দেশ প্রতিবেদক :
সূর্যের হাসি নেটওয়ার্কের আওতায় গেল দশদিনে তিনজন প্রসুতি মহিলার মৃত্যুর ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে ক্লিনিকের স্বাস্থ্যসেবার মান নিয়ে। প্রসূতি রোগীরা সন্তান প্রসব করার পর প্রচুর রক্ত ক্ষরনে মৃত্যুবরন করছেন, কিন্তু সূর্যের হাসি ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে রোগীর স্বজনদের ভুল তথ্য সরবরাহ করছে। গত বৃহস্পতিবার (১৬ মে) মানিকতলা এলাকার সুমি (৩৩) ও ইর্ষ্টানগেট এলাকার দোলা (৩৩) নামে দুই প্রসূতি মহিলাকে সন্তান প্রসবের জন্য মানিকতলা সূর্যের হাসি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। ওইদিন তাদের সিজার করা হয়। সিজার করেন ওই ক্লিনিকের ডাঃ আফসারুল নেছা মুক্তা এবং ডাঃ মইনউদ্দিন মোল্যা। এ রাগীদের এ্যাসেনথেসিয়া করান ডাঃ হোসাইন রেজা। সন্তান প্রসবের পর প্রসূতি রোগী সুমি ও দোলার প্রচুর রক্ত ক্ষরন হয়। রোগীদের অবস্থা খারাপ হওয়ায় তড়িঘড়ি করে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ রোগীর স্বজনদের অন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। ডাঃ আফসারুল নেছা মুক্তার করা অপারেশন রোগী সুমিকে আকিজ আদ্বীন হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। একই দিনে দোলা নামে রোগীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে আই সি ইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার প্রচুর রক্ত ক্ষরন হলে শনিবার (১৮ মে) দোলা মৃত্যুবরন করেন। অন্যদিকে স্বর্নালী আক্তার রত্না (২২) নামে আরো একজন প্রসূতি রোগীকে ফুলবাড়িগেট এলাকার সেনপাড়া থেকে সূর্যের হাসি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয় গত ১৫ তারিখে। ওই দিন তিনি একটি সন্তান প্রসব করেন। কিন্তু তার তীব্র ব্যাথা ও প্রচুর রক্ত ক্ষরন হলে পরের দিন তার স্বামী মোঃ রাতুলকে খুলনা মেডিকেল কলে হাসপাতালে ভর্তি করার কথা বলেন সূর্যের হাসি ক্লিনিকের ডাক্তার ও কর্মকর্তারা। রত্নাকে খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে তিনিও মৃত্যুবরন করেন। রতœার স্বামী মোঃ রাতুল জানান, খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করার সময় তার স্ত্রীর নাড়ি কেটে ফেলার কারনে রক্ত ক্ষরন হচ্ছে, তাকে বাঁচানোর সম্ভব খুব কম বলে চিকিৎসকরা তাকে জানান। গেল দশদিনে সূর্যের হাসি ক্লিনিক মানিকতলা শাখায় তিনজন প্রসূতি রোগীর মৃত্যু নিয়ে ওই এলাকায় অতংক ছড়িয়েছে। ক্লিনিকের আশপাশ এলাকার বাসিন্দারা ওই ক্লিনিকে প্রসূতি রোগীদের ভর্তি করাতে ভয় পাচ্ছেন। মৃত দোলার এক স্বজন জানান সিজার করার পর রোগীর অবস্থা চরম অবনতি হলে ক্লিনিকের কেহ তাদের সহযোগিতা করেনি, রোগীদের সিজার করার পর সুস্থ করতে পর্যাপ্ত সুবিদা নেই ক্লিনিকটিতে। অবস্থা খারাপ হলে তড়িঘড়ি করে অন্য হাসপাতালে পাঠাতে পারলে তারা যেন বেঁচে যান। এ ঘটনায় গতকাল বিকালে ক্লিনিকে রোগীর স্বজনরা বিচারের দাবিতে ভিড় জমান। সেখানে সূর্যের হাসি নেটওয়ার্কের জেনারেল ম্যানেজার (অপাঃ) কর্নেল (অবঃ) ইফতেখারুল হকের কাছে রোগীর স্বজনরা ক্লিনিকের অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মের অভিযোগ করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রোগীর স্বজন এবং নেটওয়ার্কেও কর্মকর্তাদের মধ্যে আপোস, মিমাংসার প্রক্রিয়া চলছিলো। এ বিষয়ে সূর্যের হাসি ক্লিনিক মানিকতলা শাখার ব্যবস্থাপক ওমর ফারুকের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এ ব্যাপাওে খুলনা সিভিল সার্জন মোঃ শফিকুল ইসলামে সাথে কথা হলে তিনি বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন বলে জানান।
উপদেষ্টা সম্পাদক: আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক,মেয়র, খুলনা সিটি কর্পোরেশন। সম্পাদক: মো: মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ। আইটি ইনচার্জ : মোঃ নাঈমুজ্জামান শরীফ । প্রকাশনা, বার্তা ও বাণিজ্যিক বিভাগ: "জাহান মঞ্জিল" ৪০, সিমেট্টি রোড (বেণী বাবু রোড), ফুলমার্কেট, খুলনা। dailydeshsanjog@gmail.com, sohagkhulna@gmail.com, online.deshsanjog.news@gmail.com যোগাযোগ করুন: info@deshsanjog.com</p>
দৈনিক দেশ সংযোগ