• E-paper
  • English Version
  • শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:৪৫ পূর্বাহ্ন

×

খুলনায় বনমালী হত্যার ম্যাসেজ রহস্য!

  • প্রকাশিত সময় : সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ২২০ পড়েছেন

কয়রা উপজেলার ৬নং কয়রার বাসিন্দা যতীন্দ্রনাথ মন্ডলের ছেলে ব্যবসায়ী বনমালী মন্ডল (৪২) গত ২৫ জুন নিখোঁজ হয় এবং রহস্যজনকভাবে সে হত্যার শিকার হন। নিখোজের পরদিন ২৬ শে জুন খুলনা রেলওয়ে ইয়ার্ড থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ নিয়ে মামলা হলেও আসামীরা নির্বিঘ্নে ঘুরছেন। নিহতের স্ত্রী প্রথমে মামলার ১ নং আসামীর দিকে অভিযোগ দিলেও এখন পরিবারের সবাই চুপ। বনমালীর জীবনে কী এমন ঘটেছিলো ? যার জন্য তাকে জীবন দিতে হলো!
বনমালী ২৫শে জুন হঠাৎ করেই নিরুদ্দেশ হন। আর ২৫ তারিখ সন্ধ্যা ৭টার দিকে একটি ম্যাসেজ বনমালীর ফোন থেকে হটসএপের মাধ্যমে বনমালীর ম্যানেজারের হটসএপে আসে। অপরাধীরা বনমালীকে হত্যার পরই এ ম্যাসেজ নাটক সাজিয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তবে কে বা কারা এই হত্যার সাথে জড়িত?
ঘটনাসূত্রে, বনমালী প্রায় ৮ বছর পূর্বে খুলনার কদমতলা এলাকার লঞ্চ টার্মিনালের পূর্ব দিকে মেসার্স ঘোষ ট্রেডার্সে চাকুরি নেন। ২০২১ সালের শেষের দিকে চাকুরি ছেড়ে নিজে কদমতলা এলাকায় পদ্মা বাণিজ্য ভান্ডার নামে একটি দোকান ভাড়ায় নিয়ে কাঁচামালের কমিশন এজেন্ট হিসেবে ব্যবসা শুরু করেন। ব্যবসা শুরুর কয়েক মাস পর থেকে ঘোষ ট্রেডার্সের মালিকের রোষানলের শিকার হন বনমালী। ঘটনার প্রথমে ব্যবসায় শত্রুতা ও অর্থনৈতিক দিক উঠে আসলেও এক পর্যায়ে দেখা যায় মূল ঘটনাই চাপা পড়ে রয়েছে।
জানা যায়, সীমান্তি মন্ডলের সাথে বনমালীর বিবাহ করান হত্যা মামলার ১ নং আসামী অমিত ঘোষ ওরফে কদমতলার ব্যবসায়ী ভোলা। এ ভোলার সাথে পারিবারিক ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে বনমালীর মনোমালিন্য তৈরী হয়। আর সামাজিকভাবে মনোমালিন্যের বিষয়টি নিয়ে হেয় প্রতিপন্ন হওয়ার ভয়ে অমিত ঘোষ বনমালীকে হত্যা করেছে বলে তথ্য পাওয়া যায়। হত্যা মামলা হওয়ার পর অনেক মানুষকে লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে ম্যানেজ করেছে অমিত ঘোষ। এমনকি বনমালীর প্রায় ১৩ লক্ষ টাকার লোন পরিশোধ করেছে মামলা সম্পৃক্ত কিছু লোক।
বনমালীকে হত্যার পর হত্যাকারীদের ম্যাসেজ নাটক: বনমালীর ম্যানেজারের দেয়া তথ্যমতে, ২৫ জুন বনমালী নিখোঁজের পর সন্ধ্যায় বনমালী হটসএপে তার ম্যানেজারকে একটি ম্যাসেজ পাঠান। সেখানে লেখা ছিলো যে, বনমালীর মুখে কাপড় বেঁধে অজ্ঞাত জায়গায় আটকে রাখা হয়েছে। আর তার পাশে একাধিক ব্যক্তি রয়েছে। এজন্য সে ফোনে কথা বলতে পারছে না বা কাউকে কল করতে পারছে না। বনমালী তার দুলাভাইকে বিষয়টি জানাতে বলেন উক্ত ম্যাসেজে। কিন্তু অবাক করা বিষয় হাত বাধা থাকলে, ম্যাসেজ কীভাবে দিলো বনমালী? আর আতঙ্কগ্রস্থ জিম্মি বনমালী ওই সময়ে কীভাবেই নির্ভূল ম্যাসেজ লিখতে পারেন?
বনমালীর স্ত্রী সীমান্তি মন্ডলকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, টাকা পয়সা লেনদেনের ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। মামলার বাদী কেশব মন্ডল তিনিই ভালো জানেন। বনমালীর লোনের ১৩ লক্ষ টাকা পরিশোধের বিষয়ে তিনি এড়িয়ে যান।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA