। লক্ষ্য করে দেখেছি, একজন সাংবাদিক হিসেবে খালেদ সবসময়ই নির্মোহ দৃষ্টিভঙ্গিতে কাজ করার চেষ্টা করেন, যা প্রশংসনীয়।
এর আগে দেশে থাকতে তিনি ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনে কাজ করতেন বার্তা বিভাগের প্রধান হিসেবে। সেখানেও তিনি যে অনুষ্ঠানটি করতেন তা জনপ্রিয়তা পায়।
এর আগে তিনি অনলাইন মিডিয়া এবং প্রিন্ট মিডিয়ায় কাজ করেছেন বেশ কিছুদিন। সাংবাদিকতার ছাত্র হিসেবে দেশী -বিদেশি ডিগ্রিও নিয়েছেন।
এবারে একটু পেছন ফিরে তাকাই। ২০০১ সনের প্রথমার্ধে অর্থাৎ তখনকার আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ মুহূর্তে আমি জেলা প্রশাসক হিসেবে নিযুক্তি পাই। প্রথমে জামালপুর এবং পরে নরসিংদীতে পোস্টিং হয়। নরসিংদীতে যোগদান করে বিসিএস ২০ তম ব্যাচের কয়েকজন অফিসার কে প্রবেশনার হিসেবে পাই। ওরা তখন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সহকারী কমিশনার হিসেবে কাজ করছিলেন।। ওদের একজন এই খালেদ মুহিউদ্দিন। খালেদ তখন আমাদের বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে সঞ্চালকের ভূমিকায় কাজ করেন।
সম্ভবত দেড় মাসের মাথায় খালেদ একদিন আমার সঙ্গে জেলা প্রশাসকের বাংলো অফিসে দেখা করেন। তিনি আমাকে বলেন , স্যার আমি সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত ছিলাম ; ওটাই আমার ভালো লাগে। ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে আমি আর কাজ করতে চাচ্ছি না।
আমি ওকে বললাম কত পরিশ্রম করে বিসিএস পাস করে ম্যাজিস্ট্রেট হয়েছো এখন এটি ছাড়তে চাও কেন, ভালোভাবে চিন্তা করে দ্যাখো আরো কিছুদিন ।
কয়েকদিন পর খালেদ মুহিউদ্দিন আবার আমার সঙ্গে দেখা করেন। এবার তার হাতে রেজিগনেশন লেটার। ও ওর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আমাকে বলল। আমি বললাম ঠিক আছে তোমার রেজিগনেশন লেটার নিলাম, এটা আমার হাতে থাকল। তুমি ঢাকায় চলে যাও। তোমাকে আরো কিছুদিন ভাবার সময় দিলাম। অতঃপর যখন মনে করবে টেলিফোনে আমাকে বললেই আমি তোমার পদত্যাগ পত্র সংস্থাপন মন্ত্রণালয় বরাবর পাঠিয়ে দেব। আমি চাচ্ছিলাম ও আরো ভাবনা চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিলেই ভালো হয়। সে সুযোগও আমি দিলাম।
কিছুদিন পরে ঢাকা থেকে খালেদ আমাকে জানালো, স্যার আমার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত ; আপনি আমার পদত্যাগ পত্র সংস্থাপন মন্ত্রণালয় পাঠিয়ে দিতে পারেন। আমি তাই করলাম।
পরে খালেদের সঙ্গে আর আমার সরাসরি কোনদিন দেখা হয়নি। ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনে ও একটি প্রোগ্রাম করত যার নাম এডিটরস পিক। আমি যখন সরকারের সচিব তখন তিনি আমাকে একদিন ওই প্রোগ্রামে সংযুক্ত করেছিলেন। আমি ওকে জিজ্ঞেস করলাম, খালেদ মুহিউদ্দিন কি আমাকে চিনতে পারছো, আমি তোমার সেই নরসিংদীর ডিসি। খালেদ খুবই খুশি হল। বলল, স্যার আপনাকে ভোলা যায় না। –
আমার মনে হয় প্রশাসন ক্যাডারের ওই চাকরি ছেড়ে দিয়ে খালেদ মুহিউদ্দিন খুবই ভালো করেছিল। সম্প্রচার সাংবাদিকতায় তিনি এই মুহূর্তে একটি বিশেষ নামে পরিণত হয়েছেন। অল্প বয়সেই তিনি অনেক উন্নতি করেছেন।। বাংলা ভাষাভাষী দেশ-বিদেশের অনেকেই তাকে ভালোভাবে চিনেন।সরকারি চাকরিতে থাকলে বর্তমানে তিনি বড়জোর যুগ্ম সচিব থাকতেন। জীবন আমলাতন্ত্রের এক কঠিন কাঠগড়ায় সীমাবদ্ধ থাকতো।
আমার সঙ্গে খালেদ মুহিউদ্দিনের কোন যোগাযোগ নেই বহুকাল। আমার এই পোস্ট কেউ যদি ওর দৃষ্টিতে আনেন খুবই খুশি হব।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এধরনের আরো সংবাদ

Categories

© All rights reserved © 2019 LatestNews
Hwowlljksf788wf-Iu