• E-paper
  • English Version
  • শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৭ অপরাহ্ন

×

বিদেশে পড়তে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের সনদ সংগ্রহ আরও সহজ হবে

  • প্রকাশিত সময় : মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০২৪
  • ৫৬ পড়েছেন

বিশেষ প্রতিবেদক :
বিদেশে পড়তে যেতে আগ্রহী শিক্ষার্থী বা ব্যবসা করতে আগ্রহী ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন ধরনের সনদ সংগ্রহ করার প্রক্রিয়া সহজ করবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আশা করা হচ্ছে, এ বছরের শেষ নাগাদ চালু হওয়া নতুন নিয়মে শিক্ষা, ব্যবসা ও অন্যান্য আইনি সনদ যা বিদেশে প্রয়োজন হতে পারে, সেগুলোর সংগ্রহ প্রক্রিয়া সহজ হয়ে যাবে। বর্তমানে শিক্ষার্থীদের তাদের শিক্ষাসনদ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে সত্যায়িত করতে হয়। এরপর যে দেশে তারা যেতে আগ্রহী ওইসব দেশের দূতাবাস বা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সেটি আবার সত্যায়িত করার পরে বিদেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জমা দিলে সেটি গ্রহণ করা হয়। একই বিষয় প্রযোজ্য ব্যবসায়ীদের জন্যও। তাদের বিভিন্ন বাণিজ্যিক সনদ যেমন- ট্রেড লাইসেন্স বা মেমোরান্ডাম অব অ্যাসোসিয়েশন দেশে সত্যায়িত করার পরে বিদেশি কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সত্যায়িত করতে হয়। এ প্রক্রিয়াটি সময় ও ব্যয়সাপেক্ষ এবং অনেক ক্ষেত্রে হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার হতে হয়। গোটা প্রক্রিয়াটি সহজ করার উদ্যোগ নিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সবকিছু ঠিক থাকলে বছরের শেষ নাগাদ শুধু দেশীয় অনুমোদন সংগ্রহ করলেই সেটি বিদেশে গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে সোমবার কেবিনেট বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘বিদেশ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ডকুমেন্ট দেশে সত্যায়িত করার পরে সেটি আবার বিদেশি দূতাবাস বা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সত্যায়িত করার প্রযোজন হয়। আমরা গোটা প্রক্রিয়াটি সহজ করার উদ্যোগ নিয়েছি যাতে করে যারা সেবা নিতে আসবে তাদের ভোগান্তি বা হয়রানি না হয় এবং তারা দ্রæততম সময়ের মধ্যে সেবাটি পেয়ে যান।’ বিদেশি দূতাবাস থেকে সত্যায়িত করার প্রয়োজন হয় এমন ডকুমেন্টের মধ্যে রয়েছে শিক্ষাসনদ, বিবাহ সনদ, বাণিজ্যিক সনদসহ বিভিন্ন ধরনের কাগজ, তিনি জানান। সচিব বলেন, ‘বাংলাদেশে অনেক দেশের দূতাবাস নেই। ফলে বাংলাদেশিদের ভারতে গিয়ে ওইসব দূতাবাসগুলোতে সনদ সত্যায়িত করতে হয়, যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ।’ কীভাবে এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হবে : এপোস্টেল কনভেনশন ১৯৬১ নামে একটি কনভেনশন আছে। এর প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে সনদ সত্যায়িত করে থাকে, সেটি অন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোর যেকোনও প্রতিষ্ঠানের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়। ওই কনভেনশনে বাংলাদেশের যোগদানের বিষয়ে কেবিনেট সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বর্তমানে ১২৬টি দেশ এর সদস্য এবং তাদের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, চীন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, রাশিয়া, সৌদি আরবসহ প্রায় পৃথিবীর সব বড় রাষ্ট্র। আমরা এর সদস্য হলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যেসব সনদ সত্যায়িত করবে সেগুলো অন্য দেশের কর্তৃপক্ষের কাউন্টার সনদের প্রয়োজন হবে না। এই কনভেনশনের সদর দফতর নেদারল্যান্ডে এবং আমরা এখন আমাদের যোগ দেওয়ার ইচ্ছার কথা তাদের জানানো পর তারা একটি নোটিফিকিশেন ইস্যু করলে বাংলাদেশ এপোস্টেল কনভেনশনের সদস্য হতে পারবে। নোটিফিকিশেন ইস্যু করতে সাধারণত ছয় মাস সময় লাগে বলে তিনি জানান। আভ্যন্তরীণ প্রস্তুতি : বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সনদ সত্যায়িত করার প্রক্রিয়টিও ডিজিটাল করা হবে এবং এজন্য আইসিটি মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে। পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘আগামী ছয় মাসের মধ্যে দেশের যেসব মন্ত্রণালয় সত্যায়ন প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত যেমন শিক্ষা বা আইন মন্ত্রনালয় তাদের কার্যক্রম সমন্বয় করে একটি ডিজিটাল ব্যবস্থা চালু করা হবে যাতে করে সেবাগ্রহনকারীরা সহজে সত্যায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA