বিচারব্যবস্থার সংস্কারসংক্রান্ত বিতর্কিত বিলের ওপর ইসরায়েলের পার্লামেন্টে প্রথম দফার ভোটাভুটি হয়েছে। এ ভোটে বিলটি পার্লামেন্টে গৃহীত হয়েছে।
বিলটি আইনে পরিণত হলে তা ইসরায়েলি বিচার বিভাগের ক্ষমতাকে সীমিত করবে। তাই বিলটিকে ইসরায়েলি বিচারব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের একটি আক্রমণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিলটি ইসরায়েলে বিভক্তি তৈরি করেছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে ইসরায়েলে নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন কট্টর ডানপন্থী জোট সরকার গঠিত হয়। চলতি বছরের জানুয়ারিতে নেতানিয়াহুর সরকার ইসরায়েলের বিচারব্যবস্থা সংস্কার পরিকল্পনার বিষয়ে ঘোষণা দেয়। তখন থেকেই বিলটির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছে। বিলটির জেরে অন্যতম বড় বিক্ষোভ দেখছে ইসরায়েল।
বিচারব্যবস্থা সংস্কার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে প্রতি সপ্তাহে হাজারো ইসরায়েলি রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখিয়ে আসছেন। তাঁরা এ-সংক্রান্ত বিল পার্লামেন্টে পাস না করার দাবি জানাচ্ছেন।
ক্ষোভ-বিরোধিতার মধ্যেই গতকাল সোমবার ইসরায়েলের পার্লামেন্টে প্রথম দফার ভোটাভুটির জন্য বিলটি উত্থাপন করা হয়। উত্তপ্ত অধিবেশনের মধ্য দিয়ে বিলটি ৬৪-৫৬ ভোটে পার্লামেন্টে গৃহীত হয়। এর মধ্য দিয়ে বিলটি পার্লামেন্টে প্রাথমিক অনুমোদন পেল। আইনে পরিণত হওয়ার ক্ষেত্রে ইসরায়েলের পার্লামেন্টে বিলটির ওপর আরও দুই দফা ভোট হবে।
বিলটির ওপর বিতর্কের আগে কিছু বিক্ষোভকারী ইসরায়েলের পার্লামেন্ট ভবনে ঢুকে পড়েছিলেন। পরে তাঁদের জোর করে বের করে দেওয়া হয়। বিল উত্থাপনকে কেন্দ্র করে পার্লামেন্টের বাইরে শত শত মানুষ বিক্ষোভ করেন।
বিরোধীরা বলছেন, বিলটি আইনে পরিণত হলে ইসরায়েলের বিচারব্যবস্থা দুর্বল ও সরকারের মুখাপেক্ষী হয়ে পড়বে। সরকারের ক্ষমতার অপব্যবহারের সুযোগ তৈরি হবে। হুমকিতে পড়বে গণতন্ত্র।