বর্ষা মৌসুমের আগে নির্দিষ্ট সময়ে খুলনা মহানগরীর কয়েকটি গুরুত্বপুর্ণ সড়কের মেরামত কাজ শেষ না হওয়া সিটি কর্পোরেশনের উদাসিনতার ফসল বলে দাবি করেছেন খুলনা বিএনপি নেতৃবৃন্দ। শহরের প্রধান ও গুরুত্বপুর্ণ সড়ক হওয়া সত্ত্বেও সংস্কার কাজের ধীরগতির জন্য সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবিও জানিয়েছেন দলটি।

বৃহস্পতিবার বিএনপির মিডিয়া সেল প্রদত্ত বিবৃতিতে বিএনপি নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন, সিটি কর্পোরেশনের জবাবদিহীতা না থাকার কারনে নগরীর ব্যস্ততম শান্তিধাম মোড় থেকে সামছুর রহমান সড়কটিতে ঢুকলেই মনে হয় অচেনা পরিবেশ। দেখে বোঝার উপায় নেই, এটি সিটি করপোরেশনের সড়ক। অধিকাংশ সময় পানি—কাদায় একাকার। শুকনো সময়ে কোনো রকমে চলাচল করা গেলেও বর্ষায় অসহায় হয়ে পড়ে স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীসহ খুলনা নগরবাসি। রিকশা, প্রাইভেটকার ও বাইক নিয়ে সড়কে প্রবেশ করলে কাদায় মাখামাখি। এরই মধ্যে ওয়াসার স্যুয়ারেজ লাইনের বড় বড় লোহার ঢাকনা উঁচু হয়ে বিপদ আরো বাড়িয়েছে। বেহাল সড়কের কারণে স্যার ইকবাল রোড, শামসুর রহমান রোড, সিমেট্রি রোডে দিনের অধিকাংশ সময় যানজট লেগে থাকে। বেহাল অবস্থার কারণে এই সড়কের লিংক রোডগুলো দিয়েও মানুষ চলাচল করতে পারছেন না। সড়কটির ৭—৮ মাস ধরেই এই অবস্থা। একই অবস্থা নগরীর আহসান আহমেদ সড়কটির। পিটিআই মোড় থেকে পুরাতন যশোর রোড পর্যন্ত সড়কটি দীর্ঘদিন খুঁড়ে রাখা হয়েছে। বালু দিয়ে সমান করা থাকলেও মানুষের দুর্ভোগের কমতি নেই সড়কটিতে। খালিশপুরের মুজগুন্নি—সোনাডাঙ্গা সড়ক সোনাডাঙ্গা বাইপাস সড়ক ও খালিশপুর গোলচত্বর এলাকা খানাখন্দে ভরা। অবিলম্বে সড়ক সংস্কারের কাজ সমাপ্ত করে দুর্ভোগের হাত থেকে নগরবাসিকে মুক্ত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ।

বিবৃতিদাতারা হলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা, জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খান, মহানগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন ও জেলা সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী।