• E-paper
  • English Version
  • রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২৯ পূর্বাহ্ন

×

বটিয়াঘাটায় বাবা হত্যার বিচার দাবিতে মেয়ের সংবাদ সম্মেলন

  • প্রকাশিত সময় : মঙ্গলবার, ২৫ জুন, ২০২৪
  • ২৪ পড়েছেন

দেশ প্রতিবেদকঃ
খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলায় চাঞ্চল্যকর সিরাজুল ইসলাম হত্যার বিচার দাবি এবং হত্যার নেপথ্যের প্রকৃত কারণ উদঘাটনে এমামলার আসামিদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করার দাবিতেসংবাদ সম্মেলন করেছেন নিহতের মেয়ে শিরিন আক্তার। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১২টায় খুলনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত একসংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার চাচা রফিকুল ইসলামের মৃত্যুরপর আমার চাচী নুর নাহার খাতুন বিধাবা অবস্থায় দীর্ঘদিনতার পিত্রালয়ে থাকেন। এ অবস্থায় আমার মায়ের মৃত্যু হলে আমার বাবা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। ফলে আমার দাদী নিজে উপস্থিতথেকে গত ৩০ মে ২৪ ইং তারিখে আমার বিধাবা চাচী নুর নাহার খাতুনের সাথে বিয়ে দেন। এরপর তাকে বিয়ে করে বাড়ীতে নিয়েআসেন আমার বাবা। এ সংবাদ জানার পর অন্যান্য চাচা ও ফুফুরা বাড়ীতে আসেন। ১ জুন সকাল ৭টার দিকে তারা সংঘবদ্ধ হয়েআমার বাবার দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে এবং অমানুষিকনির্যাতন করে রক্তাক্ত জখম করে এবং পাত-পা বেধেঁ গলায় ফাঁস দিয়ে আমার বাবা সিরাজুল ইসলামকে হত্যা করে। এময়ে আমারমা নুর নাহার খাতুনকে নির্যাতন করে আহত করে। মারাত্মক জখম অবস্থায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এইলোম হত্যাকান্ড ঘটানোর পর হত্যাকারীরা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে লবণচরা থানা পুলিশ বাবার লাশ উদ্ধার করে। ওই সময় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা আমার মা নুর নাহার খাতুন বাদী হয়ে ওইথানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। কিন্তু অসুস্থ থাকায় এজাহারসঠিকভাবে লিপিবদ্ধ হয়নি। পরবর্তীতে এ মামলার আসামীআমার চাচা শফিকুল ইসলাম, বাহাদুর গাজী, ফুফু সালমাবেগম, হালিমা ও ফাতেমাকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানোহলেও তাদেরকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। ফলে আমার বাবার হত্যার নেপথ্যের কারণগুলো অনুৎঘাটিত রয়েছে।লিখিত বক্তব্যে শিরিন আক্তার আরো বলেন, আমি চট্রগ্রামেএকটি গার্মেন্টসে চাকুরি করি। ঘটনার সময় আমি কর্ম স্থলে ছিলাম। খবর পেয়ে খুলনায় এসে আমার বাবার লাশ পর্যন্ত দেখতেপারিনি।

পরবর্তীতে বিভিন্নভাবে জানতে পারি যে দ্বিতীয় বিয়ে করার জন্য আমার বাবাকে হত্যা করা হয়নি। এর পেছনেরয়েছে কোটি টাকার সম্পত্তি। বটিয়াঘাটার ঠিকারাবাদ মৌজায় আমার দাদার নামে ৪৮ শতক জমি রয়েছে। এই জমিরপ্রতি স্থানীয় অনেক প্রভাবশালীদের লোলুপ দৃষ্টি ছিল। ফলে শুধুমাত্র আমার মাবার দ্বিতীয় বিয়ের কারণেই যে হত্যা করা হয়েছেতা বিশ্বাসযোগ্য নয়। এই হত্যার পেছনে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল জড়িত রয়েছে বলে আমার ধারণা। সে কারণে গ্রেফতারকৃতআসামীদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে অনেক তথ্যউদঘাটন হবে বলে আমি মনে করি। কিন্তু আমি বারবার তদন্ত কর্মকর্তার সাথে দেখা করে এ বিষয়ে কথা বললেও তারা কোনগুরুত্ব দিচ্ছেনা।আমি আমার বাবা সিরাজুল ইসলাম হত্যার সঠিক তদন্তপূর্বক বিচার চাই। এজন্য গ্রেফতারকৃত আসামিদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে হত্যাকান্ডের নেপথ্যেও অনেক বিষয়গুলোসামনে আসবে। কাজেই বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়ার জন্য পুলিশেরউর্দ্ধতন কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA