খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি এবং সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম মঞ্জু। খুলনার বুকে বিএনপির একজন সক্রিয় নেতা তিনি। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে নিজ দল থেকে মহানগর বিএনপির সভাপতি পদ এবং কেন্দ্রীয় পদ থেকে অব্যাহতি পান। তবে, ১৭ই জুলাই খুলনায় অনুষ্ঠিত তারুন্যের সমাবেশে তিনি তার দলকে ভালোবেসে তার সমর্থকদের নিয়ে ’খুলনার রাজপথের ছাত্রদল, যুবদল ও সেচ্ছাসেবকদলের নেতৃবৃন্দ’ ব্যানারের সাথে যোগ দেন। কিন্তু তার সমর্থকদের মারধর ও লাঞ্চিত করার ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনা সূত্র, বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু ও সাবেক যুগ্ম সম্পাদক অধ্যা. তারিকুল ইসলামের নেতৃত্বে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী মিছিল সহকারে সমাবেশ স্থলে উপস্থিত হয়। দুপুর ১ টা ৪০ মিনিটে তারুণ্যের সমাবেশ মঞ্চে চলছিল জাসাসের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জুরসহ তার অনুসারী নেতাকর্মীরা মঞ্চের সামনে অবস্থান নেন। এসময়ে মঞ্চ থেকে মহানগর ও জেলা বিএনপির নেতারা মাইকে ঘোষণা দিয়ে লাল-সবুজ ক্যাপ পরা ছাত্র ও যুবদলের মিছিল মঞ্চের সামনে অবস্থান নিতে বলেন। তখনও সমাবেশ মঞ্চের সামনের সারিতে নজরুল ইসলাম মঞ্জু, অধ্যা. তারিকুল ইসলামসহ তাদের অনুসারী নেতাকর্মীরা দাড়িয়ে ও বসে ছিলেন। তারা হলুদ ক্যাপ ও হলুদ গেঞ্জি পরিহিত ছিলো। বিষয়টি বেগতিক দেখে সমাবেশ মঞ্চ থেকে বার বার সবুজ ও লাল ক্যাপ পরিহিত নেতাকর্মীদের সামনের সারিতে যেখানে মঞ্জু ও তার অনুসারীরা রয়েছে সেখানে অবস্থান নিতে বলা হয়। এভাবে মঞ্চ থেকে বারবার উস্কানী দেওয়ার এক পর্যায়ে লাল-সবুজ ক্যাপ পরিহিত নেতাকর্মীরা এগিয়ে এসে অবস্থান নেয়ার চেষ্টা করে। তখন মঞ্চের সামনে অবস্থান গ্রহণ নিয়ে দু-পক্ষের কথা কাটাকাটি ও জটলা সৃষ্টি হয়। এসময় দু-পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়ার এক পর্যায়ে লাঠি নিয়ে দু-গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে করে মঞ্জু গ্রুপের ৬/৭ জনসহ বেশ কয়েক জন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হন। এসময় কর্তব্যরত পুলিশ এগিয়ে আসলে তাদের উপরও চড়াও হয় বিএনপির নেতাকর্মীরা।
ছাত্রদল নেতা হাবিবুর রহমান কাজল দেশ সংযোগকে বলেন, ১৭ তারিখের সমাবেশে বিএনপির সকল নেতাকর্মীরা দলে দলে যোগ দিয়েছেন। এই আন্দোলনের সময়ে কে কার সমর্থক বিষয়টা নিয়ে যে ধরনের হামলার শিকার সাধারন কর্মীরা হয়েছে, তা মোটেই কাম্য নয়। এখন প্রয়োজন একটি ঐক্যবদ্ধ্য আন্দোলন।
বটিয়াঘাটা থেকে সমাবেশে আসা রফিক দেশ সংযোগকে বলেন, বিএনপি এবং মঞ্জু ভাই’র জন্য সমাবেশে এসেছি। গত ৫ দিন ধরে তিনি বিভিন্ন জায়গা ঘুরে ঘুরে সকলকে বলেছেন সমাবেশে আসার জন্য। তিনি সবসময়ই বলেন, আমার পদের থেকে দল বড়। তোমরা সবসময় বিএনপির সাথে থাকবা বলে তিনি অনুপ্রেরনা দেন।
হামলার ঘটনা নিয়ে নজরুল ইসলাম মঞ্জু দেশ সংযোগকে বলেন, বিষয়টি নিজেদের মধ্যে হয়েছে। এ নিয়ে আমি অভিযোগ করব না। তিনি আরো বলেন, কেন্দ্রকে ভাবতে হবে যে বিএনপির এই আন্দোলনে সকলকে প্রয়োজন। এই আন্দোলনে বিএনপির সকলকেই প্রয়োজন। আর আমার কাছে আমার পদের থেকে আমার দল বড়।