বুধবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:৪৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
খুলনার পি ডব্লিউ ডি স্কুলের শ্রেণিকক্ষে প্রধান শিক্ষকের পরিবারসহ বসবাস  দৈনিক খুলনা টাইমস এখন ৬ষ্ঠ বর্ষে খুলনা ডিএনসির অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার খুলনার সবজির বাজারে দামে স্বস্তি;কমেছে গোশ ও মাছের দাম  নির্বাচনের ট্রেন চলছে, কেউ থামাতে পারবে না : ওবায়দুল কাদের শেখ হাসিনা আমাকে এমপি না, জনতার সেবা করতে পাঠিয়েছেন : এস এম কামাল হোসেন ডলারের দাম আরও কমলো খুলনায় কয়লা ও গ্যাসসহ জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিশ্বব্যাপী নিরাপদ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিকী প্রদর্শন খুলনা—১ আসন: জনগণের জন্য কাজ করতে চান সাবেক এমপি ননী গোপাল নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আহসান হাবিব খান (অব:) এর খুলনা সফরসূচি

গাজীনগর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সংবাদ সম্মেলন

রিপোর্টার
  • প্রকাশিত সময় : রবিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৩
  • ১৮ পড়েছেন

#এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্যের অভিযোগ

ছয় বছরের লীজ নেয়া জলমহল প্রতারণার মাধ্যমে এবং আদালতের নির্দেশকে অমান্য করে অন্যকে বরাদ্দ দেয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন গাজীনগর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি। রবিবার খুলনা প্রেস ক্লাবে এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ভূক্তোভূগিরা। সংবাদ সম্মেলন মো. মুজিবর রহমানের পক্ষে মো. মোজাফফার হোসেন পাঠ করেন। সংবাদ সম্মেলনে আদালতের নির্দেশকে অমান্য করা এবং নিয়ম বহির্ভূতভাবে ছয় বছরের লীজ নেয়া জলমহল অন্যকে দেয়ার অভিযোগ তুলে ধরে মোজাফফর হোসেন বলেন, আমরা গরীব এবং অসহায় মানুষ। জীবনজীবিকার তাগিদে রাতদিন পরিশ্রম করেই চলে আমাদের জীবন । সেই জীবনে একটু স্বাচ্ছন্দ ফেরাতে এলাকার কয়েকজন মৎস্যজীবীর সমন্বয়ে গড়ে তুলি “গাজীনগর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড”। এই সমিতির মাধ্যমে ভূমি মন্ত্রনালয় থেকে ৯১ একরের ‘নারায়নপুরের দোয়ানিয়া বদ্ধ জলমহালটি’ বাংলা সন ১৪২৭ থেকে ১৪৩২ সন পর্যন্ত ইজারা গ্রহণ করি। সেই মোতাবেক আমরা সরকারকে রাজস্ব প্রদান করে আসছি । সর্বশেষ ১৪৩০ সন পর্যন্ত আমরা রাজস্ব প্রদান করেছি। কিন্তু স্থানীয় প্রতারক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন,পিতা—মৃত জালাল উদ্দিন গাজী, সাং—বামিয়া, কয়রা আমাদের সরলতার সুযোগ নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় সেই বদ্ধ জলমহালটি আমাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন। এক সময় তার মাধ্যমেই আমরা এই জলমহালটি ইজারা পেয়েছিলাম । কিন্তু আমাদের জলমহালে মাছের চাষ ভালো হওয়ায় তার কু—দৃষ্টি পড়ে। সে এখন নিজে জলমহালটির ইজারা গ্রহীতা হবার জন্য শুরু করে নানান অপতৎপরতা। তার সাথে যোগ হয় কয়রা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভূমি অফিসের কতিপয় কর্মচারী । তিনি বলেন, মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনের সহায়তায় আমরা ভূমি মন্ত্রনালয় থেকে যখন ‘নারায়নপুরের দোয়ানিয়া বদ্ধ জলমহালটি’ ইজারা গ্রহণ করি। কিছুদিন পর থেকে সে নানা প্রতারণা আশ্রয় নিতে শুরু করে। ইজারা গ্রহণের জন্য তিনশত (একশত টাকার তিনটি) টাকার স্ট্যাম্প প্রয়োজন হলেও সে মুজিবার রহমানের নামে তিনটির পরিবর্তে মোট ৬টি স্ট্যাম্প কিনে রাখেন। জলমহালটি আমাদের সমিতির নামে নিয়ে দেয়ার পর থেকেই সে বিভিন্নভাবে আমাদের কাছে টাকা দাবি করে আসছে । সেই টাকা না দেয়ায় আগে থেকে কিনে রাখা স্ট্যাম্প পেপারগুলোতে সে একটি ভূয়া সাব লীজের ডিড তৈরী করে। এতে মুজিবার রহমানের স্বাক্ষর সে নিজেই করে দেয় । যা পরবর্তীতে ভূয়া প্রমানিত হয়। এতে সে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে চলতি বছরের ২রা জুলাই কপোতাক্ষ মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুল মান্নানকে দিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে একটি আবেদন করেন। যেখানে উল্লেখ করা হয় আমাদের সমিতির মাধ্যমে গ্রহণ করা জলমহালটি সাব ইজারা প্রদান করা হয়েছে। এই আবেদনের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের কাছে আমরা আপত্তি প্রদান করি । কিন্তু মান্নানের সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে আমাদের ডিড বাতিল করে দেয়া হয়। এর বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে গেলে আদালত থেকে আমরা স্থীতিতাবস্থার নির্দেশ পাই। কিন্তু আদালতের এই স্থীতি অবস্থার বিষয়টি জানালেও কয়রা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) তা না মেনে উক্ত জাহাঙ্গীরসহ অন্যান্যদের সাথে গোপন আতাতের মাধ্যমে গোপনে ই—বিজ্ঞপ্তির জারি করেন । গত ১২ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) জারি করা এই বিজ্ঞপ্তির পরে এসিল্যান্ড ১৫ অক্টোবর নগদমূল্যে জনৈক মোঃ হাফিজুল ইসলামের কাছে জলমহালটি বিক্রি করে দেন। কিন্তু এরই মধ্যে ১৬ অক্টোবর আমরা উচ্চ আদালতের রায় পেয়ে যাই । যা এসিল্যান্ডকে অবগত করা হয় । কিন্তু ১৫ তারিখে নগদমূল্যে বিক্রি করে দখল বুঝিয়ে দিলেও সরকারী কোষাগারে সেই টাকা জমা পড়ে ১৮ অক্টোবর । হাফিজুল নিজে সেই টাকা জমা দেয়। কিন্তু এই টাকা জমা দেয়ার এখতিয়ার শুধুমাত্র সরকারী লোকের । নগদ টাকা না পেয়েও হাফিজুলকে জলমহাল বুঝিয়ে দেন এসিল্যান্ড বিএম তারিক উজ জামান। তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, এসিল্যান্ড ও জাহাঙ্গীরের কারসাজির মাধ্যমে আমাদেরকে জলমহাল থেকে বিতাড়িত করার চেষ্টা চালায়। এসিল্যান্ড নিজে জলমহালে উপস্থিত হয়ে আমাদের এবং আমাদের কর্মচারীদেরকে নানান হুমকি—ধামকি দিয়ে জলমহাল ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দেয়। এই ঘটনার পরপরই অগোচরে হাফিজুল ও জাহাঙ্গীরের লোকজন জলমহালে গিয়ে ভাংচুর করে এবং আমাদের ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডার, চুলা, নগদ টাকাসহ ক্যাশবাক্স ও অন্যান্য সরঞ্জাম লুট করে নিয়ে যায়। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সমিতির সভাপতি মোজাফফার হোসেন ও সেক্রেটারি মুজিবর রহমান বলেন, ৪ বছর হয়েছে জলমহালটি সরকারের কাছে থেকে লিজ নেয়া হয়েছে। মালামাল লুটের ব্যাপারে থানায় গেলে কোন অভিযোগ নেয়নি পুলিশ। দলিল জালিয়াতি করে এ কাজ করেছে জাহাঙ্গীর ও তার লোকজন। বিষয়টি তদন্ত না করেই অন্যায়ভাবে এবং উচ্চ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে এসিল্যান্ড হাফিজুলকে জলমহালটি ইজারা দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী করেন ভূক্তোভূগিরা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এধরনের আরো সংবাদ

Categories

© All rights reserved © 2019 LatestNews
Hwowlljksf788wf-Iu