দেশ প্রতিবেদক: খুলনার আড়ংঘাটা এলাকায় ইউপি মেম্বারের বিরুদ্ধে প্রান নাশের হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভূক্তোভূগি। ঘটনাটি ঘটেছে আড়ংঘাটা থানাধীন ঘোনামান্দা এলাকায়। ভূক্তোভূগির নাম মোঃ ইকবল ফকির (৪২), পিতা- মোঃ মান্নান ফকির, সাং- সরদারডাঙ্গা পূর্বপাড়া, থানা- আড়ংঘাটা, জেলা- খুলনা। অভিযুক্ত মেম্বারের নাম রাজাউর রহমান প্রিন্স (৪৭), পিতা- মৃত হাফিজুর রহমান, সাং- আড়ংঘাটা (দক্ষিণপাড়া), থানা- আড়ংঘাটা, জেলা- খুলনা। এলাকাসূত্রে, মোঃ রাজাউর রহমান প্রিন্স আড়ংঘাটা সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার। মেম্বার হওয়ার পর থেকে জমিজমা দখলদারী এবং বিভিন্ন সময়ে বিতর্কিত কর্মকান্ডে তিনি জড়িয়ে পড়েন। মেম্বার হওয়ার কারনে অনেকেই তার ব্যাপারে মুখ খুলতে সাহস পান না। এরই ধারাবাহিকতায় ইকবল ফকির নামে ব্যক্তির জমি সংক্রান্ত বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন মেম্বার প্রিন্স। ভূক্তোভূগি বাধা দিলে তখন বিভিন্ন ধরনের হুমকি, ঝামেলা পোহাতে হয় ইকবালকে। এক পর্যায়ে নিরাপত্তার জন্য বাদী আইনের আশ্রয় নেন। অভিযোগ সূত্রে, মোসফেকুর রহমান রতনের কাছে থেকে জমি ক্রয় করেন বাদী মোঃ ইকবল ফকির। জমি ক্রয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে মেম্বার রাজাউর রহমান প্রিন্স জমির দখলদারী নেওয়ার জন্য লোকজন নিয়ে হামলা চালায়। জমির সাইডের মাটি কেটে নিয়ে যায় এবং রাতের অন্ধকারে মৎস্য ঘের থেকে বিভিন্ন প্রজাতির সাদা ও চিংড়ি মাছ মেরে নিয়ে যায়। সর্বশেষ মেম্বার জমির দখল না পেলে প্রান নাশ করবেন বলে হুমকি দিয়েছেন। ৩রা জুন ঘোনামান্দার ডাঙ্গা মৌজায় ক্রয়কৃত মৎস্য ঘেরের সম্পত্তির মধ্যে মেম্বারসহ তার বাহিনীর অজ্ঞাত ১০/১৫ জন লোক প্রবেশ করে ঘেরের ভেড়ি কেটে ফেলে। প্রায় ৩৫ শতক জমি জোর পূর্বক অবৈধ ভাবে দখল করার উদ্দেশ্যে নতুন করে ভেড়ি বাধ দেওয়ার কাজ শরু করেন। এ সময়ে খবর পেয়ে বাদী জমিতে যেয়ে সম্পত্তি দখল করতে বাধা প্রদান করেন। এক পর্যায়ে বিবাদী উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে বাদীকে অকথ্য ভাষায় গারিগালাজ করেন এবং দেকে নেয়ার হুমকি দেন। প্রিন্স দেশীয় তৈরী রাম দা, লোহার শাবল, হাসুয়া ও কোদাল নিয়ে বাদীকে হত্যার উদ্দেশ্যে তেড়ে আসলে, বাদী উপস্থিত সকলকে নিয়ে ঘটনাস্থল দ্রুত ত্যাগ করেন। আড়ংঘাটা থানা সূত্রে জানা যায়, জমি সংক্রান্ত সমস্যার বিষয়টি নিস্পত্তির জন্য চেষ্টা করলেও দুপক্ষের কেউই তা মেনে নেননি। ইকবল ফকির অভিযোগ করে বলেন, আড়ংঘাটা সদর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বার রাজা ফকির বিভিন্ন সময় আমার ঘের জমি থেকে মাছ মেরে নিয়ে যায়। এ নিয়ে বিরোধ চলাকালে সে আমার জমির দখলদারী অবৈধভাবে দাবি করেন। কিন্তু তার প্রতিবাদ করলে সবশেষ সে আমার জমি জোড় পূর্বক দখলের চেষ্টা করেন এবং হামলা করলে কোনো রকম রেহাই পাই। এরপর আইনের আশ্রয় নিয়েছি। এ নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে মিমাংসার চেষ্টা করলেও মেম্বার তা মানেন নি। মোঃ রাজাউর রহমান প্রিন্স বলেন, বাদী পক্ষের সাথে জমির এরিয়া নিয়ে সমস্যা। এ নিয়ে সমস্যা সমাধানের জন্য বেশ কয়েকবার শালিশী হলেও কোন সমস্যার সমাধান হয়নি। পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, আমার দখলীয় জমি তারা লোকজন নিয়ে ভেরিবাধ দিয়েছেন। এ নিয়ে থানা কর্তৃপক্ষ সতর্ক করলেও কোন সমাধান পাওয়া যায়নি। আড়ংঘাটা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান বলেন, স্থানীয়ভাবে একাধিকবার এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করলেও রাজাউর রহমান প্রিন্সের ক্ষমতা জন্য ইকবাল ফকির সঠিক বিচার পাচ্ছেন না। এ জমি ১৭ বছর আগে বিক্রয় হয়েছে। এখন এসে প্রিন্স অবৈধ দখলদারী চাচ্ছেন। এ নিয়ে ইকবাল ফকির আতঙ্কে রয়েছেন।