• E-paper
  • English Version
  • মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:০২ পূর্বাহ্ন

×

দুর্ভাগ্যজনক পরাজয়

  • প্রকাশিত সময় : মঙ্গলবার, ১১ জুন, ২০২৪
  • ২৭ পড়েছেন

ড. সাঈদুর রহমানের কলামঃ

জিততে জিততে হেরে গেল বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে জয়ের খুব কাছাকাছি গিয়েও শেষ পর্যন্ত পারলো না বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারালেই সুপার এইট হাতের নাগালের মধ্যে চলে আসতো বাংলাদেশের। এখনো বাংলাদেশের পক্ষে সুপার এইটে খেলা সম্ভব। তবে সেজন্য অবশ্যই শেষ দুটি ম্যাচে নেদারল্যান্ডস এবং নেপালের বিরুদ্ধে জিততে হবে। এখন পর্যন্ত যে দুটি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ, দুটিতেই বোলাররা অসাধারণ নৈপূণ্য দেখিয়েছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে ব্যাটসম্যানরা নিজেদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারছেন না। টপ অর্ডার যদি আরেকটু দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করতে পারতো, তাহলে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের না জেতার কোন কারণ ছিল না। সৌম্য সরকারকে বাদ দিয়ে জাকের আলী অনিককে একাদশে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত যথার্থ হয়েছে। নাজমুল হোসেন শান্ত অনেক কসরত করেও ফর্মে ফিরতে পারছেন না। ফলে দলকে মূল্য দিতে হচ্ছে। লিটন কুমার দাস শ্রীলংকার বিপক্ষে ৩৮ বলে ৩৬ রান করেছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ১৩ বলে ৯ রান করে আউট হলেন। অর্থাৎ কিছূতেই যেন নিজের ছন্দ ফিরে পাচ্ছেন না। তাছাড়া লিটন দাসের ব্যাটিংয়ের দুর্বল দিকগুলো এখন প্রতিপক্ষ দলগুলোর কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে। সাকিব আল হাসান হয় ব্যাট হাতে, না হয় বল হাতে দলের জন্য অবদান রেখে থাকেন। কিন্তু নানা রকম বিতর্কের মুখে দেখা যাচ্ছে, দু’ভাবেই ব্যর্থ হচ্ছেন তিনি। আশা করি, চ্যাম্পিয়ন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান শিগগিরই স্বরূপে ফিরবেন। তাহলে সেটা হবে দলের জন্য খুবই উপকারী। তৌহিদ হৃদয় আবারো দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করলেন। শ্রীলংকার বিরুদ্ধে ২০ বলে ৪০ রান এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৩৪ বলে ৩৭ রান- নিজের দায়িত্ব তিনি যথাযথভাবে পালন করেছেন। মাহমুদ‌উল্লাহ রিয়াদ যথার্থই অভিজ্ঞতার ঝলক দেখিয়ে চলেছেন। তার দুর্ভাগ্য, শেষ ওভারের পঞ্চম বলে যে ছক্কাটি তিনি হাকানোর চেষ্টা করেছিলেন, সেটি যদি বাউন্ডারি লাইন পার হয়ে যেত, তাহলে আরো একবার হিরো হতে পারতেন তিনি। বাংলাদেশ‌ও পেয়ে যেতো এক স্মরণীয় জয়। তানজিম হাসান সাকিব দুর্দান্ত নৈপুন্য দেখালেন। মাত্র ১৮ রানের ৩ উইকেট নিয়ে তিনি মূলত দক্ষিণ আফ্রিকাকে স্বল্প রানে বেঁধে রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাসকিন আহমেদ‌ও যথারীতি ভালো বল করেছেন। তিনিও মাত্র ১৯ রান দিয়ে দুই উইকেট নিয়েছেন। মুস্তাফিজুর রহমান উইকেট না পেলেও রান চেক দেওয়ার ক্ষেত্রে ভালো ভূমিকা রেখেছেন। শরিফুল ইসলাম ফিরে আসলে কাকে ড্রপ করা হবে, সেটা নিয়ে হয়তো বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্টকে ভালোই মাথা ঘামাতে হবে। রিশাদ হোসেন হয়তো একটু বেশি রান দিয়ে ফেলছেন। কিন্তু আমার মনে হয়, তারপরও তাকে নিয়মিত একাদশে রাখতে হবে। তাহলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের জন্য তিনি এক বড় সম্পদ হয়ে উঠবেন। মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশে লেগ ব্রেক বোলারের দারুণ আকালের মাঝে তিনি আবির্ভূত হয়েছেন। তাছাড়া ব্যাট হাতে রিশাদ হোসেন যে কোন সময় দলের জয়ে সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেন। বাংলাদেশের বাকি দুটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে সহজ জয় পাওয়া সম্ভব নয়। তাই বাংলাদেশকে যথেষ্ট সতর্ক থাকতে হবে। নেপাল ইদানিং ভালো ক্রিকেট খেললেও সেটা বাংলাদেশের বর্তমান দলের জন্য হুমকি স্বরূপ নয়। নেদারল্যান্ডস এবং নেপালের বিরুদ্ধে জয়লাভ করলে বাংলাদেশের সুপার এইট নিশ্চিত হবে। আজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটা ভালো পরীক্ষা। ভারতের মতো দলের বিরুদ্ধে যদি তারা ভালো করতে পারে, তাহলে বুঝতে হবে যে, আগামী দিনে তাদের পক্ষে সম্ভব বড় দল হয়ে ওঠা।

তাদের সেরা বোলার নসথুশ কেনজিগে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর সাথে অনুশীলন করেছেন। তিনি তাদের নেট বোলার। সৌরভ নেত্রাভালকার ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে খেলেছেন।আন্দ্রে গাউস নিয়মিত বড় বড় ফ্র‍্যাঞ্চাইজি লীগগুলোতে সুযোগ পেয়ে থাকেন। ব্যাটসম্যানদের মধ্যে অ্যারোন জোন্স এবং অধিনায়ক মনঙ্ক প্যাটেল বড় নাম। তবে তাদের অভিজ্ঞতার ঘাটতির কারণে ভারতীয় দলের সাথে পেরে ওঠা কঠিন। ভারত-যুক্তরাষ্ট্র ম্যাচে ভারত হয়তো সহজ জয় পাবে, তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কতটা ফাইট করতে পারে, সেটা দেখার আগ্রহ কিন্তু সবার রয়েছে।

লেখক: জাতীয় ক্রীড়া ভাষ্যকার, বেতার ও টেলিভিশন।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA