দেশ প্রতিবেদক, কুষ্টিয়া :
কুষ্টিয়ার খোকসা পৌরসভা ২০০২ সালের প্রতিষ্ঠার পর থেকে পদ্মা শাখা গড়াই নদী ও সুন্দরবনের ফুসফুস খ্যাত গড়াই নদী যেন ডাস্টবিনে পরিণত হয়েছে। পৌরসভার কঠিন ও তরল বর্জ্য নিষ্কাশনের চারটি নালা ও বিভিন্ন ওয়ার্ড এবং পৌরবাজার থেকে সংগ্রহ করা সকল বর্জ্য ফেলা হচ্ছে গড়াই নদীতে। এ বিষয়ে উপজেলার একাধিক পরিবেশবিদ সংগঠন মৌখিক ও লিখিত সহ স্থানীয় মানববন্ধন করলেও গড়াই নদীতে বর্জ্যফেলা বন্ধ হয়নি। গড়াই নদীর ওসমানপুর খেয়া ঘাটের পাশে শিশু খাদ্য তৈরীর কারখানা (কহিনুর বেকারি) পিছনে ও জেলেপল্লীর আবাসিক এলাকায় পৌর বর্জ্য প্রচন্ড দুর্গন্ধে চলাচল করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও খেয়াঘাট পারাপারের সাধারণ মানুষরা নাকে কাপড় দিয়ে চলাচল করছে। এছাড়াও পৌরসভার বসবাসকারী চারটি ড্রেনের মাধ্যমে তরল বর্জ্য ও বাজারের বিভিন্ন পয়োনিষ্কাশন বর্জ্য গড়াই নদীতে ড্রেনের মাধ্যমে অপসারণ করাই নদীর পানি প্রচন্ডভাবে দূষিত হচ্ছে। মিঠাপানির মাছ ও জীববৈচিত্র্য চরমভাবে হুমকির মুখে পড়েছে। একদিকে যেমন গড়াই নদীর পানি দূষিত হচ্ছে অপরদিকে পৌর বর্জ্য নদীতে ফেলার কারণে পানিতে বসবাসকারী মাছ ও জীববৈচিত্র্য মৃত্যু বারণ করছে। এছাড়াও দুর্গন্ধে স্থানীয় বসবাসকারী সাধারণ মানুষরা দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে। এ বিষয়ে পৌর পিতা প্রভাষক তারিকুল ইসলাম তারিক এর কাছে একাধিকবার পরিত্রান চেয়েও ওসমানপুর এলাকাবাসী এবং পৌরবাসী কোন পরিত্রাণ পায়নি। পৌর সচিব ও উপসহকারী প্রকৌশলী সুজন আলী জানান, পৌর বর্জ্য ফেলার জন্য পৌর কর্তৃপক্ষ এরই মাঝে ডাম্পিং এর জন্য জায়গা ক্রয় করেছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা কার্যক্রম শেষ হলে আমরা ওখানে আর পৌরবর্জ্য ফেলবোনা। পৌরবাসী ও স্থানীয় পরিবেশবিদদের দাবি অনতিবিলম্বে গড়াই নদীতে পৌর বর্জ্য না ফেলে অন্যত্র ফেলার জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে।
উপদেষ্টা সম্পাদক: আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক,মেয়র, খুলনা সিটি কর্পোরেশন। সম্পাদক: মো: মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ। আইটি ইনচার্জ : মোঃ নাঈমুজ্জামান শরীফ । প্রকাশনা, বার্তা ও বাণিজ্যিক বিভাগ: "জাহান মঞ্জিল" ৪০, সিমেট্টি রোড (বেণী বাবু রোড), ফুলমার্কেট, খুলনা। dailydeshsanjog@gmail.com, sohagkhulna@gmail.com, online.deshsanjog.news@gmail.com যোগাযোগ করুন: info@deshsanjog.com</p>
দৈনিক দেশ সংযোগ