খুলনায় মহিষ উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিস। মহিষ উদ্ধারে বেরিয়ে আসলো ড্রেনের দূরাবস্থা। নির্মান সামগ্রী ও বালুর বস্তা দিয়ে আটকে রয়েছে ড্রেনের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা। গত ২৮ জুন বুধবার সন্ধ্যা ৬ টায় কাষ্টমঘাটের ডক ইয়ার্ড ব্যবসায়ী খুরশীদ আলম কাগজী মিন্টুর কোরবানির মহিষ উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের অভিযানে এ তথ্য জানা যায়। এ ঘটনায় নগরীতে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকসূত্র জানায়, কাষ্টমঘাট এলাকার কাগজী বাড়ির বাসিন্দা খুরশিদ আলম কাগজী মিন্টু জোড়াগেট হাট থেকে কোরবানির জন্য একটি মহিষ ক্রয় করেন। মহিষটি তার বাড়িতে বেধে রাখেন। মহিষটি অনেক দাপুটে হওয়ায় দড়ি ছিড়ে এলাকায় দিক বেদিক ছোটাছুটি করে। এ সময়ে এলাকার মানুষ ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে মহিষকে তাড়া করে। এক পর্যায়ে মহিষটি দৌড়ে যাওয়ার সময় ড্রেনের ফাঁকা দিয়ে পড়ে যায়। এরপরে অনেক খোজাখুজি করা হয়। মহিষটি না পেয়ে পরবর্তখুীতে খুলনা ফায়ার সার্ভিসের সহযোগীতা নেয়া হয়। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা রাত ১২টা পর্যন্ত অভিযান চালাতে থাকে। রাত ১টার দিকে কয়লাঘাট পূজা মন্দিরের অদূরে ড্রেনের নিচে মহিষটির অবস্থান জানতে পারে। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা নবনির্মিত ড্রেন ভেঙ্গে অক্সিজেন এবং লাইফ সাপোর্ট নিয়ে মহিষ উদ্ধারে নামে। এ সময়ে ড্রেনের মধ্যে ড্রেন নির্মান সামগ্রী (কাঠ, বালুর বস্তাসহ নানান ধরনের নির্মান সামগ্রী) থাকায় মহিষ উদ্ধারে জটিলতা সৃষ্টি হয় বলে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এবং মিন্টু কাগজী এ প্রতিবেদককে জানান। ড্রেনের মধ্যে জমে থাকা নির্মান সামগ্রীর কারনে পানি সরবরাহ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে বলে উদ্ধার কর্মীরা জানান।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মহিষের মালিক ডক ইয়ার্ড ব্যবসায়ী খুরশিদ আলম কাগজী মিন্টু বলেন, জোড়াগেট পশুর হাট থেকে গত ২৮ জুন বুধবার ২ লাখ ৪০ হাজার টাকায় একটি মহিষ কোরবানির উদ্দেশ্যে কেনা হয়। এরপর ভালোভাবে বেধেই বাসার গ্যারেজে রাখা হয়। মহিষটি দাপুটে হওয়ায় এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে দড়ি ছিড়ে দৌড়ে বাড়ির বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করে। গেট দেয়া থাকায় পলাক্রমে দুইবার গেটে ধাক্কা দিয়ে গেট ভেঙ্গে রাস্তায় চলে আসে। এরপর এলাকায় ছোটাছুটি করলে মানুষ মহিষকে তাড়া দেয়। এক পর্যায়ে বাড়ির সামনে এসে বড় ড্রেনের উপর দিয়ে দৌড়ে যাওয়ার সময় ড্রেনের ফাকা দিয়ে মহিষটি পড়ে যায়। সন্ধ্যা ৬ টার সময় মহিষটি ড্রেনে পড়ে যায়। অনেক খোজাখুজির করে না পাওয়ায় পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতা নেয়া হয়। ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ডুবরিদের নিয়ে অক্সিজেন এবং লাইফ সার্পেোট নিয়ে উদ্ধার অভিযান চালিয়। রাত ১টার দিকে মহিষটি উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। তবে ড্রেনের নির্মান সামগ্রী (কাঠ, বালূর বস্তা ইত্যাদি) থাকায় যেমন পানি প্রবাহ বন্ধ থাকে এবং উদ্ধার কাজে বিঘ্ন হয়। অচিরেই ওই সকল নির্মান সামগ্রী অপসারণ না করলে জলাবদ্ধতা আরো বাড়বে বলে তিনি আশংকা করেন।