খুলনা জেলা বিএনপি’র আহবায়ক আমীর এজাজ খান বলেছেন, গণমানুষের দল বিএনপি সব সময়ই জনগনের পাশে ছিল, আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে ইনশাআল্লাহ্। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সকল ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকতে বিএনপি বদ্ধপরিকর। সরকারি দল লুটপাটে ব্যস্ত, বিপরীতে বিএনপি জনগনের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে ক্ষতিগ্রস্তদের দ্বারেদ্বারে। গেল দেড় যুগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা থাকলেও আওয়ামী লীগ উপকূলবাসীর প্রাণের দাবি টেকসই বেঁড়িবাধ নির্মাণ তো করতেই পারেনি; বরং হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করে কতিপয় জনপ্রতিনিধি নিজেদের আঁখের গুছিয়েছেন। বেঁড়িবাধ ভাঙলে উপকূলবাসী মাথা গোঁজার ঠাই হারায়, আর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পকেটভারী হয়। মিথ্যা প্রতিশ্রতি আর মায়া কান্নায় ভুলিয়ে উপকূলবাসীর ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলাই তাদের উপকূলীয় রাজনীতিক হাতিয়ার।

আজ মঙ্গলবার (২৮ মে) ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত দাকোপের বটবুনিয়া বাজারের বেড়িবাঁধ ভাঙন কবলিত এলাকায় ত্রাণ বিতরণকালে এসব কথা বলেন তিনি। গেল দু’দিনের ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাড়িয়েছে খুলনা জেলা বিএনপি। ইতোমধ্যে জেলার নয়টি উপজেলা ও দু’টি পৌরসভায় স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের গৃহনির্মাণ, খাদ্য সামগ্রী বিতরণ ও অসচ্ছল কর্মী-সমর্থকদের আর্থিক সহায়তা দিচ্ছেন।

দাকোপে ত্রাণ বিতরণকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি’র যুগ্ম-আহবায়ক মোল্লা মোশাররফ হোসেন মফিজ, আশরাফুল আলম নান্নু, দাকোপ উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক বাবু অসিত কুমার সাহা, সদস্য সচিব আব্দুল মান্নান খান, চালনা পৌরসভা বিএনপি’র আহবায়ক মোঃ মোজাফফর হোসেন, বিএনপি নেতা মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, মোঃ শহিদুল ইসলাম, মানষ গোলদার, জান্নাতুল ফেরদাউস, রেহেনা ইসলাম, কানিজ ফাতেমা, আব্দুর রাজ্জাক, আজমির সানা, জিএম রমজান আলী, কামরুজ্জামান টুকু, মনসুর আলী মীর, নিয়ামত শেখ, কাশেম সানা, গাজী তরিকুল ইসলাম ও রবিউল ইসলাম মনা প্রমুখ।।