আগামী ১২ জুলাই রাজধানীতে বড় ধরনের সমাবেশ করতে চায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। সমাবেশ থেকে যুগপৎ আন্দোলনের এক দফা ঘোষণা আসার কথা রয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
তবে ডিএমপি’র পক্ষ থেকে এখনো সমাবেশের অনুমতি মেলেনি। ডিএমপি জানিয়েছে, অনুমতি দেওয়া যাবে কি না তা আগে পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আমরা সেটা পেয়েছি এবং পর্যালোচনা করব।
তিনি বলেন, সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হবে কি হবে না, পরিবেশ পরিস্থিতি কেমন হতে পারে সেটা পর্যালোচনা করার জন্য ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারপর বিষয়টি দেখা হবে।
এ ব্যাপারে জানতে যোগাযোগ করা হলে ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিএনপি তাদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে চায়। তারা আবেদন করে অনুমতি চেয়েছেন। ডিএমপি কমিশনারের কার্যালয় থেকে আজ চিঠির অনুলিপি পেয়েছি। সমাবেশের অনুমতি পাবে কি না সেটা পর্যালোচনা করে জানাতে বলা হয়েছে। আমরা পর্যালোচনা করছি। আমাদের মতামত দেব। অনুমতি পাবে কি না সেটা কমিশনার কার্যালয় দেখবে।
তবে ডিএমপির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে বলেন, পল্টনের দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের অনুমতি দিলে সড়কে যানচলাচল স্থবির হয়ে যায়। যার প্রভাব পুরো ঢাকা শহরে পড়ে। তাছাড়া নাশকতা কিংবা হামলা-ভাঙচুরের আশঙ্কাও থেকে যায়। সেজন্য পর্যালোচনা করা হচ্ছে অনুমতি দেওয়া যাবে কি না। তবে এখন পর্যন্ত পজিটিভ। সমাবেশের অনুমতি পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
ঢাকা মহানগর বিএনপির একটি সূত্র বলছে, সমাবেশে বড় ধরনের শো-ডাউন করতে ইতোমধ্যে কয়েকবার প্রস্তুতি সভা করা হয়েছে। আজ বিকেলেও সমাবেশে সফল করতে যৌথ সভা করা হয়েছে। সভা থেকে ঢাকা জেলা ও আশপাশের জেলার নেতাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বড় ধরনের লোক সমাগম করতে। একই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে রাজধানীর থানা ও ওয়ার্ডের নেতাদেরও।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব আমিনুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, সমাবেশ সফল করতে আমরা যৌথ সভা করেছি। সভা থেকে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ সফল করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আগামী ১২ তারিখের সমাবেশ থেকে এক দফার আন্দোলনের ঘোষণা এবং নতুন কর্মসূচি আসবে।