• E-paper
  • English Version
  • মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৫৮ পূর্বাহ্ন

×

বোরো মৌসুমকে টার্গেট করে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দপ্তরে উৎকোচ বাণিজ্য

  • প্রকাশিত সময় : রবিবার, ২৬ মে, ২০২৪
  • ৫৫ পড়েছেন

দেশ প্রতিবেদক :
আসন্ন বোরো মৌসুমকে টার্গেট করে খুলনা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দপ্তরে চলছে জমজমাট ঘুষ বানিজ্য। এবার বোরো মৌসুমে বাম্পার ফলনের পাশাপাশি বাজার মূল্য ক্রয় মুল্যের চেয়ে বেশ পার্থক্য। যেকারনে এ দপ্তরের শীর্ষকর্তা ব্যক্তিসহ কয়েকজনের সিন্ডিকেট পুনরায় ঘুষবানিজ্যে মেতে উঠেছেন। সিন্ডিকেটের মূলহোতা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক স্বয়ং নিজে ও তার সহযোগী হিসেবে এ দপ্তরে স¤প্রতি সংযুক্তিতে যোগদানকারী নুরে আলম ও ময়দা মিল মালিক মেসার্স ফারুক ফ্লাওয়ার এর মো: ওমর ফারুক। জেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক দপ্তর সূত্রে জানাযায়, এদপ্তরে দীর্ঘ দশ বছর নি¤œমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর নুরে আলম কর্মরত ছিলেন। গত বছর ২০২৩ সালের অক্টোবরে নুরে আলম পদোন্নতি পেয়ে হিসাবরক্ষক হন। এসময় খাদ্য ভবন থেকে তাকে সাতক্ষীরা জেলায় বদলী করা হয়। অথচ খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগনের বদলী/পদায়ন নীত বদলী নীতিমালা- ২০১৯(সংশোধিত -২০২২) লঙ্ঘন কওে ছয় মাস যেতে না যেতেই নুরে আলম পুনরায় খুলনা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দপ্তরে পুনরায় সংযুক্তিতে যোগদান করেছেন। এ যোগদানের জন্য তাকে সহযোগিতা করেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তাজুল ইসলাম। তিনি নিজে মোটা অঙ্কের টাকা সদ্য যোগদানকারী (চ:দা) আঞ্চলিক খাদ্যনিয়ন্ত্রক ইকবাল বাহার চৌধুরীকে দিয়ে নিয়মের তোয়াক্কা না করে এ আদেশ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অথচ উক্ত হিসাবরক্ষকের একটি পদের বিপরীতে অত্রদপ্তরে মোট দুজন কর্মরত। এরা হলেন মুল পদে রয়েছেন পুর্নিমা মন্ডল ২২/১০/২০১৯ হতে অদ্যবদী। এছাড়াও সংযুক্তিতে রয়েছেন কেএম মনিরুজ্জামান ২৫/১০/২০২২ হতে। অথচ একটি পদের বিপরীতে ইতোমধ্যে দুইজন থাকা স্বত্বেও পুনরায় আরেকজনকে গত ২৭/০৪/২০২৪ তারিখে পুনরায় এদপ্তরে সংযুক্তিতে যোগদান জনমনে প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে। যে দীর্ঘ দশ বছর নিম্নমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটরের দায়িত্ব পালন কালে একাধিক অভিযোগে অভিযুক্ত ছিলেন। অভিযোগ আছে নুরে আলম এর আগে কর্মরত থাকাকালীন প্রায় সকল জেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রকগনের বিশ্বস্ত ও কাছের মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ইতোপূর্বে নুরে আলম জেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রকের দপ্তরের সংগ্রহ, ওএমএস, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন খাত থেকে টাকা কালেকশন করতেন। জেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রকের বিশ্বস্থ হওয়ায় সকল কালেকশন করাতেই ছয় মাস যেতে না যেতেই নুরে আলম পুনরায় খুলনা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দপ্তরে পুনরায় সংযুক্তিতে যোগদান করিয়েছেন। খোলা বাজারে চাল আটা বিক্রয় কার্যক্রম ওএমএস সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করেন ফারুক ফ্লাওয়ার মিলের ওমর ফারুক ও নিকলাপুর ফ্লাওয়ার মিলের মো: হাফিজ। এদের সহযোগী হিসেবে অফিসের সকল অনিয়মকে নিয়মে পরিনত করেন জেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রকের আস্থাভাজন নুরে আলম। গত ২০২৩ সালে ওএমএস খাতে বর্তমান ডিসি ফুড নুরেআলম ও ময়দা মিলার ফারুক হাফিজের যোগসাজশে প্রায় চারশত মে.টন গমের বরাদ্দ নেয় নিজেদের পছন্দমত ময়দা মিলের অনুকুলে। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় ময়দা মিলারদের মাঝে বেশ অসন্তোষের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি তখন ধামাচাপা দিতে নুরে আলম ময়দা মিলার ফারুক, হাফিজ মরিয়া হয়ে পড়ে। এরমধ্যেই নুরে আলমের পদোন্নতি হয়। নুরে আলমকে পার্শবর্তী জেলা সাতক্ষীরায় বদলী করা হলে বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে। জানতে চাইলে খুলনা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তাজুল ইসলাম বলেন, জনবল কম, তাই বদলীর ওই দুজনকে সংযুক্তিতে আবারও এ দফতরে আনা হয়েছে। আরও কয়েকজন দ্রæত সময়ের মধ্যে অবসরে চলে যাবেন। তখন জনবল সংকট আরও বাড়বে। তাই আগে থেকে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। জনবল সংকট নিরসনে জরুরি নিয়োগ পাওয়ার সুযোগ নেই। আর সংযুক্তিতে আনা হলেও ২ জনকে হিসাবরক্ষক পদে দায়িত্ব দেয়া হয়নি। তাদেরকে অন্য শাখায় নেয়া হয়েছে। আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক (চ:দ:) ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, এ বিষয়টি তার জানা নেই। এক পদে একাধিক জন লোক থাকার সুযোগ নেই। বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA