দেশ প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা :
সাতক্ষীরায় ক্ষতিপূরণ চাওয়ায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ম্যানেজার সালাম কর্তৃক হুমকি প্রদান ও বানিজ্যিক মিটার ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। মিটার ক্ষতিসাধন হওয়ায় “মায়ের আর্শিবাদ ওয়েল্ডিং ওয়ার্কশপ” নামীও দোকানটি বিগত প্রায় তিন মাস যাবত কাজ বন্ধ হয়ে আছে। এতে আর্থিক ভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছে ভুক্তভোগী গনেশ চন্দ্র সরকার ও তার পরিবারের লোকজন। জানা গেছে, সাতক্ষীরা তালা ও আশাশুনি উপজেলার সীমান্তবর্তী নদীর উপর নির্মাণাধীন ব্রীজ তৈরির সরঞ্জামাদি ট্রাক যোগে সংকুচিত জায়গা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় অবহেলা জনিত কারণে বিদ্যুৎ এর পোলের উপর থাকা মিটারে ঘেষা লেগে ভেঙে যায়। তালা উপজেলার খেসরা ইউনিয়ন এর সোনাবাঁধান গ্রামের গনেশ চন্দ্র সরকার ও তার ছেলে তারক চন্দ্র সরকার জানান, সাতক্ষীরা তালা উপজেলার সোনাবাঁধান এলাকায় “মায়ের আর্শিবাদ ওয়েল্ডিং ওয়ার্কশপ” দোকানের মাধ্যমে কাজ করে তার পরিবার জীবিকা নির্বাহ করে। একমাত্র দোকানটি হাজী এন্টারপ্রাইজ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এর স্বত্তাধিকারী “গোলাম কবির শিকদার” তালা এবং আশাশুনি উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সীমান্তবর্তী “বলুয়া” নদীর উপর নতুন নির্মাণাধীন ব্রীজ তৈরিতে ব্যাবহৃত কাচামাল ট্রাক যোগে চলাচলের অনুপযোগী সংকুচিত রাস্তার মাঝ বরাবর থাকা পল্লী বিদ্যুৎ এর খুটির সাথে থাকা “মায়ের আর্শিবাদ ওয়েল্ডিং ওয়ার্কশপ” এর বানিজ্যিক মিটার গাড়িতে ঘেষা লেগে ভেঙে যায়। এর ফলে ভুক্তভোগীর দোকানের বানিজ্যিক মিটারটি ক্ষতিসাধন হয়। ভুক্তভোগী বলেন, ট্রাকের ঘেষা লেগে মিটার ভেঙে যাওয়ার কারনে দোকানের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মিটারের ক্ষতিপূরণ না দেওয়ার কারনে ১৩ থেকে ১৪ হাজার টাকা দিয়ে নতুন করে বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছেনা। বর্তমানে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় কাজ করতে পারছে না ভুক্তভোগী গনেশ চন্দ্র ও তার ছেলে তারক চন্দ্র সরকার। সে কারণে দীনেশ চন্দ্র তার পরিবার নিয়ে খুবই কষ্টে দিনাতিপাত করছে। উল্লেখিত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ম্যানেজার সালাম ভুক্তভোগী কে তার দোকানের ভেঙে যাওয়া মিটার বাবদ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্রæতি দিয়েও অদ্যাবধি এখনো দেয়নি বলে এ দাবি করেন গনেশ চন্দ্র সরকার ও তার ছেলে তারক চন্দ্র সরকার। এদিকে গত ১৮-০৫-২৪ তারিখ দুপুর আনুমানিক ১২ টার সময় পূর্ব প্রতিশ্রæতি অনুযায়ী ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কর্মরত ম্যানেজার সালাম এর সাথে গনেশ চন্দ্র সরকার এর ছেলে তারক চন্দ্র সরকার মিটারের ক্ষতিপূরণের বিষয় আলোচনা করায় ভুক্তভোগীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। একপর্যায় ভুক্তভোগী তারক চন্দ্র সরকার কে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার সালাম হুমকি দিয়ে বলে “তোর মতন তারক তিন চারটে ব্রীজের কাজের বোরিং এর ভেতর ঢুকিয়ে দেবো কেউ খুঁজে পাবেনা” এ ঘটনার পর থেকে ভুক্তভোগী তারক চন্দ্র সরকার ও তার পরিবার নিরাপত্তা হীনতা ও চরম আতংকে ভুগছে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী গনেশ চন্দ্র সরকার ও তার ছেলে তারক চন্দ্র সরকার স্থানীয় মেম্বার ও এলাকায় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের কে বিষয়টি অবহিত করেন। এ বিষয় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এর কর্মরত ম্যানেজার সালাম এর সাথে মুঠো ফোনে আলাপকালে তিনি বলেন, গাড়ি দূর্ঘটনায় মিটার ভেঙে গেছে। আমি আমার মহাজনের সাথে কথা বলে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৪ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলেছি। হুমকির ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করেন। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী গনেশ চন্দ্র সরকার ও তার ছেলে তারক চন্দ্র সরকার সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষ সহ সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
উপদেষ্টা সম্পাদক: আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক,মেয়র, খুলনা সিটি কর্পোরেশন। সম্পাদক: মো: মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ। আইটি ইনচার্জ : মোঃ নাঈমুজ্জামান শরীফ । প্রকাশনা, বার্তা ও বাণিজ্যিক বিভাগ: "জাহান মঞ্জিল" ৪০, সিমেট্টি রোড (বেণী বাবু রোড), ফুলমার্কেট, খুলনা। dailydeshsanjog@gmail.com, sohagkhulna@gmail.com, online.deshsanjog.news@gmail.com যোগাযোগ করুন: info@deshsanjog.com</p>
দৈনিক দেশ সংযোগ