সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:০০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
খুলনার পি ডব্লিউ ডি স্কুলের শ্রেণিকক্ষে প্রধান শিক্ষকের পরিবারসহ বসবাস  দৈনিক খুলনা টাইমস এখন ৬ষ্ঠ বর্ষে খুলনা ডিএনসির অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার খুলনার সবজির বাজারে দামে স্বস্তি;কমেছে গোশ ও মাছের দাম  নির্বাচনের ট্রেন চলছে, কেউ থামাতে পারবে না : ওবায়দুল কাদের শেখ হাসিনা আমাকে এমপি না, জনতার সেবা করতে পাঠিয়েছেন : এস এম কামাল হোসেন ডলারের দাম আরও কমলো খুলনায় কয়লা ও গ্যাসসহ জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিশ্বব্যাপী নিরাপদ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিকী প্রদর্শন খুলনা—১ আসন: জনগণের জন্য কাজ করতে চান সাবেক এমপি ননী গোপাল নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আহসান হাবিব খান (অব:) এর খুলনা সফরসূচি

জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি হয় এমন কিছু করা যাবে না : ওবায়দুল কাদের

রিপোর্টার
  • প্রকাশিত সময় : শুক্রবার, ১৪ জুলাই, ২০২৩
  • ৭৫ পড়েছেন

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এমন কিছু করা যাবে না যাতে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। জনগণ যাতে মনে না করা আমরা সংঘাতের উসকানি দিচ্ছি। আমরা জেতার দল আমরা জিতবই। আগামী কয়েক মাস ধৈর্য ও সহিষ্ণুতার পরিচয় দিতে হবে।

শুক্রবার (১৪জুলাই) বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডি রাজনৈতিক কার্যালয়ে সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ডিসেম্বর থেকে গণঅভ্যুত্থানের ডাক দিয়েছে। সেখান থেকে পদত্যাগের ডাক। এসব কর্মসূচি দেখলে বোঝা যায় তাদের কতটা অবনতি হয়েছে। তাদের নেতাকর্মীরাও হতাশ। এসব কর্মসূচির কারণে সরকার পালাতে পারবে না, এমনটা ভাব দেখিয়েছি। শেষমেশ গোলাপবাগে গিয়ে হোঁচট খেয়েছে। সরকার হঠাতে তাদের যে শক্তি, সেটা তারা সমাবেশ ফুটাতে পারছে না। তার মূল কারণ আমাদের নেত্রীর জনপ্রিয়তা।

তিনি আরও বলেন, আমাদের নিজেদের কারণে নির্বাচনে দুর্নাম হবে এমনটা আমরা চাই না। বৈষম্য রক্ষা করে সরকার ও বিরোধী দলের সংবাদ কাভার দিয়েছে মিডিয়া। আমি আগেও বলেছি, আমরা আমাদের প্রাপ্যটুকু চাই, অতিরিক্ত চাই না।

তিনি বলেন, আমাদের এখানে বিদেশিরা এসেছেন। সবাই যে শুধু নির্বাচনের জন্য আসছেন, সেটা কিন্তু না। তারা প্রথমে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গিয়েছেন। তারা আসার আগে বিএনপি তাদের অপপ্রচারের মাধ্যমে যে আশঙ্কা, যে ধারণাটা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল, এবার আর সরকারের উপায় নেই। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আমেরিকার প্রতিনিধিরা সরকারকে বিপদে ফেলবে। নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আসবে। হয়ত সরকারকে বলে দেবে, এভাবে নির্বাচন করো। পার্লামেন্ট ভেঙে যাবে। জনমনে একটা ধারণা ছিল।

তিনি আরও বলেন, শেষ পর্যন্ত কী হলো? তারা বলেছে, একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন তাদের কাম্য। বন্ধু দেশ হিসেবে তারা এ কথাগুলো বলেছে। ভিসা নীতি আসবে, এ ধরনের কোনো উক্তি তারা করেননি। সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা তারা বলেছেন। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের বিষয়ে তারা কিছু বলেননি। এটাই ছিল তাদের বক্তব্যের মূল কথা।

বিএনপির চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা যেটা মনে করি, বিএনপি মিথ্যা তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে বিদেশিদের কাছে যে পক্ষপাতমূলক সমর্থন চেয়েছিল, সেটা ব্যর্থ হয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। সবাই একমত, আমরা সংবিধান সম্মতভাবে নির্বাচন করব।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আসলে দফা কয়টা তা জানে না। দল কয়টা সেটাও জানে না। এবার দেখলাম ৫৪টা, আবার ৩২টা। রাষ্ট্র মেরামতের জন্য ২৭ দল।

গণমাধ্যমের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমরা যেটুকু পাব, আপনারা আমাদের সেটা দেবেন। আমরা বাড়তি কিছু চাই না।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ দফায় তারা এক দফার যে হাঁক ডাক দিল, নেতাকর্মীদের বুঝাতে চাইল, এবার সরকার পতন৷ এবার তারা পদযাত্রায় গেলো। তাদের যে শক্তি সমাবেশ দরকার, তা তারা করতে পারছে না। এর মূল কারণ হচ্ছে, এর কৃতিত্ব পুরোটা একজন ব্যক্তির। তিনি শেখ হাসিনা। তার জনপ্রিয়তা বিরোধীদলের ভয়ের কারণ। তারা এই জনপ্রিয়তাকে ভয় পায়।

তিনি বলেন, দল অনুযায়ী আমরা, আমাদের সংগঠনগুলো আগের তুলনায় অনেক সংগঠিত হয়েছে। নিজেরা নিজেদের যে শক্তি আছে, তা নিয়ে সমাবেশ করছে৷

নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি  

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। এসব কর্মসূচি সম্পৃক্ত করা হয়েছে সহযোগী ও ভাতৃপ্রতীম সংগঠনগুলোকে।

কর্মসূচির বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের ফোকাস হচ্ছে শোকের মাস আগস্ট। শোকের মাসের আমাদের যে কর্মসূচি সে সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আগামীতে যে সমাবেশ হবে সেটার শিরোনাম হবে, ‌‘শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ’। এই শিরোনামে বিভিন্ন স্থানে সমাবেশ আয়োজন করবে আওয়ামী লীগ।

কাদের বলেন, সেপ্টেম্বর মাসে নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণা পর্যন্ত, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সতর্কতার সঙ্গে রাজপথে আছি, থাকব। এটা হলো অভিন্ন কর্মসূচি। আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ প্রয়োজন। সে পরিবেশ আমরা রক্ষা করব।

সহযোগী ও ভাতৃপ্রতীম সংগঠনের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, কারও কোনো প্রকার খারাপ আচরণের জন্য নির্বাচনের পরিবেশ যেন নষ্ট না হয় সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে দূরত্ব দেখা গেছে, যা সমাধান করতে হবে। সবাইকে ঐক্য ধরে রাখতে হবে। কোনো গ্যাপ থাকলে আলোচনা করে দূরত্ব ঘোচাতে হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের প্রথম ধাপ শুরু হচ্ছে আগামী ১৮ জুলাই। এদিন মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইন্সটিটিউট থেকে বঙ্গবন্ধু ভবন পর্যন্ত শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে৷ পরদিন ১৯ জুলাই ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ সাত রাস্তা থেকে মহাখালী পর্যন্ত শোভাযাত্রা করবে৷

এসব কর্মসূচিতে বিএনপির কর্মসূচির সঙ্গে যেন মুখোমুখি না হয়, তা নিশ্চিত করতে সংগঠনের নেতাদের নির্দেশ দেন ওবায়দুল কাদের।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এধরনের আরো সংবাদ

Categories

© All rights reserved © 2019 LatestNews
Hwowlljksf788wf-Iu