দেশ প্রতিবেদকঃ
খুলনা শহরের সব রাস্তার কাজ শেষ হওয়ার পর রাস্তায় কেউ ময়লা ফেললেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শহরের বিভিন্ন স্থানে ডাস্টবিন রয়েছে তা কেউ ব্যবহার করে না। বরং নতুন রাস্তার পাশে প্যাকেট করে ময়লা ফেলে রাখে।এনভাইরনমেন্ট রেজিলেন্স বিল্ডিং (ইআরবি) প্রকল্পের পিপলস ডায়লগ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সামাজিক অন্তভূক্তির মাধ্যমে টেকসই নগরায়ন শীর্ষক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক এ কথা বলেন।
বুধবার মহানগরীর হোটেল টাইগার গার্ডেন ইন্টারন্যাশনালের সম্মেলন কক্ষে ইউএসএআইডি’র সহায়তায় এবং কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনালের কারিগরি সহযোগিতায় প্রোমোটিং অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড রাইট্স প্রজেক্টের আওতায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সুশীলন এ সভার আয়োজন করে।অনুষ্ঠানে মেয়র বলেন, ইউএসএআইডির সহযোগিতা ও কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনালের সহযোগিতায় সুশীলন ও নাগরিক সমাজের মিলিত প্রয়াসে খুলনা সিটি কর্পোরেশনে যে মনিটরিং ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করেছে তারই ফলে ৫ ও ৯ নং ওয়ার্ড মডেল ওয়ার্ড হিসেবে রপান্তরিত করেছি। আমি বাকি ওয়ার্ডগুলোকেও মডেল ওয়ার্ড হিসেবে দেখতে চাই এবং সে জন্য আমি ওয়ার্ড কাউন্সিলরদেরকে সাথে নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। সেই সাথে প্রতিটি ওয়ার্ডে যাতে সকলে নিরাপদ পানি পান করতে পারে সে জন্য পানির এটিএম বুথ স্থাপনেও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এ জন্য ওয়াসা কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাগেরহাট- ৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুন নাহার, খুলনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ননী গোপাল মন্ডল, কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনালের পিএআর কর্মসূচির চিফ অব পার্টির কেটি ক্রোক, কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনালের প্রোগ্রাম ম্যানেজার (গর্ভনেন্স) তানিয়া আজুজি, খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল্লাহ, খুলনা জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) বিতান কুমার মন্ডল।
অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ মতামত রাখেন নাগরিক সুরক্ষা কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফুজ্জামান, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সরকারি অধ্যাপক ও ইউআরপির বিভাগীয় প্রধান ড. তুষার কান্তি রায়, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কেডিএ) চিফ ইঞ্জিনিয়ার কাজী সাবিরুল আলম ও খুলনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম ও কেসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কর তাজুল ইসলাম।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুশীলনের নির্বাহী প্রধান ও উপকূল বন্ধু মোস্তফা নুরুজ্জামান। অনুষ্ঠানে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উল্লেখিত মূল সুপারিশসমূহ একটি এ্যাডভকেসি রোড ম্যাপ মেয়র ও সংসদ সদস্যদের কাছে তুলে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, যে প্রান্তিক জনগোষ্ঠরি পক্ষ থেকে টেকসই নগরায়নের লক্ষ্যে নীতি নির্ধারকদের পাঁচটি দাবি বা সুপারিশমালা হস্তান্তর করা হয়। সুপারিশগুলো হলো: জাতীয় পর্যায়ে প্রতিটি সিটি কর্পোরেশনে মনিটরিং ফ্রেমওয়ার্ক ও ওয়ার্কিং কমিটির প্রয়োজনীয়তা, খুলনার প্রতিটি ওয়ার্ডকে মডেল ওয়ার্ড ঘোষণা, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধি ও তাদের পানির চাহিদা নিরুপনে প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়াটার এটিএম বুথ স্থাপনের মাধ্যমে খুলনার প্রান্তিক ও সাধারণ মানুষের বসবাস উপযোগি একটি মডেল সিটি হিসেবে গড়ে তোলা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে ৪০০ এর অধিক সদস্য ও এনজিও, সিএসও, মিডিয়া ও দায়িত্বপ্রাপ্ত দপ্তরগুলোর প্রতিনিধিরা।
উপদেষ্টা সম্পাদক: আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক,মেয়র, খুলনা সিটি কর্পোরেশন। সম্পাদক: মো: মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ। আইটি ইনচার্জ : মোঃ নাঈমুজ্জামান শরীফ । প্রকাশনা, বার্তা ও বাণিজ্যিক বিভাগ: "জাহান মঞ্জিল" ৪০, সিমেট্টি রোড (বেণী বাবু রোড), ফুলমার্কেট, খুলনা। dailydeshsanjog@gmail.com, sohagkhulna@gmail.com, online.deshsanjog.news@gmail.com যোগাযোগ করুন: info@deshsanjog.com</p>
দৈনিক দেশ সংযোগ