• E-paper
  • English Version
  • রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৫ পূর্বাহ্ন

×

মতবিনিময় সভায় বক্তারা পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ায় পাহাড়ে বিভিন্ন সন্ত্রাসী ও জঙ্গী গোষ্ঠী সৃষ্টি হয়েছে

  • প্রকাশিত সময় : শনিবার, ২৫ মে, ২০২৪
  • ৭৮ পড়েছেন

দেশ প্রতিবেদক :
খুলনায় পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের উদ্যোগে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৫ মে) বিকেল ৩ টায় খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ুন কবির বালু মিলনায়তনে এই মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন প্লাটফর্মটির খুলনার সমন্বয়কারী খালিদ হোসেন। সভায় আলোচনায় অংশ নেন চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সমন্বয়কারী অধ্যাপক ড. খায়রুল ইসলাম চৌধুরী, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন সভাপতি খান আসাদুজ্জামান মাসুম, বাংলাদেশ জাসদ স্থায়ী কমিটির সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম বাবু, রফিকুল হক খোকন, স্থায়ী কমিটির সদস্য এস এ রশিদ, ওয়ার্কাস পার্টি খুলনা মহানগর সভাপতি মোফিদুল ইসলাম, জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার উদ্দিন দিলু, খুলনা মহানগর জাসদের সাধারন সম্পাদক আরিফুজ্জামান মিন্টু, যুব জোট-খুলনার সভাপতি মাসুদ রানা, সাধারন সম্পাদক তানভির হোসেন সেন্টু, বাংলাদেশ জাসদ খুলনা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মো. হাসান, বাংলাদেশ জাসদের কেন্দ্রীয় সদস্য হিরা শেখ, নারী জোট খুলনার সভাপতি রুনা লায়লা, যুব মৌত্রী খুলনার সভাপতি প্রভাষক রেজায়ুন রাজা, সা: সম্পদক এড. কামরুল হোসেন জোয়ারদার, বাসদের জেলা সদস্য সচিব কহিনুর আক্তার, আব্দুল করিম, এড.সন্দিত মন্ডল, নাগরিক নেতা এ্যাড. বাবুল হাওলাদার, বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা খুলনার সমন্বয়কারী এ্যাড. মমিনুল ইসলাম, ব্লাষ্ট খুলনার সমন্বয়কারী এড.অশোক কুমার সাহা, জনউদ্যোগের মহন্দ্রেনাথ সেন, বেলার খুলনার সমন্বয়কারী মাহফুজুর রহমান মুকুল, সাংস্কৃতিক ব্যাক্তি হুমায়ুন কবির ববি, সাজ্জাদুর রহমান পান্থ প্রমূখ। এসময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৯৭ সালের ০২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। কিন্তু চুক্তির ২৬ বছর অতিক্রম হওয়ার পরেও সরকার চুক্তির মৌলিক বিষয়গুলো বাস্তবায়ণ না করে পাহাড়ের জুমিয়া মানুষদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি যথাযথ বাস্তবায়ন না হওয়ার কারণে আজ পাহাড়ে নানা ধরনের বিভিন্ন ছোট-বড় সন্ত্রাসী ও জঙ্গী  গ্রুপ সৃষ্টি হয়েছে। যা পাহাড়ী অঞ্চলকে অশান্ত করে তুলেছে। তাই সরকারের উচিত যত দ্রুত সম্ভব চুক্তির যথাযথ বাস্তবায়ন করে পাহাড়ে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া।
বক্তারা আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম যেমন বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ ঠিক তেমনি পাহাড়ের চুক্তি বাস্তবায়নের লড়াইও শুধু পাহাড়িদের নয়, এই লড়াই সমগ্র দেশবাসীর লড়াই। তাই সারা দেশে চুক্তি বাস্তবায়নের সপক্ষে জনমত গঠন করতে হবে। এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের সংগ্রামকে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে হবে। দেশের অপরাপর অঞ্চলের ন্যায় অতিশীঘ্রই খুলনাতেও চুক্তি বাস্তবায়নের সপক্ষে গণমিছিল ও সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠানের ঘোষনা দেয়া হয়। মতবিনিময় সভা থেকে চুক্তি বাস্তবয়ান আন্দোলনের ৫দফা এবং সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক দুইসহ ৭দফার সাথে খুলনাবাসীর সংহতি জানানো হয়। ঘোষিত ৭দফা হলো-পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য সময়সূচি ভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করে চুক্তির দ্রুত ও যথাযথ বাস্তবায়ন করতে হবে। পাহাড়ে সামরিক কর্তৃত্ব ও পরোক্ষ সামরিক শাসনের অবসান ঘটানো হবে।আঞ্চলিক পরিষদ ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদকে প্রতিনিধিত্বমূলক গণতান্ত্রিক করা এবং স্হানীয় শাসন নিশ্চিত করতে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি মোতাবেক এসব পরিষদের যথাযথ ক্ষমতায়ন করতে হবে। পার্বত্য ভূমি সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনকে কার্যকরের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু ও ভারত প্রত্যাগত জুম্ম শরণার্থীদের পুনর্বাসন করে তাঁদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। দেশের মূল স্রোতধারার অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও স্থায়িত্বশীল উন্নয়নে পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীদের অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া সমতলের আদিবাসীদের জন্য ইউনিয়ন পরিষদসহ সকল স্তরের স্থানীয় সরকারে বিশেষ আসন সংরক্ষণ এবং আদিবাসী জনগণের জীবনমান উন্নয়নে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে এবং সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠন করার দাবী তুলে ধরা হয়।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA