বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৮ অপরাহ্ন
দেশ প্রতিবেদকঃ
খুলনায় উপজেলা নির্বাচন বিরোধের জের পরবর্তী সহিসংসতায় ঘের মালিক এস এম এ বাশার (৫০) ও তার ছেলে আলামিন মোহাম্মাদ বিন মাহির (১৩) ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। পরে হামলাকারীরা তাদের মাছের ঘেরটি দখল করে নিয়েছে। জেলার দাকোপ উপজেলার কালিনগর বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৭জনের নাম উল্লেখসহ দাকোপ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে হামলাকারীরা গ্রেফতার না হওয়ায় ভুক্তভোগীদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। হামলায় আহত ঘের মালিক এসএমএ বাশার জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে কামারখোলা ইউনিয়নের সাহারাবাদ গ্রামে মৎস্য প্রজেক্ট পরিচালনা করছেন। দীর্ঘদিন ধরে ঘেরটি দখলের জন্য চেষ্টা করছে একটি মহল। কামলারখোলা ইউপি চেয়ারম্যান পঞ্চানন ম-লের সঙ্গেও তার বিরোধ ও মামলা রয়েছে । তারা প্রতিনিয়ত ঘেরের ক্ষয়ক্ষতি ও দলের চেষ্টা করে আসছে। সর্বশেষ গত ৫ জুনের উপজেলা নির্বাচনের পর ওই পক্ষ বেপরোয়া হয়ে উঠে। এমন অবস্থায় গত ৯ জুন তিনি ঘের থেকে খুলনা শহরের উদ্দেশে মোটরসাইকেলে রওনা দেন। কালীনগর বাজারে পৌঁছালে একই এলাকার মো. আজিজুল সরদার (৪৮), মো. ফকির সাইফুল (৪৯), ইদ্রিস গাজী (৪৫), শাহাদাত গাজী (৩৪), লুৎফর রহমান গাজী, হালিম মোল্লা (৪৬), সম্রাট ইসলাম (২৩), কবির সরদার (৩৫) অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তার ওপর মামলা চালায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হলে তার ছেলে আলামিন বাধা দিলে তাকেও মারধর করা হয়। হামলাকারীরা তার ঘের কর্মচারী হানজালা সানার (২২) কাছ থেকে ঘেরের চাবি কেড়ে নিয়ে যায়। ভুক্তভোগী খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ও ছেলে আলামিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন। আবুল বাশার বলেন, হামলার পর মামলা হলেও পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেনি। ফলে তিনি পরিবার নিয়ে আতংকে দিন কাটাচ্ছেন। উপজেলা নির্বাচনে বর্তমান নির্বাচিত প্রার্থীর পক্ষে না থাকায় এ হামলা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। দাকোপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঐ মামলার আসামিরা জামিনে থাকায় পুলিশ তাদের গ্রেফতার করতে পারছে না। তবে পুলিশ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA