দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের কাছে একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জকে মোকাবেলা করতে প্রত্যেক প্রার্থীই নিজ এলাকায় প্রচারনায় সরব। বিএনপি আওয়ামীলীগের অধীনে নির্বাচন করবে না। কিন্তু প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বাগেরহাট—৪ আসনে আলোচনায় রয়েছেন এ্যাড.তালুকদার ফারহানা জাহান নিপা।
স্থানীয় সূত্র বলছে, এ্যাড.তালুকদার ফারহানা জাহান নিপা বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম তালুকদারের কন্যা। নিপা বর্তমানে বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ করে যাচ্ছেন। তার পিতা ছিলেন বিএনপির বাগেরহাট অঞ্চলের একজন সাংগঠনিক ব্যক্তি। তিনি বেচে থাকাকালীন বিএনপির দু:সময়ে অনেক অবদান রেখেছেন। বাগেরহাট—৪ আসনটি মোড়েলগঞ্জ ও শরনখোলা নিয়ে গঠিত। কিন্তু বাগেরহাট জেলা জুড়েই শামসুল আলম তালুকদারের একচ্ছত্র আধিপত্য ছিলো। দলীয় সকল কোন্দল তিনি দমন করেই এ অঞ্চলে রাজনিতী করেছেন।
দলীয় সূত্রে, এ্যাড.তালুকদার ফারহানা জাহান নিপা বর্তমানে বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য। তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় দলীয় মনোয়ন চেয়েছেন। কিন্তু বিএনপি এ নির্বাচনে অংশ নেয়নি। বাগেরহাট জেলা বিএনপির একজন সদস্য বলেন, প্রার্থীর অভাব নেই। অনেকে আছেন নতুন টাকার মালিক। টাকা ধরে রাখতেই নামে মাত্র রাজনিতী করছেন। নির্বাচন আসলেই মনোয়ন চায়। কিন্তু দলের উচিত ব্যাকগ্রাউন্ড যাচাই করে, ফিল্ড পর্যায় থেকে খোজ নিয়ে প্রার্থীকে মনোয়ন দেয়া। তবে দলের জন্য যারা করেছেন, তাদেরকে মনোয়ন দিতে হবে। নইলে দলীয় অবস্থান এ আসনে জোড়দার হবে না।
এ্যাড.তালুকদার ফারহানা জাহান নিপা বলেন, বাগেরহাট—৪ আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী আমি। মামলা মোকদ্দমা সহ্য করে রাজনিতী করে যাচ্ছি। মনোনয়ন দলীয় ব্যাপার। সিনিয়র নেতৃবৃন্দদের নির্দেশনায় আন্দোলন সংগ্রাম করছি। বিএনপি নির্বাচন করলে, মনোয়ন চাইব। তবে,আওয়ামীলীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিব না। এলাকাবাসীর জন্য সামর্থ্য অনুযায়ী কাজ করছি। আমার পিতার অসমাপ্ত কাজগুলোকে করার চেষ্টা করছি। নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে বিএনপির জয় আটকাতে পারবে না। এই এলাকার মানুষ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আর্দশে বিশ্বাসী। ধানের শীষ তাদের কাছে আস্থার প্রতীক। আমি চূড়ান্তভাবে মনোনিত হলে আশা করি এই আসনে ধানের শীষ জয়লাভ করবে। কারন আমার বাবা মরহুম শামছুল আলম তালুকদার বাগেরহাট জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক এবং একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। সুন্দরবন ৯ নং সেক্টরের সেকেন্ড ইন কমান্ডার ছিলেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক যুগ্মমহাসচিব। তিনি মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত এ এলাকার মানুষের জন্য কাজ করেছেন। অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত করেছেন। আমার বাবার দেখানো পথে আমি ধারাবাহিক ভাবে এলাকার মানুষের উন্নয়ন ও গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারে কাজ করছি। বিএনপির হাইকমান্ড আমার বিষয়ে অবগত আছেন। তাই দলের চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী আমি। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করব।
উল্লেখ্য, বাগেরহাট—৪ মোড়েলগঞ্জ—শরনখোলা উপজেলা নিয়ে গঠিত। এ আসনে ১ টি পৌরসভা ও ২০ টি ইউনিয়ন রয়েছে।