• E-paper
  • English Version
  • বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:১৪ পূর্বাহ্ন

×

খুলনার বিভিন্ন বাজার অপরিপক্ক ফলে সয়লাব

  • প্রকাশিত সময় : বুধবার, ২২ মে, ২০২৪
  • ৪১ পড়েছেন

দেশ প্রতিবেদক :
তীব্র গরমের মধ্যে শুরু হয়েছে মধু মাস জ্যৈষ্ঠ। চারিদিকে দিচ্ছে নানা ফলের বাহার। তারপর এখনও গাছে গাছে ঝুলছে অপরিপক্ক আম, কাঁঠাল, লিচুসহ অন্যান্য মওসুমি ফল। কিন্তু তার আগেই অপরিপক্ক মওসুমি ফলে ভরে গেছে মহানগরী খুলনাসহ আশপাশের ফল বাজারগুলো। দামও আকাশচুম্বি। ফলের আড়ত ও ফলের বাজারগুলোতে আসছে হাজার হাজার মণ আম, লিচু, কাঁঠাল, জামরুল, কলাসহ নানা রকমের ফল। এসব অপরিপক্ক ফল খেয়ে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে মানুষ। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সপ্তাহ দুয়েক আগে থেকেই এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী অপরিপক্ক বিভিন্ন জাতের আম, লিচু, কাঁঠাল বাজারজাত করছেন। মহানগরীর ফলের বাজার খ্যাত স্টেশন রোডসহ ফল বাজার ঘুরে দেখা যায়, অপরিপক্ক লিচু, আম, কাঁঠাল, জামরুলসহ বিভিন্ন ধরনের ফল বিক্রি হচ্ছে। দামও বেশ চওড়া। তবে দাম বেশি হলেও বছরের প্রথম ফল বলে অনেকেই কিনছেন শখে। তবে বিভিন্ন এলাকায় প্রকাশ্যে অপরিপক্ক ফল বিক্রি করলেও সেদিকে প্রশাসনের সুদৃষ্টি নেই বলে অভিযোগ উঠেছে। ব্যবসায়ীরা বলেছেন, পরিপক্ব হোক আর অপরিপক্ক হোক এখন সব ফলের চাহিদা বেশি। বিশেষ করে লিচু, আম ও কাঁঠাল বেশ ভালো বিক্রি হচ্ছে। ১০০টি মাদ্রাজি লিচু পাইকারিতে ২৫০ টাকা এবং মোজাফফর নামের লিচুর শ’ ৩০০ টাকায় বিক্রি করছি। গত এক সপ্তাহ ধরে এই লিচু বিক্রি করছি। অন্যদিকে পাইকারি আমের কেজি ১১০ থেকে ১৩০ টাকা পর্যন্ত। কাঁঠাল সাইজ অনুযায়ী বিক্রি হয়। মাঝারি সাইজের কাঁঠালের শ’ পাইকারি ১২-১৩ হাজার টাকা বিক্রি করছি। তার চেয়ে একটু বড় সাইজের কাঁঠাল আরও দুই-তিন হাজার বেশি।’ অপরিপক্ক ফলের বিষয়ে ক্ষোভ করেছেন ক্রেতারা। রবিউল ইসলাম, সাইফুল ইসলামসহ একাধিক ক্রেতা জানান, শখ করে এক কেজি পাকা আম কিনেছি। কিন্তু মনে হলো জোর করে আমগুলো পাকানো হয়েছে। পাকা আমের কোনও স্বাদই নেই। শিশুদের জোরাজুরিতে কেনা। নয়তো কিনতাম না। বাজারে এখনও গাছ পাকা আম আসেনি। আশা করি সপ্তাহ খানেকের মধ্যে আসবে। রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘জ্যৈষ্ঠ মাস মধুর মাস। কারণ এই মাসে বিভিন্ন ধরনের রসালো, মিষ্টি ও সুগন্ধি ফল উঠতে শুরু করে। কিন্তু এখনকার বাজারের ফলগুলো তেমন রসালো না, মিষ্টিও না। কারণ এসব ফল অপরিপক্ক থাকতেই গাছ থেকে নিয়ে বাজারজাত করা হয়েছে। যার কারণে এখনকার ফলে অরজিনাল যে স্বাদ সেটা নেই।’ অপরিপক্ক ফলের আমদানি বন্ধের বিষয়ে বাজার তদারকির প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে ভোক্তারা বলেন ‘ভোক্তা অধিকারের উচিত নিয়মিত বাজার পর্যবেক্ষণ করা। এখন ফলের মওসুম। বাজারে ফল আসবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কোন ফলগুলো পরিপক্ব আর কোনগুলো অপরিপক্ক এই বিষয়টা দেখা প্রয়োজন। অনেক অসাধু ব্যবসায়ী লাভের আশায় পাকার আগেই অপরিপক্ক ফল বাজারে ছেড়েছে। ফলে এসব ফল খেয়ে ভোক্তাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে। অপরিপক্ক ফল যেন বাজারে না আসতে পারে সেজন্য সরকারিভাবে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।’ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানান, অপরিপক্ক ফল নিশ্চয়ই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। অপরিপক্ক ফল প্রিজার্ভ করার জন্য বাংলাদেশে যেটা ব্যবহার করা হয় সেটা আরও বেশি ক্ষতিকর। বিশেষ করে শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। যেমন কলার কথাই ধরি- অপরিপক্ক কলাতে যে কার্বাইড দেওয়া হয় তা অত্যন্ত ক্ষতিকর। যেকোনও ফল অপরিপক্ক অবস্থায় প্রিজার্ভ করার জন্য যে মেডিসিন ব্যবহার করা হয় তা শিশুদের স্বাস্থ্যহানি, কিডনি ও লিভারের সমস্যা, এমনকি বাচ্চাদের বেড়ে উঠাতেও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA