মোস্তাফিজুর রহমান, কোটচাঁদপুরঃ
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর থেকে আবারও দুইটি আলমসাধু ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার রাতে কোটচাঁদপুর উপজেলার – তালসার সড়কের রব্বানী ব্রীজ নামক স্থান থেকে ওই আলমসাধু ছিনতাই হয়। গত ২৬ দিন আগে একস্থানে একি ভাবে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী আলমসাধু ড্রাইভার ওমর ফারুক ও আব্দুর রাজ্জাক বলেন,মঙ্গলবার সন্ধ্যা রাতে আলমসাধু বোঝাই করে কচু আর পটল নিয়ে মেহেরপুর যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে কোটচাঁদপুর -তালসার সড়কের রব্বানী ব্রীজের কাছে পৌছালে দেকতে পাই সড়কের আড়াআড়াি করে বাঁশ বাঁধা। পাশে হাত- পা বেঁধে মাটিতে ফেলে রেখেছেন আরেক আলমসাধু ড্রাইভারকে।
এরপর আমরা যাবার পর ধারাল অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। পরে আমাদের হাত পা বেঁধে রেখে কচু পটল বোঝাই আলমসাধু নিয়ে পালিয়ে যান তারা। ওই দুই জনের বাড়ি যশোর নাভারনের গুড়পাড়া এলাকায়। বিষয়টি নিয়ে তারা থানায় অভিযোগ করবেন বলে জানান।
এদিকে ছিনতাইয়ের পর ছিনতাইকারীরা কচু পটল গুলো ঘাঘা- জালালপুর মাঠে ফেলে রেখে গেছেন বলে জানা গেছে। এর আগে ১০ মে শুক্রবার ভোর রাতে কোটচাঁদপুর – তালসার সড়ক থেকে ছিনতাই হয়ে যায় স্থানীয় পারলাট গ্রামের বাবুল হোসেন ও শিমুল হোসেনের আলমসাধু। তারা দুই ভাই চৌগাছা হতে কাঠ বোঝায় করে ভেড়ামারা যাচ্ছিল। এরপর ভোর রাতে ভেড়ামারায় রওনা হই। পথিমধ্যে তালসার বাজার পুলিশ ক্যাম্পের অদুরে মাঠে পৌছালে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদের উপার্জনের একমাত্র বাহন আলমসাধু দুইটি নিয়ে পালিয়ে যায়। বাবুল ও শিমুল আপন দুই ভাই। তারা কোটচাঁদপুরের পারলাট গ্রামের আজিজ হকের ছেলে।
একইভাবে কোটচাঁদপুরের সাবদারপুর পুলিশ ফাঁড়ির সামনের সড়ক ও মানিক দিহি সড়ক থেকে দুইটি আলমসাধু ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এরপর চুরি হয়ে যায় কোটচাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র সোহেল আরমানের মটর সাইকেল।
এ ব্যপারে কোটচাঁদপুর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) সৈয়দ আল মামুন বলেন,ভুক্তভোগিরা অভিযোগ করতে আসতে চেয়েছেন। অভিযোগ করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।