খুলনার দাকোপ উপজেলার সুন্দরবনসংলগ্ন সুতারখালী নদীতে মাছ ধরার সময় কুমিরে নিয়ে যাওয়া এক যুবকের লাশ পাওয়া গেছে ৩৪ ঘণ্টা পর।
সুতারখালী ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য নিমাই মণ্ডল জানান, বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে সুতারখালী নদীতে তার লাশ পাওয়া গেছে।
নিহত খায়রুল ইসলাম মোড়ল (২৩) সুতারখালী ইউনিয়নের কালাবগী ঝুলন্তপাড়া ফকিরকোনার আরশাদ মোড়লের ছেলে।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে পশ্চিম সুন্দরবনের কালাবগী ফরেস্ট স্টেশন এলাকার সুতারখালী নদীতে মাছ ধরার সময় খায়রুলকে কুমির টেনে নিয়ে যায়।
ইউপি সদস্য নিমাই মণ্ডল জানান, খায়রুল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তার এক ফুফুকে নিয়ে সুতারখালী নদীর তীরে জাল দিয়ে খাওয়ার জন্য মাছ ধরছিলেন। জালে পড়া মাছ পাত্রে রাখছিলেন তার ফুফু বুলবুলি।
বুলবুলির বরাতে নিমাই মণ্ডল জানান, হঠাৎ একটি কুমির খায়রুলকে ধরে পানির মধ্যে টেনে নিয়ে যায়। বুলবুলির ডাক চিৎকারে এলাকার লোকজন এসে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন।
একবার খায়রুলকে মুখে নিয়ে কুমিরটি নদীর চরে উঠে এলে লোকজন কুমিরের মুখ থেকে খায়রুলকে ছাড়ানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়; তখন কুমিরটি আবার পানিতে ডুব দেয়, বলেন নিমাই।
“কিছুক্ষণ পর আবার কুমিরটি ভেসে ওঠে; তখন আর খায়রুলকে দেখা যায়নি।”
তিনি জানান, কোমর ও ঊরুর কাছে কুমির যেখানটায় কামড়ে ধরেছিল, শুধু সেই ক্ষতই শরীরে আছে। শরীরের আর কোনো অংশে ক্ষত নেই।
নিমাই বলেন, “ঘটনার পর আমরা এলাকার কম করে হলেও শ-দুয়েক লোক নৌকা ও ট্রলার নিয়ে খোঁজাখুঁজি করেছি। খায়রুলকে আর পাওয়া যায়নি। এরপর এলাকার মানুষ নদীতে পাহারায় ছিল।”