• E-paper
  • English Version
  • বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:০৮ অপরাহ্ন

×

সাতক্ষীরায় ঘের দখলের চেষ্টা ও আগুন দেয়ার অভিযোগ

  • প্রকাশিত সময় : শুক্রবার, ১০ মে, ২০২৪
  • ৪৬ পড়েছেন

দেশ প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা :
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার খলিশখালি ইউনিয়নের গাছা মৌজার হাসখালি মীর সাহেব এর মৎস্য ঘের দফায় দফায় দখলের চেষ্টা ও বাসায় আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সিরাজুল ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মীর আসাদুজ্জামান সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। আসাদুজ্জামান বলেন, গত কাল ৯ মে সকালে মাসুম শেখের নির্দেশে ৩০/৪০ জনের একদল সন্ত্রাসী আমার ঘের দখলের চেষ্টা চালায় এসময় তারা আমার ঘেরের বাসায় আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘটনাটি আমি জানতে পেরে থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তারা পালিয়ে যায়।এঘটনায় আমি একটি সাধারন ডায়েরি করেছি। ইতিপূর্বে এই সন্ত্রাসীরা তালা উপজেলার মাগুরা এলাকার বাবুর আলীর ছেলে সিরাজুল ইসলামের নির্দেশে একই এলাকার মাসুম শেখ, শাহিনুর শেখ, সাঈদুর রহমান এর নেতৃত্বে আমার দীর্ঘদিনের ভোগদখলীয় মৎস্য ঘেরে প্রবেশ করে
বেকু মেশিন দিয়ে ঘেরের ভিতরে বেড়িবাধ দিতে থাকে এ সময় মৎস্য ঘেরে থাকা কর্মচারীরা আমাকে জানালে আমি ৯৯৯ ফোন দিলে পাটকেলঘাটা থানা পুলিশ এর হস্তক্ষেপে বেড়ি বাঁধের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনার পর থেকে সিরাজুল ও তার বাহিনী ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি অব্যাহত রেখেছে। বর্তমানে আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। মীর আসাদুজ্জামান আরোও বলেন, খলিষখালী ইউনিয়নের গাছা মৌজার ৯১২, ৯১৭, ৯২৩, ২৪১৮, ২৪২৬ দাগের ৭২ বিঘা জমিতে মৎস ঘের করে দীর্ঘদিন যাবত ভোগদখল করে আসছিলেন তিনি। সেখানে কয়েক লক্ষ টাকার মাছ ছাড়া রয়েছে।কিছু দিন ধরে তালার মাগুরা ইউনিয়নের চাঁদকাটি এলাকার সিরাজুল ইসলাম নামে এক ব্যাক্তি একটি জাল দলিল সৃষ্টি করে তার জমি দখলের পাঁয়তারা চালায়। বিষয়টি জানার পর ওই দলিলের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট সহ সাতক্ষীরা অতিরিক্তি ম্যাজিট্রেট আদালতে মামলা করেন তিনি।মামলাগুলো বর্তমানে চলমান রয়েছে। তিনি বলেন আমি আদালতে ১৪৫ ধারা করেছি তারা তা অমান্য করে আমার ঘেরের বাসার তালা ভেঙ্গে বাসার মালামালও লুট করেছে ঐ সকল সন্ত্রাসীরা। তিনি বলেন এর আগেও তারা সেখানে একটি অস্থায়ী ঘর নির্মান সহ লক্ষাধিক টাকার মাছ লুট করে।ওই সময় তিনি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দখল যজ্ঞ বন্ধ করে দেয়।পরে পুলিশ দেখে সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়ে।এ অবস্থায় সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার সহ সংক্লিষ্ট কৃর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন তিনি।অভিযোগ অস্বীকার করে সিরাজুল ইসলাম জানান, ওই সম্পত্তির মালিক এখন আমি নিজে। তার স্বপক্ষে সকল প্রকার কাগজপত্র রয়েছে।দফায় দফায় দখলের প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে তিনি কৌশালে এড়িয়ে বলেন, আমার নতুন জমি দেখতে কিছু লোকজন গিয়েছিল তবে কোন দখলের ঘটনা ঘটেনি।পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে থানায় কয়েক দফা বসাবসি হলেও কোন সমাধান হয়নি।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA