• E-paper
  • English Version
  • বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৬ পূর্বাহ্ন

×

সাতক্ষীরায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও সংকট সমাধানের উপায় শীর্ষক নাগরিক সংলাপ অনুষ্ঠিত

  • প্রকাশিত সময় : বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন, ২০২৪
  • ২৮ পড়েছেন

সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ

সাতক্ষীরা শহরের উপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও সংকট সমাধানের উপায় শীর্ষক নাগরিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেসরকারি উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিকের আয়োজনে বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় শহরের ম্যানগ্রোভ সভাঘরে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ মোঃ নজরুল ইসলাম।
সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে সংলাপে আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলাম, সাতক্ষীরা পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল করিম, পরিবেশ কর্মী অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, সনাক-সাতক্ষীরার সভাপতি হেনরী সরদার, সিনিয়র সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জি, মিজানুর রহমান, এম কামরুজ্জামান, গোলাম সরোয়ার, আসাদুজ্জামান আসাদ, আহসান রাজীব, গীতিকার মোকাম আলী খান, উদীচীর শেখ সিদ্দিকুর রহমান, নাগরিক নেতা আলী নূর খান বাবুল, অধ্যাপক ইদ্রিস আলী, পৌর কাউন্সিলর শেখ মারুফ হোসেন, মহিলা কাউন্সিলর অনিমা রানী ও নুরজাহান নুরী প্রমুখ।

জলবায়ু সংকটে নিপতিত সাতক্ষীরায় বাসযোগ্য ও পরিকল্পিত নগর গড়ে তোলার আহবান জানিয়ে বক্তারা বলেন, সাতক্ষীরা শহরে নেই পর্যাপ্ত জলাভ‚মি, গাছপালা, উদ্যান ও পার্ক। যতটুকু আছে তাও ভরাট, দখল ও দূষণে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। ফলে বিলীন হতে বসেছে এখানকার প্রাণবৈচিত্র্য। সেই সাথে সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাবে বাড়ছে বায়ু দূষণ। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে করা না গেলে সাতক্ষীরা শহর তার বাসযোগ্যতা হারাবে।

বক্তারা আরও বলেন, পরিবেশ রক্ষায় গাছ লাগানো ও জলাধার রক্ষার বিকল্প নেই। কিন্তু আইন প্রয়োগ করেও পুকুর জলাশয় ভরাট বন্ধ করা যাচ্ছে না। সংলাপে তাপদাহ কমানো ও সকল প্রাণের জন্য পরিকল্পিত শহর গড়ে তুলতে সরকারিভাবে অন্তত ২০ ভাগ বনভ‚মি এবং ১৫ ভাগ জলাভ‚মি রক্ষা করা, বিনোদনের জন্য পর্যাপ্ত পার্ক, উদ্যান এবং খেলার মাঠের ব্যবস্থা করা, শহরের দরিদ্র জনগোষ্ঠী ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে স্থানান্তরিত মানুষের জন্য সুপেয় পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন, পয়ঃনিষ্কাশন এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা, যুবদের আয়বর্ধনমূলক প্রশিক্ষণ এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুবিধা নিশ্চিতকরণ, জলবায়ু সহনশীল ও পরিবেশবান্ধব নগর তৈরীর জন্য স্থানীয় যুব সমাজের অংশগ্রহণ বৃদ্ধিকরণ, অপরিকল্পিতভাবে অবকাঠামো নির্মাণ বন্ধ করা, অবকাঠামো তৈরীতে পোড়া ইট ও গøাসের ব্যবহার কমিয়ে পরিবেশসম্মত বøক ও পরিবেশ বান্ধব সামগ্রী ব্যবহার করা, বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ, পানি দূষণ, তাপদাহসহ ক্রমবর্ধমান পরিবেশগত বিপর্যয়, বন্যা ও জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষার জন্য শহরে পর্যাপ্ত বৃক্ষরোপণ, পুকুর, খাল ও ডোবা খনন, জলাধার তৈরী ও নগরের জলাভূমিকে দখলমুক্ত ও রক্ষার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ, পরিবেশ বান্ধব সবুজ জ্বালানির ব্যবহার নিশ্চিতকরনসহ ১৩ দফা সুপারিশ করা হয়।
সংলাপের সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন, উন্নয়ন কর্মী মাধব চন্দ্র দত্ত ও ধারণাপত্র পাঠ করেন বারসিকের সহযোগী কর্মসূচি কর্মকর্তা গাজী মাহিদা মিজান।

 

 

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA