• E-paper
  • English Version
  • শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:০৭ পূর্বাহ্ন

×

খুলনায় তিনদিনের কর্মসুচি – শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এঁর ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকী

  • প্রকাশিত সময় : বুধবার, ২৯ মে, ২০২৪
  • ৮৬ পড়েছেন

বিজ্ঞপ্তিঃ
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর ৪৩তম শাহাদতবার্ষিকী আজ (৩০ মে) বৃহস্পতিবার। বহুদলীয় গণতন্ত্র, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ এবং উৎপাদনমুখী রাজনীতির প্রবক্তা হিসেবে জিয়াউর রহমান পরিচিতি পেয়েছিলেন অতি অল্প সময়ে। রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার পাঁচ বছরের মাথায় ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে একদল বিপথগামী সেনাসদস্যের গুলিতে শাহাদাত বরণ করেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম এই সেক্টর কমান্ডার। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে উজ্জ্বল হয়ে আছেন জিয়াউর রহমান। তিনি দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য হানাদারদের বিরুদ্ধে সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও বীরত্বসূচক অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সরকার তাঁকে ‘বীর উত্তম’ খেতাব দিয়ে সম্মানিত করে। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহি-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে আসা জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল। তার পরের বছর ০১ সেপ্টেম্বর আত্মপ্রকাশ করে জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া রাজনৈতিক দল বিএনপি।
শহীদ জিয়া আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি: বিএনপির নেতারা দিনটি স্মরণ করে বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার। তিনিই জাতির সংকটময় মুহূর্তে বারবার দাঁড়িয়েছেন নির্ভয়ে, মাথা উঁচু করে। বিপর্যস্ত জাতিকে রক্ষা করেছেন সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর অস্থিতিশীল ও অনিশ্চিত এক পরিস্থিতি থেকে দেশ মুক্তি পায় ৭ নভেম্বরের ঐতিহাসিক সিপাহি-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে। আর এ বিপ্লবের প্রাণপুরুষ ছিলেন জিয়াউর রহমান। নেতারা বলেন, ‘গণতন্ত্র হত্যা ও অরাজকতার অমানিশার দুর্যোগের মুখে দেশের সিপাহি-জনতার মিলিত শক্তির মিছিলে জিয়াউর রহমান জাতীয় রাজনীতির পাদপ্রদীপের আলোয় উদ্ভাসিত হন। ফিরিয়ে দেন বহুদলীয় গণতন্ত্র, সংবাদপত্র ও নাগরিক স্বাধীনতা। তিনি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা করেন। উৎপাদনের রাজনীতির মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করেন। বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে খাদ্য রপ্তানিকারক দেশে পরিণত করেন। আধুনিক ও স্বনির্ভর দেশ গঠনের পদক্ষেপ নেন তিনি।’ বিএনপি খুলনা মহানগরীর আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা ও সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেছেন, “মহান স্বাধীনতার ঘোষক, ৭১-এর রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠাতা, আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি, দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক, সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের ৪৩তম শাহাদাৎবার্ষিকীতে আমরা তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। শহীদ জিয়ার প্রবর্তিত কালজয়ী দর্শন ‘বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ’ও তাঁর অবিনাশী আদর্শ এ দেশের মানুষকে উদ্দীপ্ত করে আমাদের জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা এবং বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের অঙ্গীকার।’’ বুধবার (২৯ মে) এক বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, ‘জাতির সব ক্রান্তিকালে জিয়াউর রহমান দেশের মানুষের পক্ষে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি সব সংকটে দেশ ও জনগণের পক্ষে অবস্থান নেন। মহান স্বাধীনতার ঐতিহাসিক ঘোষণা, স্বাধীনতা যুদ্ধের ময়দানে বীরোচিত ভূমিকা এবং একটি নতুন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে তাঁর অনবদ্য অবদানের কথা আমি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।’ ‘স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রারম্ভে রাজনৈতিক নেতৃত্বের সিদ্ধান্তহীনতায় দেশের মানুষ যখন দিশেহারা, ঠিক সেই মুহূর্তে ২৬ মার্চ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে মেজর জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা সারা জাতিকে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উজ্জীবিত করেছে। এই ঘোষণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের তরুণ, যুবকসহ নানা স্তরের মানুষ মরণপণ যুদ্ধে শামিল হয়।’
বিএনপির কর্মসূচি: বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এঁর ৪৩তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে খুলনা মহানগর বিএনপি ৩দিনের কর্মসূচী গ্রহন করেছে বলে বিএনপি মিডিয়া সেল নিশ্চিত করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আজ ৩০ মে (বৃহস্পতিবার) মহানগর বিএনপি কার্যালয়সহ সকল দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো পতাকা উত্তোলন ও কালো ব্যাচ ধারন। সকাল ১০টায় দলীয় কার্যালয়ে দোয়া মাহফিল, সাড়ে ১০টায় ছাত্রদল ও শ্রমিকদলের উদ্যোগে রক্তদান কর্মসূচি, ১১টায় সদর থানা বিএনপির উদ্যোগে দোয়া মাহফিল ও দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ, পরপরই মহানগরী সকল থানা, ওয়ার্ড, ইউনিয়নে দোয়ামাহফিল ও খাবার বিতরণ। ৩১ মে (শুক্রবার) জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের উদ্যোগে খুলনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বইমেলা । ২ জুন (রবিবার) বিকাল ৩টায় স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে শহীদ জিয়া বীর উত্তম এর অবদান শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA