• E-paper
  • English Version
  • শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:৪৪ পূর্বাহ্ন

×

মাদ্রাসা শিক্ষককে কুপিয়ে জখম

  • প্রকাশিত সময় : সোমবার, ৩ জুলাই, ২০২৩
  • ৮০ পড়েছেন

মোড়লগঞ্জ উপজেলায় একজন মাদ্রাসা শিক্ষককে কুপিয়ে জখম করেছে দূর্বৃত্তরা। রবিবার রাতে ঘটনাটি মোড়লগঞ্জ উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নে ঘটে। আহত মাদ্রাসা শিক্ষক বর্তমানে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহত ব্যক্তির নাম মো: তারিফুর রহমান,পিতা: আব্দুর রশীদ হাওলাদার,গ্রাম: কুমারখালী, ইউনিয়ন: রামচন্দ্রপুর,উপজেলা:মোড়লগঞ্জ, জেলা: বাগেরহাট। তিনি খুলনা ইব্রাহিম দাখিল মাদ্রাসার একজন শিক্ষক। ঈদের ছুটিতে তিনি গ্রামের বাড়িতে যান। তার এলাকার কতিপয় কিছু মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে তিনি প্রতিবাদ করলে মাদক ব্যবসায়ী চক্রটি তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়। ঘটনার দিন তিনি তার অন্তস্বত্তা স্ত্রীকে দেখতে খুলনা থেকে মোড়লগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে যান। এদিন সন্ধ্যা রাত ৮টা থেকে ৮:৩০ মিনিটের মধ্যে তিনি নামাজের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। এসময় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী হামলাকারীরা ওৎ পেতে থাকে। সুযোগ বুঝে তারিফুরকে ১৫—২০ জন মিলে রড, হকি ষ্টিক দিয়ে মারতে থাকে। এক পর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হাতে এবং পায়ে কোপ দেয়। তখন তারিফুরের চিৎকারে লোকজন চলে আসলে তারা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে তাকে উদ্ধার করে পিরোজপুর হাসপাতালে নিলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় রেফার করা হয়। ঘটনার দিন রাত ১১:৩০ মিনিটে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়েছে। তারিফুর রহমান জানান, একই এলাকার (১) কাইয়্যুম হাওলাদার(৩০) পিতা: মোকসেদ হাওলাদার,(২) পান্না মোল্লা (২৩) পিতা: ইয়াকুব মোল্লা,(৩) মান্না মোল্লা(২৩), পিতা: পিতা: ইয়াকুব মোল্লা (৪)লিয়াকত মোল্লা (২২),পিতা: ওমর মোল্লা, (৫)দুলাল মোল্যা(৪৪) পিতা: আফসার মোল্লাসহ অপরিচিত আরো প্রায় ১২—১৩ জন হামলা করে। তিনি জানান, এরা একটি শক্তিশালী চক্র। দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক ব্যবসা করছে। তাদের বিরুদ্ধে কথা বলায় এ হামলা চালায়। মাস দুই আগেও হামলা করতে আসলে ৯৯৯ কল দিয়ে পুলিশ ডাকা হলে এরা পালিয়ে যায়। তখন থেকে এরা আমাকে টার্গেট করে রেখেছে। ঘটনার দিন সুযোগ পেয়ে আমার ওপর হামলা করে। আমার স্ত্রী অসুস্থ অবস্থায় পিরোজপুর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
তারিফুরের আত্মীয় শাহীন শিমুল বলেন, আমরা চিৎকারের আওয়াজ শুনে যেয়ে দেখি তারিফুর আহত অবস্থায় পড়ে আছে। পরবর্তীতে আমরা তাকে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় আসি। তিনি আরো বলেন, তারিফুর বিভিন্ন সময়ে এদের বিরুদ্ধে কথা বলায় এ হামলার শিকার হয়েছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। মামলার প্রস্ততি চলছে। মো. শিমুল বলেন, রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নটি মাদকে সয়লাব হয়েছে। চক্রটির বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস কেউ করেন না। তারিফুর কথা বলায়, তার উপর এ হামলা করেছে মাদক ব্যবসায়ীরা। আইনের সহায়তায় আমরা এর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই। রামচন্দ্রপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আলিম হাওলাদার বলেন, বিষয়টি অবগত হয়ে আমি প্রশাসনকে জানিয়েছি। তিনি বলেন, যতদূর সম্ভব পাশাপাশি বাড়ি হওয়ায় দুপক্ষের মধ্যে দ্বন্দ থাকতে পারে। এ নিয়েই হামলা হয়েছে। পাল্টাপাল্টি এ হামলার ব্যাপারে দু—পক্ষের কেউই আমাকে কিছু জানাননি। উল্লেখ্য, সর্বশেষ জানা যায় এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত মামলা হয়নি। আহত তারিফুর সুস্থ্য হয়ে মামলা দায়ের করবেন বলে আত্মীয় শাহীন ফয়সাল জানান।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA